শনিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদ’ আয়োজিত দোয়া ও আলোচনা অনুষ্ঠানে এ দাবি জানান বক্তারা।
ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান।
এতে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ডান্ডু, বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমেদ, হাবের সভাপতি এম শাহাদত হোসেন তসলিম, বায়রা সাবেক মহাসচিব আলী হায়দার চৌধুরী, রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টসের (আরবিএম) সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, বায়রা সিনিয়র সহসভাপতি সাহাদাত হোসেন, হাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ড. মোহাম্মদ ফারুক, রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের মহাসচিব আরিফুল রহমান বক্তব্য রাখেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম ডান্ডু বলেন, যে ব্যক্তিটি আজীবন এদেশের স্বাধীনতা আর এদেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করে গেছেন তাকেই আজকের এই দিনে সপরিবারে নিষ্ঠুরতম হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে হয়। এমন কলঙ্কময় ইতিহাস বিশ্বের আর কোথাও নেই।
‘বঙ্গবন্ধুর হত্যার রায় হলেও সবার রায় কার্যকর হয়নি। পলাতক দণ্ডপ্রাপ্তদের দ্রুত ফিরিয়ে এনে বিচার কার্যকর করতে হবে। হত্যাকারীদের পিছনে যারা ছিলেন তাদের খুঁজে বের করার জন্য একটি কমিশন গঠন করতে হবে,’ যোগ করেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর হত্যার সাথে জড়িত ষড়যন্ত্রকারীরা এখনও ষড়যন্ত্রে লিপ্ত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বাংলার মানুষ তাদের সকল অপকর্ম ও ষড়যন্ত্র সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন। তাই দেশের মাটিতে ষড়যন্ত্রকারীদের কোনো ঠাঁই হবে না।’
বায়রার সভাপতি বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘দেশের ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন পূরণের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। বিদেশ পালিয়ে থাকা দণ্ডপ্রাপ্তদের ফিরিয়ে এনে রায় কার্যকর করতে হবে।’
হাবের সভাপতি এম সাহাদত হোসেন তসলিম বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে ত্যাগ স্বীকার করেছেন তা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল। অত্যন্ত বিচক্ষণতার সাথে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি এ জাতিকে স্বাধীনতা এনে দিয়েছেন। তিনি স্বপ্ন দেখেছিলেন বাংলাদেশকে উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করার। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তার সেই স্বপ্নকে থামিয়ে দেয়া হয়। বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপদানের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরন্তর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।’
রিক্রুটিং এজেন্সিজ ঐক্য পরিষদের সভাপতি এম টিপু সুলতান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকারী বিদেশ পলাতক আসামিদের ফিরিয়ে এনে দ্রুত রায় কার্যকর করতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু এ জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান। যতদিন এদেশ থাকবে, ততদিন বঙ্গবন্ধুকে জাতি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।’
‘বঙ্গবন্ধু, বাঙালি ও বাংলা অবিচ্ছেদ্য অংশ। বাংলার শোষিত, বঞ্চিত ও নিপীড়িত জনগোষ্ঠির অধিকার আদায়ের জন্য তিনি সীমাহীন ত্যাগ-তিতিক্ষা, জেল-জুলুম ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন,’ যোগ করেন তিনি।