শনিবার ভোরে আলমডাঙ্গা উপজেলা সদরের মাদরাসা পাড়ায় এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে সিআইডির কনস্টেবল অসীম ভট্টাচার্য।
গুরুতর আহত ফাল্গুনী ও আনন্দকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, চুয়াডাঙ্গা সিআইডিতে কর্মরত কনস্টেবল অসীম অধিকারী দীর্ঘদিন ধরে আলমডাঙ্গা উপজেলা শহরের মাদরাসা পাড়াতে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করছিলেন। তার বাড়ির সামনেই শ্বশুর সদানন্দের বাড়ি।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে আলমডাঙ্গা থানার ইন্সপেক্টর তদন্ত মাহবুবুর রহমান জানান, পারিবারিক বিরোধের জের ধরে অসীম ও ফাল্গুনী দম্পতির মধ্যে বিরোধের জেরে এ হতাহতের ঘটনা ঘটেছে।
গুরুতর আহত আনন্দ অধিকারী জানান, শনিবার ভোরেও জামাই বাবু ও তার দিদির মধ্যে কলহ হয়। এক পর্যায়ে রাগান্তিত হয়ে দিদি ফাল্গুনী অধিকারী পাশেই আমাদের বাড়িতে চলে আসেন। দিদি আমাদের বাড়িতে আসার কিছুক্ষণ পরই অসীম (জামাই বাবু) আসে। দিদি গেট খুলতেই তাকে উপর্যপুরী ছুরিকাঘাত শুরু করে সে। এ সময় আমার মা শেফালী অধিকারী ও আমি ছুঁটে এসে তাকে নিবৃত করার চেষ্টা করলে আমাদেরকেও উলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত করা হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আমার মায়ের।
চুয়াডাঙ্গার অতি: পুলিশ সুপার মো: কলিমুল্লাহ জানান, ঘটনার খবর পেয়ে ভোরেই নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে থানাতে আনা হয়। গুরুতর আহত ফাল্গুনী ও আনন্দকে উদ্ধার করে নেওয়া হয় কুষ্টিয়া মেডিকেলে। ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে কনস্টেবল অসীম ভট্রচার্য।