সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।
পর্যালোচনা কমিটির আহ্বায়ক ও মন্ত্রিপরিষদ সচিব শফিউল আলম বলেন, কমিটির প্রাথমিক সুপারিশ হলো কোটা অলমোস্ট (প্রায় পুরোটাই) উঠিয়ে দেয়া, মেধাকে প্রাধান্য দেয়া।
তিনি আরো বলেন, কোটা বিলুপ্তির পক্ষে সুপারিশ করা হলেও 'মুক্তিযোদ্ধা কোটা'র বিষয়ে আদালতের নির্দেশনা চাওয়া হবে।
এরপরেই কোটার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত ২ জুলাই সরকারি নিয়োগে কোটা সংস্কারের লক্ষ্যে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে সরকার।
কমিটিতে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ছাড়াও জনপ্রশাসন, অর্থবিভাগ, মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রণালয়, আইন বিভাগ, পিএসসি ও প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের প্রতিনিধি ছিলেন। প্রথমে কমিটিকে ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়। পরে সময় বাড়িয়ে আরও ৯০ কর্মদিবস দেয়া হয়।
গত এপ্রিলে সরকারি নিয়োগে কোটা সংস্কারের দাবিতে দেশের পাবলিক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলন-কর্মসূচি দেন। আন্দোলনের মুখে ১১ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে এক ভাষণে সব ধরনের কোটা বাতিলের কথা বলেন।