প্রচলিত পাওয়ার টিলারকে সৌরচালিত পাওয়ার টিলারে রূপান্তর করতে প্রযুক্তি উদ্ভাবনের জন্য গবেষকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে হাজারো পাওয়ার টিলার রয়েছে। যদি আমরা সৌর বিদ্যুৎ চালিত টিলার চালু করতে পারি তাহলে এটি বিপুল তরল জ্বালানি সাশ্রয় করার পাশাপাশি কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের মাধ্যমে পরিবেশের ওপর বড় প্রভাব ফেলবে।’
বুধবার ‘ক্লাইমেট স্মার্ট ইরিগেশন টেকনোলজি ইন বাংলাদেশ’ নামে একটি ভার্চুয়াল ওয়ার্কশপে এসব কথা বলেন তিনি। ভার্চুয়াল এই অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে অস্ট্রেলিয়ার কার্টিন বিশ্ববিদ্যালয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন শুদ্ধ রফিক।
আরও পড়ুন: বিশ্বমানের প্যাকিং হাউজ ও ল্যাব স্থাপনে কাজ চলছে: কৃষিমন্ত্রী
সচিব বলেন, জ্বালানি চালিত পাম্পের তুলনায় পাওয়ার টিলারের সংখ্যা অনেক বেশি। ‘আমরা যদি ডিজেলের পরিবর্তে পাওয়ার টিলারের জন্য সৌর পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারি তাহলে এটি কৃষকদের অনেক বেশি সুবিধা দেবে।’
তিনি বলেন, যেখানে একটি পাম্প ব্যবহার করা হয় সেখানে কৃষকরা কৃষি কাজে পাঁচ থেকে ছয়টি টিলার ব্যবহার করেন। ‘আমাদের সোলার পাম্পগুলোকে সোলার টিলারের সঙ্গে একত্রিত করতে হবে।’
মোস্তফা কামাল বলেন, সৌরবিদ্যুৎ চালিত সেচ ব্যবস্থা জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি বলেন, ডিজেল চালিত সেচ পাম্পের তুলনায় এটির দাম কম। কিন্তু কৃষকদের এর উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। অন্যথায় তারা প্রচলিত ডিজেল চালিত পাম্পের পরিবর্তে এটি গ্রহণ করবে না।
আরও পড়ুন: যে কোনো মূল্যে আমাদেরকে চালের উৎপাদন বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী
তিনি বলেন, নির্গমন কমাতে সরকারের অঙ্গীকার রয়েছে। কিন্তু ক্লিন এনার্জির ক্ষেত্রে আমরা পশ্চিমা দেশগুলোর চেয়ে অনেক পিছিয়ে।
সৌর সেচ প্রক্রিয়া গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমন কমিয়ে দেবে বলেও জানান তিনি।