নারীর ক্ষমতায়ন
কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ নিয়ে যে কারণে এত আলোচনা
২৬ এপ্রিল বিশ্ব নন্দিত ওটিটি (ওভার-দ্য-টপ) প্ল্যাটফর্ম নেটফ্লিক্সে প্রিমিয়ার হলো কিরণ রাওয়ের ‘লাপাতা লেডিস’ চলচ্চিত্র। এর আগে ১ মার্চ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার পর থেকেই শোরগোল শুরু হয়ে গেছে হিন্দি ভাষার ছবিটি নিয়ে। প্রথম সারির কোনো অভিনয়শিল্পী না থাকলেও সিনেমাটির ভূয়সী প্রশংসা করেছেন স্বনামধন্য বলিউড তারকারা। মিডিয়াপাড়াজুড়ে এই চলচ্চিত্রটি নিয়ে কেন এত আলোচনা, চলুন তা জেনে নেওয়া যাক।
‘লাপাতা লেডিস’ চলচ্চিত্রের কলাকুশলী
পরিচালক কিরণ রাওয়ের শুরুটা ছিল ২০১০ সালে রোমান্টিক সিনেমা ‘ধোবি ঘাট’ দিয়ে। দীর্ঘ ১৪ বছর পর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র হিসেবে এবার তিনি ফিরলেন স্যাটায়ার নিয়ে।
প্রযোজনা কমিটিতে তার সঙ্গে রয়েছেন জ্যোতি দেশপান্ডে এবং প্রাক্তন স্বামী বলিউডের তারকা অভিনেতা আমির খান। বিপ্লব গোস্বামীর গল্প নিয়ে চলচ্চিত্রের জন্য চিত্রনাট্য ও সংলাপ নির্মাণ করেছেন স্নেহা দেশাই।
সিনেমার অভিনয়শিল্পীরা হলেন নিতানশি গোয়েল, প্রতিভা রান্তা, স্পর্শ শ্রীবাস্তাব, ছায়া কদম, অভয় ডুবে, রবি কিষাণ, দুর্গেশ কুমার, এবং গীতা আগারওয়াল।
আরও পড়ুন: 'প্রিয় মালতী' হতে যাচ্ছে মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম সিনেমা
ছবিটির সংগীত আয়োজন করেছেন রাম সম্পাথ এবং গানের কথায় ছিলেন দিব্যনিধি শর্মা, প্রশান্ত পান্ডে এবং স্বানন্দ কিরকিরে। সিনেমাটোগ্রাফিতে ছিলেন বিকাশ নওলাখা এবং সম্পাদনায় জাবীন মার্চেন্ট।
ছবিটি সর্বপ্রথম ২০২৩ সালের ৮ সেপ্টেম্বর টিআইএফএফ (টরন্টো ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল) এ প্রদর্শিত হয়েছিল।
৬ মাস আগে
খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ: খসরু
খালেদা জিয়া বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়নের পথিকৃৎ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি নেতা আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
খসরু বলেন, ‘১৯৯১ সালে স্বৈরাচারী এইচএম এরশাদের বিরুদ্ধে সফল আন্দোলন করে বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন বেগম জিয়া। তিনি প্রমাণ করেছিলেন যে একজন নারী প্রধানমন্ত্রী হতে পারেন এবং স্বৈরাচারী শাসনের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নেতৃত্ব দিতে পারেন।’
শুক্রবার আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
খসরু আরও বলেন, খালেদা জিয়া তার প্রথম মেয়াদে নারীবিষয়ক মন্ত্রণালয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে সরকারের প্রতিটি সেক্টরে নারী নিয়োগ নিশ্চিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: আন্তর্জাতিক নারী দিবস: আমেনার দায় নিবে কে
তিনি বলেন, হাঁস, মুরগি, ছাগল ইত্যাদি পালনের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করে এবং ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে ঋণ দিতে উৎসাহিত করে নারীদের আর্থিকভাবে ক্ষমতায়নের উদ্যোগ নিয়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি নারীর প্রকৃত ক্ষমতায়ন চাই তাহলে তাদের নিজেদের পথ বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা আমাদের দিতে হবে।’
এই বিএনপি নেতা অভিযোগ করেন, আজকাল দেখা যাচ্ছে যে নারীরা নিত্যদিন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
আরও পড়ুন: নারী দিবসে ৩ সম্মাননা পেলেন বিশ্বজয়ী বাংলাদেশি পর্যটক নাজমুন নাহার
তিনি বলেন, যারা নারী অধিকারের জন্য কাজ করছেন তারাই স্বৈরাচারী শাসনব্যবস্থার অংশ এজন্য হয়রানির বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলছেন না।
আমির খসরু বলেন, প্রায় সব সেক্টর আওয়ামী লীগের লোকজনের দখলে, যারা ভয়ের সংস্কৃতি গড়ে তুলেছে। এজন্য কেউ বিচার পাচ্ছে না।
দেশে নারীসহ মানুষের কোনো অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেন এই বিএনপি নেতা।
খসরু বলেন, ভোটাধিকারের মতো মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত হলেই নারী অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, এখন সময় এসেছে নারীসহ জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করার।
আরও পড়ুন: কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ বেড়েছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণে নয়: জবি ভিসি
৮ মাস আগে
রাইড-শেয়ারিংয়ে বাড়ছে ঢাকার কর্মক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ
রাইড শেয়ারিংয়ের সুবিধা পাওয়ায় ২০২৮ সালের মধ্যে প্রায় তিন লাখ নারী ঢাকায় বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে যুক্ত হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে এ সংক্রান্ত অ্যাপ উবার।
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন ও অর্থনৈতিক সুযোগ বৃদ্ধিতে রাইড-হেইলিং প্ল্যাটফর্মের ভূমিকার ওপর আলোকপাত করে বৃহস্পতিবার “রাইড-হেইলিং: আ প্ল্যাটফর্ম ফর উইমেন’স ইকোনমিক অপরচুনিটি ইন বাংলাদেশ” শীর্ষক একটি গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে উবার ও অক্সফোর্ড ইকোনমিকস।
এতে বলা হয়, কর্মক্ষেত্রে আরও বেশি সংখ্যক নারীকে যুক্ত করতে এ সার্ভিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে বলে প্রতিবেদনটিতে প্রকাশ করা হয়েছে।
এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ২০২৮ সালের মধ্যে ঢাকার নারী কর্মীর হার বাড়তে পারে ১৩ শতাংশের বেশি। রাইডশেয়ারিং সুবিধার ফলে প্রায় ৩ লাখ নারী ঢাকার কর্মক্ষেত্রে যোগ দেবেন। এতে ঢাকার অর্থনীতির আকার ১ দশমিক ৫ শতাংশের বেশি বাড়বে।
ঢাকার নারী ও পুরুষদের রাইডশেয়ারিং সংক্রান্ত আচরণ সম্পর্কে ধারণা পেতে চালানো জরিপে দেখা গেছে, রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের সহজলভ্যতার কারণে তারা কর্মক্ষেত্রে যোগ দিতে সক্ষম হয়েছেন বলে প্রতি ৩ জনে ১ জনের বেশি নারী যাত্রী জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: দুর্যোগের সময়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিরাপদ বোধ করেন না প্রায় ৬৭ শতাংশ নারী
প্রতিবেদনটি প্রসঙ্গে বিআরটিএ চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) নুর মোহাম্মদ মজুমদার বলেন, ‘নিরাপদ ও বিশ্বস্ত পরিবহন নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ, এবং রাইড-হেইলিং সেবাসমূহ এই প্রয়োজনীয়তা পূরণে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। উবারের গবেষণা থেকে প্রাপ্ত ফলাফল নারী ক্ষমতায়নের জন্য আমাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করে। বাংলাদেশে নারীদের নিরাপদ চলাচল এবং অর্থনৈতিক অংশগ্রহণ বাড়ানোর এই ভূমিকা ও উদ্যোগের প্রতি আমি প্রশংসা ও সমর্থন জানাচ্ছি।’
