আহতরা হলেন- নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার শিমুলবাড়ি গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী মুনিরা বেগম (৪০) ও সদর উপজেলার মোজাম্মেল হকের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম (৫০)।
পুলিশ এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে জেলা যুবদলের সহ-কৃষিবিষয়ক সম্পাদক নুর মোহাম্মদকে (৩০) ধাওয়া গ্রেপ্তার করেছে। সে শাজাহানপুর উপজেলার মাঝিড়ার খাজা মিয়ার পুত্র।
প্রত্যক্ষদর্শী কোচের যাত্রী নীলফামারীর সদর উপজেলার উত্তর বালাপাড়ার শামসুল ইসলামের মেয়ে আমিনা খাতুন জানান, দুর্বৃত্তরা পেট্রোল বোমা নিক্ষেপ করলে চালক কোচ থামিয়ে দেন। এরপর দুর্বৃত্তরা কোচ ভাঙচুর করে।
কোচের ড্রাইভার আসলাম হোসেন জানান, দূর্বৃত্তরা প্রথমে একটি ট্রাকে আক্রমন করে। পরে আরেকটি যাত্রীবাহী বাসে বোমা ছুড়লে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে পেছন থাকা নাবিল পরিবহনে বোমা নিক্ষেপ করে। বাসের মধ্যে আগুন ধরে গেলে স্থানীয়রা দ্রুত আগুন নিভিয়ে পেলে।
শাজাহানপুর থানার ওসি জিয়া লতিফুল জানান, নীলফামারী ছেড়ে আসা ঢাকাগামী নাবিল পরিবহনের একটি কোচ বুধবার বেলা পৌনে ১টার দিকে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার সাজাপুর এলাকায় ঢাকা-বগুড়া মহাসড়কে পৌঁছালে ৮-১০ জন দুর্বৃত্ত কোচকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে।
তিনি বলেন, পেট্রোল বোমার আঘাতে যাত্রী মুনিরা বেগম ও আঞ্জুয়ারা আহত হন।
এ সময় টহল পুলিশ ধাওয়া করে যুবদল নেতা নুর মোহাম্মদকে আটক করে। আহতরা প্রাথমিক চিকিৎসা নেন।
তবে আহতদের শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে খোঁজ নিয়ে পাওয়া যায়নি।