বগুড়ায় জামায়াত কর্মী মিজানুর রহমান হত্যাকাণ্ডের ১১ বছর পর আওয়ামী লীগের ৪৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৪ অক্টোবর) রাতে বগুড়া সদর থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। মামলার বাদী নিহত মিজানুরের বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান।
এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক সংসদ সদস্য আলী আজগর ও ওসি সুকুমারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
মিজানুর কুমিল্লার তিতাস উপজেলার সরকারবাড়ী গ্রামের আবু কালাম সরকারের ছেলে। তিনি মুরগির হ্যাচারিতে চাকরি করতেন এবং পৌরসভার সাবগ্রাম মাস্টারপাড়ায় থাকতেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- বগুড়ার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম মোহন, দপ্তর সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আল রাজী জুয়েল, বগুড়া পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ইব্রাহিম হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম ডাবলু, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‘২০১৩ সালের ৩১ জানুয়ারি বেলা পৌনে ১টার দিকে বগুড়া শহরের সাবগ্রাম কমান্ড প্লাজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন মিজানুর। এ সময় আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে মিজানুরকে ঘিরে ধরেন। ১ নম্বর আসামি আল রাজি জুয়েলের হুকুমে ৫ নম্বর আসামি সম্পদ পশারী হত্যার উদ্দেশ্যে বার্মিজ চাকু দিয়ে মিজানুরের পেটে আঘাত করেন। পরে ৬ নম্বর আসামি সঞ্জু সরকার হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করেন। অন্য আসামিরা লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করে তার মৃত্যু নিশ্চিত করেন। পরে তারা ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মঈনুদ্দীন বলেন, ২০১৩ সালে মিজানুর হত্যাকাণ্ডের সময় তার বন্ধু মোছাদ্দিকুর রহমান সঙ্গে ছিলেন। তাই তিনি বাদী হয়ে ৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: গাড়ি পোড়ানো ও ভাঙচুরের মামলায় ফখরুল-রিজভীসহ ৮ জন খালাস