চুক্তিতে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ রেলওয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (আরএস) মো. শাসসুজ্জামান এবং আমেরিকান কোম্পানি প্রগ্রেস রেলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট প্যাট্রিক ও ডনেল।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন জানান, রেলকে যুগোপযোগী উন্নয়নে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন তিনি। ‘মানুষকে রেলের মাধ্যমে কাঙ্ক্ষিত সেবা দেয়ার জন্য সর্বোত্তম চেষ্টা করা হবে। ইঞ্জিন পাওয়া শুরু করলে অধিক পরিমানে বিভিন্ন রুটে ট্রেন চালানো সম্ভব হবে এবং এর মাধ্যমে বেশি করে রাজস্ব আহরণ করা যাবে।’
মন্ত্রী এ সময় জানান, লোকবল সংকটে সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে। দ্রুত লোকবল নিয়োগের ব্যবস্থা করা হবে। রেল খাতকে একটি উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার লক্ষ্যে তিনি কাজ করবেন। নতুন কোচগুলোকে পয়:নিষ্কাশনের পরিবেশ বান্ধব ব্যবস্থা করার জন্য ইতোমধ্যেই তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
চুক্তি অনুযায়ী ২৪ থেকে ৩৬ মাসের মধ্যে সকল ইঞ্জিন সরবরাহ করবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান।এডিবির অর্থায়নে লোকোমোটিভগুলো ক্রয় করা হচ্ছে। বাংলাদেশি টাকায় চুক্তি মূল্য ১১২৩ কোটি ৫ লাখ টাকা।
জানা গেছে, বর্তমানে বাংলাদেশ রেলওয়েতে ৯৪ টি ব্রডগেজ লোকোমোটিভ রয়েছে যার মধ্যে ৫৫টির অথনৈতিক আয়ুস্কাল (২০ বছর হিসাবে) শেষ হয়ে গেছে। কাজেই দ্রুত এসব ইঞ্জিন প্রতিস্থাপনের জন্য নতুন ইঞ্জিন পাওয়া খুবই দরকার।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোফাজ্জেল হোসেন, মহাপরিচালক মো. কাজী রফিকুল আলম, নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।