মোসারাত জাহান মুনিয়াকে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) সায়েম সোবহান আনভীরের করা আগাম জামিন আবেদনসহ ১৫টি আগাম জামিন আবেদনের শুনানি করেননি হাইকোর্ট।
রংলি আবেদনগুলো লিস্টে এসেছে উল্লেখ করে আবেদনগুলোর শুনানি করেননি বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ। একই সাথে লকডাউনে জরুরি বিষয়াদি শুনানির জন্য প্রধান বিচারপতি যখন এই বেঞ্চ গঠন করেছেন তখন এই বেঞ্চকে আগাম জামিন শুনানির এখতিয়ার দেয়া হয়নি।
পরে বিষয়টি লক্ষ্য করে বৃহস্পতিবার সকালে ওই বেঞ্চের কোর্ট রুমের দরজায় টানানো কাগজে লেখা ছিল, 'বর্তমান লকডাউন এবং কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে অত্র কোর্ট আগাম জামিনের আবেদনপত্র পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত শুনানি গ্রহণ করিবেন না বলে অত্র আদালত অভিমত ব্যক্ত করিয়াছেন।'
আরও পড়ুন: হাইকোর্টে বসুন্ধরা গ্রুপের এমডির আগাম জামিন আবেদন
এরপর ভার্চুয়ালি এই হাইকোর্ট বেঞ্চের আজকের কার্যক্রম শুরু হলে আদালত বলেন, 'আগাম জামিনের বিষয়গুলো রংলি লিস্টে (কার্যতালিকায়) এসেছে। আমাদের ইনস্ট্রাকশন ছিল এগুলা ভবিষ্যতে আসবে। তাই আজকের কার্যতালিকায় থাকা ১৩ থেকে ২৭ নম্বরে থাকা আগাম জামিন আবেদনের শুনানি আজ হবে না।'
এর আগে রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান মুনিয়া নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে করা মামলায় সায়েম সোবহান আনভীরের পক্ষে গতকাল বুধবার আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি মামুনুন রহমান ও বিচারপতি খন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই জামিন আবেদনটি শুনানির জন্য দৈনন্দিন কার্যতালিকার ১৪ নম্বর ক্রমিকে শুনানির জন্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।
এর আগে সোমবার সন্ধ্যায় গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে তরুণীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধারের পর রাতেই ভুক্তভোগী তরুণীর বোন বাদী হয়ে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ এনে গুলশান থানায় মামলা করেন। সেই মামলার আসামি করা হয় বসুন্ধরা গ্রুপের এমডি সায়েম সোবহান আনভীরকে। পরদিন মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সুফিয়ান মোহাম্মদ নোমানের আদালত এই মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য আগামী ৩০ মে দিন ধার্য করেন।
আরও পড়ুন: ন্যায়বিচার চায় মুনিয়ার পরিবার
এছাড়া মামলার তদন্ত কর্মকর্তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি সায়েম সোবহান আনভীরের বিদেশে যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন