তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সব সময় শান্তির ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন এবং বাংলাদেশের জনগণও সব সময় শান্তিপ্রিয়। বাংলাদেশকে আমরা সারা বিশ্বের মধ্যে ‘শান্তির জনপদ’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।’
ইতিবাচক ব্র্যান্ডিংয়ে দেশে আরও বিনিয়োগ, চাকরির সুযোগ তৈরি হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘বিজয় দিবসের চেতনা ও আজকের বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল আলোচনা সভায় রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক ও অভিন্ন, এ বিষয়টি আমরা সারা বিশ্বের সামনে তুলে ধরতে চাই।’
বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন আয়োজিত এ আলোচনা সভায় ড. মোমেন বলেন, ‘অনেকে বাংলাদেশকে দারিদ্র্যক্লিষ্ট, সাইক্লোনক্লিষ্ট, দুর্নীতিপরায়ণ দেশ হিসেবে ব্র্যান্ডিং করেন। কিন্তু বাংলাদেশ এখন অপার সম্ভাবনার দেশ, অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল, দুর্যোগ মোকাবিলার প্রস্তুতিতে প্রথম ও নারীর ক্ষমতায়নে নক্ষত্র।’
ভারত, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডের সমন্বিত আন্তর্জাতিক সড়কে যোগ দিতে চায় বাংলাদেশ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
‘আমাদের দেশে বিনিয়োগ প্রতিবেশী রাষ্ট্রের তুলনায় অনেক বেশি। সুতরাং বিদেশিরা এখানে বিনিয়োগ করলে উভয় পক্ষ লাভবান হবে,’ বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘পদ্মাসেতু আমাদের জন্য আরেকটি বড় বিজয়। প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ়তায় নিজেদের অর্থে পদ্মা সেতু তৈরি করতে বাংলাদেশ সক্ষম হয়েছে।’
মেধাবী তরুণরা দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখতে পারে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত পথে চলতে পারলে অবশ্যই আমরা আমাদের স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারবো।’
‘আমরা জনবান্ধব, ব্যবসাবান্ধব, দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। দুর্নীতি রোধে ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যাপকভাবে সাহায্য করছে,’ বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
২০২১ সালে ব্যাপক দ্বিপক্ষীয় কার্যক্রমের সাক্ষী হবে ঢাকা-দিল্লি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বঙ্গবন্ধুর পলাতক খুনিদের বিষয়ে নজর রাখার জন্য প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “বঙ্গবন্ধুর কয়েকজন খুনি বিভিন্ন দেশে পলাতক রয়েছে। এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় ‘সিগনেচার ক্যাম্পেইন’ শুরু করেছে। তারা স্বাক্ষর সংগ্রহ করে ওইসব দেশের সরকারের কাছে পৌঁছে দিচ্ছে।’
বাংলাদেশ সবার সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভার্চুয়াল এ সভায় সংযুক্ত ছিলেন শেখ পরিবারের প্রবীণতম সদস্য শেখ কবির হোসেন, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব শহীদুল্লাহ খন্দকার, বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী রিয়াজুল হক এবং বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম ঠান্ডু ও নির্বাহী সভাপতি মশিউর মালেক।