উবার বাংলাদেশের কান্ট্রি হেড নাশিদ ফেরদৌস কামাল বলেন, নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য যাতায়াত ব্যবস্থার ফলে আরও বেশি সংখ্যক নারীর জন্য কর্মশক্তিতে যোগ দেওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয় বলে গবেষণায় উঠে এসেছে। উবার ও অন্যান্য রাইডশেয়ারিং সার্ভিসগুলোকে এই ‘জেন্ডার কমিউট গ্যাপ’ সমাধানে কাজ করছে। এর মাধ্যমে নারীরা নিরাপদে ও সুবিধাজনকভাবে সরাসরি কমর্স্থল বা নিজের কাছাকাছি গণপরিবহন স্টেশন পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারেন।
আরও পড়ুন: নারীর জন্য বিনিয়োগ বাড়াতে হবে: ডিক্যাব আয়োজনে রুমানা আলী
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের লিড ইকোনমিস্ট বালি কৌর সোধি বলেন, ‘উদীয়মান বাজারে নারীরা এখনো গৃহস্থালি ও সেবা প্রদানের কাজ বেশি করে থাকেন। এই প্রতিবেদন নারীদের কর্মশক্তিতে প্রবেশ বা কর্মজীবনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যাতায়াতের বাধা দূর করতে সহায়তার লক্ষ্যে প্রযুক্তি ব্যবহারের জন্য একটি প্রমাণ-ভিত্তিক নীতির সুপারিশ করে।
৮ মাস আগে
বাংলাদেশে নারীর ক্ষমতায়ন বেগম রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশ যথেষ্ট এগিয়েছে। তাই বাংলাদেশ রোকেয়ার স্বপ্ন পূরণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘বেগম রোকেয়া যেমন বলেছিলেন আমাদের নারীরা যাতে স্বাবলম্বী হতে পারে এবং নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে- সেজন্য আমরা সবসময় চেষ্টা করে যাচ্ছি। তিনি (রোকেয়া) বলেছিলেন, যেদিন নারীরা জজ-ব্যারিস্টার হবেন সেদিনই তার স্বপ্ন পূরণ হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা যথেষ্ট এগিয়েছি।’
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ উদযাপন ও বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিশিষ্ট ৫ নারীর হাতে বেগম রোকেয়া পদক ২০২৩ তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক উন্নত দেশ এখনো একজন নারীকে সরকার প্রধান হিসেবে নির্বাচিত করতে পারেনি। আজ পর্যন্ত সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশেও একজন নারী প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি।
রোকেয়ার স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশেই আমরা তার প্রত্যাশা অনেকটাই পূরণ করতে পেরেছি।’
বেগম রোকেয়া দিবস ২০২৩ উদযাপন উপলক্ষে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
সমাজ, নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে অসামান্য অবদানের জন্য ৫ জন নারীকে বেগম রোকেয়া পদক-২০২৩ তুলে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জ সফরে নির্বাচনী আচরণবিধি রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী
পদক গ্রহীতা ৫ জন হলেন- নারী শিক্ষার জন্য বগুড়ার বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) প্রথম নারী উপাচার্য অধ্যাপক খালেদা একরাম (মরণোত্তর); নারী অধিকারের জন্য রংপুরের প্রখ্যাত প্রজনন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. হালিদা হানুম আক্তার; নারীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে অবদানের জন্য নেত্রকোণার কামরুন্নেসা আশরাফ দিনা (মরণোত্তর); পল্লী উন্নয়নের জন্য ঠাকুরগাঁওয়ের রণিতা বালা এবং লক্ষ্মীপুরের নিশাত মজুমদার (পর্বতারোহী)।
অনুষ্ঠানে পদক গ্রহীতাদের পক্ষ থেকে নিশাত মজুমদার তার অনুভূতি ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরার সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক।
আরও পড়ুন: টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন প্রধানমন্ত্রীর
১১ মাস আগে
নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী একজন 'গ্লোবাল স্টার': মোমেন
