কোস্ট ট্রাস্ট, কেয়ার এবং অন্যদের মধ্যে অক্সফ্যাম এক যৌথ বিবৃতিতে এ আহ্বান জানিয়েছে।
সংস্থাগুলো শরণার্থী, আশ্রয়প্রার্থী মানুষের জীবন বাঁচাতে অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা এবং তাদের তীরে অবতরণ করার অনুমতি ও পর্যাপ্ত সহায়তা দেয়ার জন্য সরকারগুলোকে আহ্বান জানিয়েছে।
বিবৃতিতে তারা এ অঞ্চলের রাজ্যরাষ্ট্রগুলোকে বিষয়টি সমাধানের জন্য জরুরিভাবে সম্মিলিত সমাধান গ্রহণ এবং উদ্বাস্তুদের আশ্রয়ের জন্য আরও ভালো দায়িত্ব নেয়ার আহ্বান জানান।
বর্তমানে কয়েক শ রোহিঙ্গা শরণার্থী সমুদ্রে আটকা রয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বাংলাদেশ সম্প্রতি ৪০০ শরণার্থীকে তাদের তীরে নামার অনুমতি দিয়েছে।
তবে, বর্তমান কোভিড-১৯ সংকটের অজুহাত দেখিয়ে এ অঞ্চলের অন্য সরকারগুলো শরণার্থীদের অবতরণ করার অনুমতি দিতে অনীহা প্রকাশ করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এ আশ্রয়প্রার্থীদের তীরে আশ্রয় না দেয়ার কোনো অজুহাত হতে পারে না এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার, মানবিক, শরণার্থী এবং সামুদ্রিক আইন অনুসারে দেশগুলো এ বিষয়ে তাদের দায়বদ্ধতা এড়াতে পারে না।
সমুদ্রে ভাসমান নৌকাগুলোকে তীরে আসতে বাধা দেয়ার ফলে সমুদ্রেই বেশ কিছু লোকের মৃত্যুর সম্ভাবনা রয়েছে বলে মানবিক সংস্থাগুলো জানিয়েছে।
তারা আরও বলেছে, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, মিয়ানমার, থাইল্যান্ড এবং বাংলাদেশ সবাই ‘বালি প্রসেস অন পিপল স্মাগলিংক, ট্রাফিকিং ইন পার্সন অ্যান্ড রিলেটেড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম’র সদস্য, যা এ ধরনের আশ্রয়প্রার্থীদের তীরে আশ্রয় দেয়ার ক্ষেত্রে আঞ্চলিক ও সমন্বিত উদ্যোগকে উৎসাহিত করে।
তারা এ অঞ্চলের সব সরকারকে দুর্বল মানুষের প্রয়োজনকে অগ্রাধিকার দেয়ার আহ্বান জানায়।
বিবৃতি দেয়া অন্য মানবিক সংস্থাগুলো হলো এ্যাকশন কন্ট্রি লা ফেইম, এশিয়া প্যাসিফিক রিফিউজি রাইটস নেটওয়ার্ক, এশিয়ান ডিগনিটি ইনিশিয়েটিভ, চাইল্ডফান্ড ইন্টারন্যাশনাল, ডেনিশ রিফিউজি কাউন্সিল, হিউম্যিানিটি এন্ড ইনক্লুশন, আইএসডিই বাংলাদেশ, মেডিসিনস ডু মোন্ডি ফ্রান্স, ম্যাডেসিনস ডু মোন্ডি সুইজারল্যান্ড, মুক্তি কক্সবাজার, নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিল, পালস, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল, সেভ দ্য ইন্টারন্যাশনাল এবং সলিডারিটসের ইন্টারন্যাশনাল।