তিনি বলেন, বৃত্তি পাওয়া শিক্ষার্থীর মধ্যে ট্যালেন্টপুলে ৩৩ হাজার ও সাধারণ কোটায় ৪৯ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত বৃত্তি পাবে।
দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরও বলেন, উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের সংখ্যার অনুপাতে উপজেলা কোটা নির্ধারণ করে ট্যালেন্টপুল বৃত্তি বন্টন করা হয়। এবার মোট সাত হাজার ৯৮৮টি ইউনিয়ন/পৌরসভার ওয়ার্ডে প্রতিটিতে ছয়টি (তিনজন ছাত্র ও তিনজন ছাত্রী) হিসাবে ৪৭ হাজার ৯২৮টি এবং অবশিষ্ট ১৫৭২টি বৃত্তি হতে প্রতিটি উপজেলা হতে আরো তিনটি (একজন ছাত্র, একজন ছাত্রী ও একজন মেধার ভিত্তিতে) করে ৫১০টি উপজেলায় ১৫৩০টি সাধারণ বৃত্তি দেয়া হয়েছে।
জাকির হোসেন বলেন, ঝরেপড়া রোধ, শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও সুষম মেধা বিকাশের লক্ষ্যে প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে এ বৃত্তি দেয়া হয়।
মন্ত্রী জানান, ট্যালেন্টপুলে বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ৩০০ টাকা এবং সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্তদের মাসে ২২৫ টাকা করে দেয়া হবে। ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বছর বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা বৃত্তির টাকা পাবে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব আকরাম আল হোসেন বলেন, সারাদেশে কোচিংগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট www.dpe.gov.bd পাওয়া যাবে।
উল্লেখ্য, আগে পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার জন্য আলাদা পরীক্ষা নেয়া হতো।