এ লক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বনানীস্থ প্রকল্প অফিসে নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের সাথে প্রকল্প কর্তৃপক্ষের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে।
চুক্তিপত্রে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী আব্দুস সবুর এবং নির্মাণ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে মৃত্যুঞ্জয় ঘোষাল সই করেন। বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি এবং জাইকার বাংলাদেশ অফিস প্রধান ইউহো হায়াকাওয়া ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে নিজের সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত হন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এসময় মন্ত্রী দেশের সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে জাপানের অব্যাহত সহায়তার কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘জাপান বাংলাদেশের বিশ্বস্ত বন্ধু। দু’দেশের সম্পর্ক সময়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। রাজধানীর যানজট নিরসনে মেট্রোরেল রুট-৬ জাপানের অর্থায়নে বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়া জাপানের আর্থিক সহায়তায় নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে দ্বিতীয় কাঁচপুর, দ্বিতীয় মেঘনা ও দ্বিতীয় গোমতী সেতুর।’
চট্টগ্রাম থেকে দেশের পর্যটন তীর্থ কক্সবাজার পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণে জাপানের অর্থায়ন ইতোমধ্যে নীতিগত অনুমোদন পেয়েছে বলেও জানান তিনি।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে মেট্রোরেলের কাজ এগিয়ে নেয়ার অংশ হিসেবে করোনায় আক্রান্ত জনবলের চিকিৎসায় দুটি ফিল্ড হাসপাতাল নির্মাণের কাজ শেষ হয়েছে এবং মেট্রোরেলের নির্মিত ভায়াডাক্টের ওপর রেললাইন ও বৈদ্যুতিক সংযোগ স্থাপনের কাজও এগিয়ে চলেছে।
এর আগে, জাপানের অর্থায়নে দেশের পশ্চিমাঞ্চলের ২৩টি জেলায় ছোট ও মাঝারি ৬১টি সেতু নির্মাণে ওয়েস্টার্ন বাংলাদেশ ব্রিজ ইম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট গ্রহণ করা হয়। ইতোমধ্যে এ প্রকল্পের ২৫টি সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে এবং ৩৬টি সেতুর নির্মাণকাজ চলমান।
এছাড়া নতুন করে আরও ২১টি সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়ায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলের সড়ক নেটওয়ার্ক শক্তিশালী হওয়ার পাশাপাশি যাত্রী ও পণ্য পরিবহণে অর্থ সাশ্রয় এবং ভ্রমণ সময় কমে আসবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন সংশ্লিষ্টরা।
চুক্তিস্বাক্ষর অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অতিরিক্ত সচিব চন্দন কুমার দে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. শাহরিয়ার হোসেনসহ প্রকল্প কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।