ঢাকার ধানমন্ডি থানায় দায়ের করা প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো ‘মিস আর্থ বাংলাদেশ ২০২০’ বিজয়ী মডেল মেঘনা আলমকে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন করেন। বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সকালে মেঘনা আলমকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্র পক্ষে মহানগর দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর পক্ষে শুনানি করেন।
শুনানি শেষে আদালত তাকে গ্রেপ্তার দেখানোর আদেশ দেন। একই মামলায় মেঘনার কথিত সহযোগী সানজানা ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক দেওয়ান সমিরকে গ্রেফতার দেখিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে ।
গত ৯ এপ্রিল রাতে মডেল মেঘনা আলমকে ঢাকার বসুন্ধারার বাসা থেকে আটক করে হেফাজতে নেয় ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
পরদিন ১০ এপ্রিল রাতে আদালত তাকে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিন আটক রাখার আদেশ দেন।
আটকের আগে মেঘনা আলম ফেইসবুক লাইভে এসে বাসার ‘দরজা ভেঙে পুলিশ পরচয়ধারীরা’ ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। তাকে আটক করার পরপরই লাইভটি বন্ধ হয়ে যায়।
১২ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা ওই লাইভ এরপর তার আইডি থেকে ডিলিট হয়ে যায়। তবে এর আগেই ফেসবুকে তা ছড়িয়ে পড়ে।
তাকে ‘দরজা ভেঙে বাসা থেকে অপহরণের’ অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে সেটি সঠিক নয় বলে জানায় ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
আরও পড়ুন: প্রচলিত আইনেই আটক মডেল মেঘনা: খোদা বখস চৌধুরী
মডেল মেঘনা আলমকে রাতে যে প্রক্রিয়ায় বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে তা ঠিক ছিল না বলে স্বীকার করেন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।
গত ১৩ এপ্রিল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মেঘনার বিরুদ্ধে অপরাধের আলামত বা অভিযোগের বিষয়ে অচিরেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ওই গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া নিয়ে সমালোচনার মধ্যে ঢাকা মহানগর পুলিশের ডিবি প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিককে।
মডেল ও মিস বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান মেঘনা আলম ২০২০ সালের ৫ অক্টোবর মিস আর্থ বাংলাদেশ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হন।