একই সঙ্গে বহিষ্কার হওয়া শিশুদের পুনরায় পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বত:প্রণোদিত হয়ে এ রুল দেন।
একই সঙ্গে এ সংক্রান্ত শৃঙ্খলা ভঙ্গবিষয়ক প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের গত বছরের জারি করা নির্দেশনার ১১ নম্বর অনুচ্ছেদ কেন অবৈধ হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে এনে এ বিষয়ক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক। শুনানি নিয়ে আদালত ওই রুল দেন।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক, মাদরাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে আদালত ১০ ডিসেম্বর পরবর্তী আদেশের তারিখ ধার্য করেছে।
পত্রিকায় প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বিভিন্ন স্থানে ১৫ শিশুকে বহিষ্কার করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এ বিষয়ে নির্দেশনা আছে। নির্দেশনার ১১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, শৃঙ্খলা ভঙ্গকারীদের বিরুদ্ধে উত্তরপত্র ছাড়া কিছুতে লিখে আনলে ও অন্যকে দেখানোয় সহযোগিতা করলে বহিষ্কারের সুযোগ রয়েছে।