সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে কম যাত্রী নিয়ে বাস-মিনিবাস পরিচালনার জন্য মালিকদের আর্থিক ক্ষতির বিষয়টি জনগণের ওপর না চাপিয়ে সরকারি প্রণোদনার আওতাভুক্ত করারও দাবি জানিয়েছে ‘কনসাস কনজুমার্স সোসাইটি’ (সিসিএস)।
রবিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানায় সংস্থাটি।
সিসিএসের নির্বাহী পরিচালক পলাশ মাহমুদ বলেন, ‘কোভিড-১৯ এর মধ্যে সাধারণ মানুষের উপার্জন কমেছে। লাখ লাখ মানুষ কর্ম ও আয়হীন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে নিত্যপণ্যের মূল্য বেড়েছে। বিদ্যুতের ভুতুড়ে বিলের খড়গও সইতে হচ্ছে জনসাধারণকে। বহু বেসরকারি চাকরিজীবীদের বেতন কমানো হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে বাস ভাড়া বৃদ্ধির যে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে তা জনসাধারণের ওপর মারাত্মক জুলুম ও অবিচারের সামিল।’
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাস-মিনিবাস চালনোর ক্ষেত্রে পরিবহন মালিকদের ন্যয়সঙ্গত স্বার্থ সুরক্ষার দায়িত্ব সরকারের উল্লেখ করে পলাশ মাহমুদ বলেন, পরিবহন মালিকরা যেন ক্ষতির মুখে পড়ে সেজন্য বিকল্প হিসেবে বিষয়টিকে সরকারের প্রণোদনার আওতাভুক্ত করা যেতে পারে।
বিকল্প কোনো উপায় না খুঁজে বিআরটিএ’র ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি সরাসরি ৮০ শতাংশ ভাড়া বৃদ্ধির জনস্বার্থবিরোধী সুপারিশ করেছে। ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটি বাস মালিকদের অনৈতিক স্বার্থ রক্ষার কমিটিতে পরিণত হয়েছে।
জনস্বার্থবিরোধী কমিটি অবিলম্বে পুনর্গঠন করার দাবি জানিয়ে সিসিএস বলছে, বিআরটিএর ১১ সদস্য বিশিষ্ট ব্যয় বিশ্লেষণ কমিটিতে কোনো যাত্রী বা ভোক্তা প্রতিনিধি নেই। অপর পক্ষে কমিটির প্রায় অর্ধেক সদস্য বাস মালিক।
গত শনিবার অনুষ্ঠিত ওই সভায়ও যাত্রী বা ভোক্তার কোনো প্রতিনিধির অংশগ্রহণ ছিল না। এ ধরনের একটি সভা করে এক তরফাভাবে জনগণের ওপর ভাড়ার বোঝা চাপিয়ে দেয়া সম্পূর্ণ জনস্বার্থবিরোধী বলে মনে করে সিসিএস।
অন্যদিকে, ট্রেন ও নৌ-পথে যাত্রী পরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি না করায় রেল পথ মন্ত্রণালয় ও নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানিয়েছে সিসিএস।