রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার ঢাকার ৭ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাদেম উল কায়েস এ আদেশ দেন।
এদিন আদালতে সাফাত আহমেদের উপস্থিতিতে বিচারক তার জামিন আবেদন বাতিল করেন। এছাড়া কারাগারে থাকা মামলার অপর আসামি সাফাতের বন্ধু নাঈম আশরাফের জামিন আবেদনও নামঞ্জুর করেন।
আজ মামলার ভুক্তভোগীকে জেরা করার দিন ধার্য ছিল। আদালতে আসামি পক্ষের আইনজীবী জেরা করেন। তবে জেরা করা শেষ না হওয়ায় আগামী ৬ মার্চ পরবর্তী জেরার জন্য নতুন করে দিন ধার্য করে ট্রাইব্যুনাল।
গত ২৯ নভেম্বর সাফাত আহমেদের জামিন মঞ্জুর করেন একই বিচারক। এর আগে ধর্ষণের সহযোগী আসামি সাফাত আহমেদের দেহরক্ষী রহমত আলী ও গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন এবং বন্ধু সাদমান সাকিব বিভিন্ন সময়ে জামিন পান।
১৫ জানুয়ারি সাফাত আহমেদের জামিন বাতিলের আবেদন করেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। আদালত আসামির জামিন বাতিল বিষয়ে শুনানির জন্য বুধবার দিন নির্ধারণ করেছিলেন।
অপরদিকে আসামির আইনজীবী কাজী নজিব উল্লাহ হীরু জামিন স্থায়ী করার জন্য আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষ জামিন বাতিলের আবেদনে উল্লেখ করে, আসামি সাফাতের অসুস্থতা বিবেচনায় ট্রাইব্যুনাল জামিন মঞ্জুর করে। কিন্তু আসামি যে এখনও অসুস্থ তার কোনো সার্টিফিকেট আদালতে দাখিল করতে পারেননি। তাকে দেখেও অসুস্থ মনে হয় না। তাই তার জামিন বাতিল করা প্রয়োজন। জামিন বাতিল না হলে তিনি সাক্ষীদের ভয়ভীতি ও প্রভাবিত করতে পারেন।
২০১৭ সালের ২৮ মার্চ বনানীর দ্য রেইন ট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টির কথা বলে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়।ঘটনার প্রায় ৪০ দিন পর ৬ মে সন্ধ্যায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদসহ পাঁচজনকে আসামি করে বনানী থানায় ধর্ষণের মামলা করেন এক ভুক্তভোগী।
৮ জুন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম দেলোয়ার হোসেনের আদালতে সাফাতসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন পুলিশের নারী সহায়তা ও তদন্ত বিভাগের পরিদর্শক ইসমত আরা এমি। অভিযোগপত্রে ৪৭ জনকে সাক্ষী করা হয়।
১৩ জুলাই ঢাকার দুই নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক শফিউল আজম আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।