নিহত সুবর্না আক্তার নদীর মা মর্জিনা বেগম বাদী হয়ে শিল্পপতি আবুল হোসেন, তার ছেলে রাজিব ও মিলনসহ অজ্ঞাত ৬/৭ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নম্বর ৯৩, তাং ২৯.৮.১৯।
পুলিশ বুধবার দুপুরে মামলার প্রধান আসামি শহরের সিমলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক শিল্পপতি আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার আবুল হোসেন নিহত সুবর্না আক্তার নদীর সাবেক শ্বশুড়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার গৌতম কুমার বিশ্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানিয়েছেন, আবুল হোসেনকে শহরের সিমলা হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার থেকে দুপুরে গ্রেপ্তার করা হয়।
নদীর স্বজনরা জানান, প্রায় দেড় বছর আগে গ্রেপ্তার আবুল হোসেনের ছেলে রাজিব হোসেনের সাথে তার বিয়ে হয়। বিয়ের বিষয়টি আবুল হোসেনের পরিবার মেনে নেয়নি। এক পর্যায়ে রাজিব সুবর্না আক্তার নদীকে তালাক দেয়। এ ঘটনায় সুবর্না আক্তার নদী আদালতে যৌতুক মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে বিচারধীন রয়েছে।
তারা আরো বলেন, এর মধ্যেই মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সুবর্না আক্তার নদী শহর থেকে কাজ শেষে রাধানগর মহল্লায় আদর্শ গার্লস হাইস্কুল সংলগ্ন বাসার সামনে পৌঁছামাত্র ওঁৎ পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা অতর্কিত তাকে এলোপাথারি কুপিয়ে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার সকালে পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশের ময়না তদন্ত সম্পন্ন করা হয়েছে।
এদিকে এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে ও দোষীদের গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে পাবনায় কর্মরত সাংবাদিকদের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার বেলা ১১টায় শহরের প্রধান সড়কে পাবনা প্রেসক্লাব চত্বরে এই মানববন্ধন হয়। মানববন্ধনে বিভিন্ন পেশাজীবীরা একাত্মতা প্রকাশ করেন।
এতে বক্তব্য রাখেন, প্রেসক্লাব সভাপতি প্রফেসর শিবজিত নাগ, সম্পাদক আাঁখিনুর ইসলাম রেমন, প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রবিউল ইসলাম রবি, সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি ও বিটিভি প্রতিনিধি আব্দুল মতীন খান, এনটিভির এবিএম ফজলুর রহমান, সময় টিভির এসএ আসাদ প্রমুখ।