সৌদি আরবের জেদ্দায় অনুষ্ঠিতব্য ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন উইমেন ইন ইসলামে’ যোগ দিতে ৫ নভেম্বর সৌদি আরব যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
ইসলামি সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) সাধারণ সচিবালয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে সৌদি আরব ৬-৮ নভেম্বর এই সম্মেলনের আয়োজন করছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী ৫ নভেম্বর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে মদিনা যাবেন। তিনি মদিনা থেকে ট্রেনে জেদ্দা যাবেন এবং ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় সম্মেলনে যোগ দেবেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এরপর তিনি মক্কা সফর করবেন এবং সেখানে ওমরাহ পালন করবেন। ৭ নভেম্বর আরেকটি বাণিজ্যিক ফ্লাইটে দেশে ফেরার পরিকল্পনা রয়েছে তার। বিষয়গুলো চূড়ান্ত করা হচ্ছে।
এক কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানান, সৌদি আরব ও ওআইসি সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।
আরও পড়ুন: দুই দেশের জনগণের সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে ভারতের সহায়তায় ৩ প্রকল্প: প্রধানমন্ত্রী
মোমেন বলেন, সফরকালে ওআইসি মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা, ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন।
ইতোমধ্যেই বাংলাদেশ নারী ও শিশুসহ নিরপরাধ বেসামরিক নাগরিকদের হত্যার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে এবং ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি নৃশংসতা অবিলম্বে বন্ধের দাবি জানিয়েছে। ফিলিস্তিন ইস্যুতে বাংলাদেশ তার অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করতে পারে।
সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরে মোমেন বলেন, নারীর ক্ষমতায়নে প্রধানমন্ত্রী একজন 'স্টার' এবং তার প্রচেষ্টার জন্য তিনি বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছেন।
তিনি বলেন, তিনি প্রতিটি সেক্টরে নারীর অংশগ্রহণ ছাড়াও তৃণমূল পর্যায়ে নারীর ক্ষমতায়ন করেছেন।
আরও পড়ুন: ক্যাশলেস সোসাইটির দিকে এগোচ্ছে বাংলাদেশ: 'টাকা পে' কার্ড উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী
ব্যয়বহুল ডলার সাশ্রয়ে প্রথমবারের মতো স্থানীয় কারেন্সি কার্ড 'টাকা পে' উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
নারীর ক্ষমতায়নে সামাজিক-অর্থনৈতিক-পরিবেশগত বাধাই প্রধান: জাতিসংঘ
সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতাই নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূরী করার পথে উল্লেখযোগ্য বাধা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গ্উইন লুইস।
তিনি বলেন, সারাদেশে অগ্রগতি সত্ত্বেও সামাজিক, অর্থনৈতিক ও ক্রমবর্ধমান পরিবেশগত প্রতিবন্ধকতা নারীর ক্ষমতায়ন ও লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতা দূরীকরণের পথে উল্লেখযোগ্য বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।এটি খুলনা ও বরিশালের নারী ও মেয়েদের কাছ থেকে তারা শুনেছেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘের কান্ট্রি টিমের খুলনা ও বরিশাল বিভাগ সফরের ফলাফল তুলে ধরে তিনি বলেন, 'দেশের ভিশন অর্জনে আরও প্রচেষ্টা প্রয়োজন এবং এই পরিবর্তনে নারীদের সমান অংশীদার হতে হবে।’
আরও পড়ুন: কোনটা এগুচ্ছে, নারীর ক্ষমতায়ন, নাকি পুরুষতান্ত্রিকতা?
