১৪ আসামির মধ্যে তাজুল ইসলাম নামের এক আসামি কিশোর হওয়ায় তার বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক একটি চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইদুজ্জামান শরীফের আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়।
আদালত অভিযুক্ত ১৩ আসামির মামলাটি সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বদলি এবং তাজুলের মামলাটি শিশু আদালতে পাঠানোর আদেশ দেয়।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন- আকরাম হোসেন খান নিলয় (২৪), নাজমুল হাসান ওরফে মামুন (২১), আবুল কাশেম ফকির ওরফে আবু মুসাব (২২), আব্দুল্লাহ আইচান কবিরাজ ওরফে রফিক (৪২), তারেক মোহাম্মদ ওরফে আদনান (২২), কামরুল ইসলাম শাকিল ওরফে হারিকেন ওরফে রোবট ও ওরফে তানজিম (২৫), লুলু সরদার ওরফে সহিদ ওরফে মিস্ত্রি (৩০), তাজরীন খানম শুভ (২৯), সাদিয়া হোসনা লাকী (৪৬), আবু তোরাব খান (৫৬), তানভির ইয়াসিন করিম ওরফে হিটম্যান ওরফে জিন (৩২), হুমায়রা জাকির নাবিলা, নব মুসলিম আব্দুল্লাহ (হিন্দু থাকাকালীন নাম ছিল রনবীর কান্তি দাশ রনি) (৩২) ও তাজুল ইসলাম ওরফে ছোটন ওরফে মোহাম্মদ ওরফে ফাহিম (১৭)।
অভিযুক্তরা সবাই নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন নব্য জামাতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশের (জেএমবি) সদস্য।
২০১৭ সালে ১৫ আগস্ট ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে জাতীয় শোক দিবসের অনুষ্ঠান চলার মধ্যেই ৩০০ মিটার দূরে পান্থপথের হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনালে অভিযান চালান কাউন্টার টেররিজম ইউনিট ও সোয়াট সদস্যরা। কয়েক ঘণ্টা ধরে চলা ওই অভিযানের এক পর্যায়ে হোটেল ওলিও ইন্টারন্যাশনাল থেকে বিকট বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ পাওয়া যায়। বিস্ফোরণে হোটেলের চতুর্থ তলার রাস্তার দিকের অংশের দেয়াল ও গ্রিল ধসে নিচে পড়ে।
হামলার পরিকল্পনা ও বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ওই সময় কলাবাগান থানায় ১৫ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন কলাবাগান থানার এসআই সৈয়দ ইমরুল সায়েদ।
সাইফুল ইসলাম নামে এক আসামি মৃত্যুবরণ করায় তাকে মামলা থেকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।