রবিবার সকালে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত নসুমুদ্দিন শেখ (৭০) উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের জোলাগাতি গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন।
বাটখারার আঘাতে আহত হয়েছেন শাশুড়ি ঝামুরি বেগম ও স্ত্রী ফুরকুনি খাতুন। নিহতের স্বজনরা জামাই সাইফুল ইসলামকে (৩৮) আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় সাতবছর আগে ধুনট উপজেলার জোলাগাতি গ্রামের নসুমুদ্দিনের মেয়ে ফুরকুনির সঙ্গে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল মুন্সির ছেলে সাইফুলের বিয়ে হয়। প্রায় বছর দেড়েক আগে সাইফুল মানসিক রোগে আক্রান্ত হন। চিকিৎসা চলছিল তার। অসুখের প্রভাবে প্রায়ই স্ত্রীকে নির্যাতন করে আসছিলেন তিনি। স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে স্ত্রী ফুরকুনি বাবার বাড়িতে চলে আসেন। গত শনিবার বিকালে সাইফুলও শ্বশুর বাড়িতে আসেন এবং রাতে শ্বশুর নসুমুদ্দিনের সঙ্গে এক বিছানায় ঘুমিয়ে পড়েন। এ সময় সাইফুল পাঁচ কেজি ওজনের বাটখারা দিয়ে শ্বশুরের মাথায় আঘাত করেন। একইভাবে পাশের বিছানায় ঘুমিয়ে থাকা স্ত্রী ও শাশুড়িকেও আঘাত করতে থাকেন। তাদের চিৎকারে স্বজনরা ছুটে আসেন এবং জামাইকে আটক করেন। রাতেই গুরুতর আহত অবস্থায় নসুমুদ্দিনকে উদ্ধার করে শজিমেকে ভর্তি করা হয়।
ধুনট থানার ওসি ইসমাইল হোসেন জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। দায়েরকৃত মামলায় জামাই সাইফুলকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।