মঙ্গলবার রাতে মার্কিন উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী স্টিফেন ই বিগান টেলিফোনে এক ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘আমরা দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বিশেষত ভারত এবং বাংলাদেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর করার বাস্তব সম্ভাবনার এক মুহূর্তে রয়েছি।’
উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বিগান বলেন যে তার সাম্প্রতিক বাংলাদেশ ও ভারত সফর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এই দুই গুরুত্বপূর্ণ অংশীদারদের সাথে ধারাবাহিক যোগাযোগের অংশ ছিল।
তিনি বলেন, ‘এবং এটি এমন যা আপনি আগামী কয়েক সপ্তাহ এবং কয়েক মাস ধরে অগ্রসর হতে দেখবেন।’
মার্কিন নির্বাচন নিয়ে বিগান বলেন, নির্বাচনের ফলাফল যাই হোক না কেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং এই দুই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দক্ষিণ এশিয়ার অংশীদারদের মধ্যে সম্পর্কের ক্ষেত্রে পরিবর্তন হবে না।
তিনি বলেন, ‘এটি অবশ্যই একটি কাজ যাতে আমি অংশ হতে পেরে খুশি এবং আমি আমাদের পরবর্তী কাজের জন্য খুব আগ্রহী।’
বিগান সপ্তাহব্যাপী দিল্লি ও ঢাকায় সফর শেষে শনিবার রাতে ওয়াশিংটনে ফিরে যান।
তিনি বলেন, ‘উভয় দেশের সরকারের সাথে অসাধারণ উষ্ণ এবং গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে এবং এটি আমাকে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী করে তোলে যে এই উভয় দেশের সাথে আমাদের সম্পর্ক ভবিষ্যতে আরও সাফল্যের জন্য অপেক্ষা করছে।’
বিগান বলেন, তার বাংলাদেশ সফরের উদ্দেশ্য ছিল মার্কিন সম্পর্কের বিষয়টি বিবেচনা করা ও গভীর করা এবং তারা কীভাবে জনগণের মধ্যে সহযোগিতা বাড়িয়ে তুলতে পারে তার জন্য একটি পথ নির্ধারণ করা, বিশেষত বিজ্ঞান, সংস্কৃতি এবং চিকিত্সাসহ সরকারি আগ্রহের বিভিন্ন ক্ষেত্রে।
তার সফরের উদ্দেশ্য ছিল ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (আইপিএস) সম্পর্কিত পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়ে আলোচনা, করোনা মোকাবিলা ও অর্থনীতি পুনরুদ্ধার এবং স্থায়ী অর্থনৈতিক উন্নয়ন প্রচেষ্টায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের অংশীদারিত্ব ও যৌথ সহযোগিতা নিয়ে।
বিগান জানান, বাংলাদেশে তারা কোভিড-১৯ এ ঘনিষ্ঠ সহযোগিতাসহ সম্পর্কের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ নিয়ে আলোচনা করার সুযোগ পেয়েছেন।