‘বেলুচিস্তান বা কাশ্মির এখনো স্বাধীনতা পায়নি। বঙ্গবন্ধু এদেশকে স্বাধীন করেছিল বলেই আপনারা আজ স্বাধীন দেশের নাগরিক। কাজেই বঙ্গবন্ধুর সম্মানে দেশে যে ভাস্কর্য হবে তা নির্মাণে কোনো বাধা দিতে আসবেন না। বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য এদেশের মাটিতে হবেই,’ বলেন তিনি।
রবিবার মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতালে পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরে আয়োজিত পরিবার পরিকল্পনা সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২০ উদযাপন উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
পরিবার পরিকল্পনা সপ্তাহ পালন প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, অন্যান্য বছর ব্যাপক পরিসরে পরিবার পরিকল্পনা সপ্তাহ পালন করা হলেও এ বছর কোভিডের কারণে কিছুটা সীমিত পরিসরে পালন করা হচ্ছে। তবে কোভিডের কারণে মানুষের স্বাস্থ্যসেবার কোনো ঘাটতি হতে দেয়া হয়নি। দেশের ১৪ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক সার্বক্ষণিক খোলা রয়েছে। টিকাদান কর্মসূচি চলমান রয়েছে। ভ্যাকসিন আনার কাজও এগিয়ে যাচ্ছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, ‘গতকাল (৫ ডিসেম্বর) অনলাইন জুমের মাধ্যমে অংশ নিয়ে দেশের ১০ জেলায় একযোগে অ্যান্টিজেন টেস্ট প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে। এই টেস্টের মাধ্যমে মাত্র ১৫-৩০ মিনিটের রিপোর্ট পাওয়া যাবে। এর ফলে দেশে কোভিড পরীক্ষার আরেকটি নতুন ধাপ সংযোজিত হয়েছে। মানুষ এখন সচেতন হলে কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ সামলানো সহজ হবে।’
এর আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ২০০ শয্যাবিশিষ্ট লালকুঠি, মিরপুর মাতৃ ও শিশুশিক্ষা প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালের আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন এবং হাসপাতাল প্রাঙ্গণে একটি বকুল ফুল গাছের চারা রোপন করেন।
উল্লেখ্য, সারাদেশে ৬০টি মা-শিশু কল্যাণ কেন্দ্র, ৪০০৮টি ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্রসহ মোট ৪৬৮২টি সেবাকেন্দ্র থেকে একযোগে পরিবার কল্যাণ সেবা ও প্রচার সপ্তাহ-২০২০ পালন করা হচ্ছে।
পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সাহান আরা বানুর সভাপতিত্বে সভায় ঢাকা-১৪ আসনের সংসদ সদস্য আসলামুল হক, নিপোর্টের মহাপরিচালক, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন), পরিচালক আইএমই ইউনিটের পরিচালক, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা প্রমূখ বক্তব্য দেন।