জাতিসংঘের দলটি এই অঞ্চলে নারীরা যেসব চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় তা অনুসন্ধান করে এবং লিঙ্গ বৈষম্য মোকাবিলা ও নারীর ক্ষমতায়নে প্রচেষ্টার অগ্রগতির প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
সম্প্রতি বরিশাল ও খুলনা অঞ্চলে সফর করে বাংলাদেশে কর্মরত জাতিসংঘ ও তাদের উন্নয়ন অংশীদারী সংস্থার একটি যৌথ প্রতিনিধি দল। সফরের পর তারা জেন্ডার সমতা ও নারীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিতকল্পে অধিকতর কর্মসূচি গ্রহণের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।
তারা জানান, সাম্প্রতিক সময়ে জেন্ডার সমতা অর্জনে বাংলাদেশ উল্লেখ্যযোগ্য সাফল্য অর্জন করলেও, জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাবের কারণে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের নারীরা অনেক সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন।
ইউএন উইমেন, বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টিটিভ গীতাঞ্জলী সিং বলেন, ‘মিশনের প্রতিটি দিন আমরা নারী ও মেয়েদের কাছে থেকে তাদের সংকল্প ও সাহসিকতার কথা শুনেছি। এখানে দেখছি জেন্ডার নিয়ে নানা পুরোনো রীতি-আচার মেয়েদের রয়ে গেছে। এটি সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে বাধাগ্রস্ত করছে। জেন্ডার সমতার জন্য একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে পরিবর্তনের অংশীদার হিসেবে, যুবক, তরুণ ও কিশোরদেরও একইসঙ্গে কাজ করা অত্যন্ত জরুরি।
আইএলও, বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর টুওমো পোটিআইনেন বলেন, ‘বাংলাদেশের নারীরা শ্রমবাজারের চাহিদা মোতাবেক প্রয়োজনীয় দক্ষতা অর্জনে পিছিয়ে আছে। এটি শ্রমবাজারে তাদের কম অংশগ্রহণের জন্য দায়ী।’
আরও পড়ুন: ‘প্লানেট ৫০-৫০’ অর্জনে নারীর ক্ষমতায়নের পূর্ণ বাস্তবায়ন অপরিহার্য: স্পিকার
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার সহকারী প্রতিনিধি নুর আহমেদ খোন্দকার বলেন, ‘আগে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে নারীদের কথা শোনা হতো না কিন্তু এখন নারীরা কমিউনিটি-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। জলজ চাষ প্রকল্পের মালিকানা গ্রহণ করছেন। পাইকারি বাজার ব্যবস্থাপনাসহ সক্রিয়ভাবে মাছ চাষে অংশ নিচ্ছেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘নারীদের ক্ষমতায়ন তাদের পারিবারিক অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন আনছে। সেই সঙ্গে জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবিলায় সাহায্য করছে।’
জাতিসংঘের এ মিশনের মূল বিষয় হলো জেন্ডার-ভিত্তিক সহিংসতা (জিবিভি) রোধে পদক্ষেপ নেওয়া এবং শিশু ও নারীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা নিশ্চিত করা।
এই প্রসঙ্গে, ইউনিসেফ বাংলাদেশের প্রতিনিধি, শেলডন ইয়েট বলেন, ‘দেশে বাল্যবিবাহের মতো ক্ষতিকর প্রথা প্রতিরোধে শিশু সুরক্ষা ব্যবস্থা শক্তিশালী করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সহিংসতার মৌলিক কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো সামাজিক রীতিনীতি।
বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর অফিসের তত্ত্বাবধায়নে তিন দিনব্যাপী জেন্ডার সমতা মিশনে জাতিসংঘের ৫টি সংস্থার প্রতিনিধি ও তাদের অংশীদাররা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: নারীর ক্ষমতায়ন বাংলাদেশের উন্নয়ন যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে: রাষ্ট্রদূত
১ বছর আগে
বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার পদ্ধতি থেকে শিক্ষা নিতে পারে অনেক দেশ: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট
দীর্ঘস্থায়ী অংশীদার হিসেবে, বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড মালপাস বলেছেন যে তারা বাংলাদেশকে সমর্থন করবে কারণ এটি ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের অবস্থানে পৌঁছানোর পথে চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক পরিবেশে যাত্রা করবে।
১ মে বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে সঠিক নীতিমালা এবং সময়োপযোগী পদক্ষেপের মাধ্যমে বাংলাদেশ তার প্রবৃদ্ধির আকাঙ্খা অর্জন করতে পারবে।’
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন, বাংলাদেশের জনগণের অদম্য শক্তি ও সহনশীলতা এবং একটি সমৃদ্ধ দেশ গড়ার জাতীয় ইচ্ছাশক্তির কারণে বাংলাদেশের অসাধারণ যাত্রা সম্ভব হয়েছে।
উদযাপনের পরে, মালপাসও টুইট করেছেন, ‘অনেক দেশ বাংলাদেশের দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেওয়ার উদ্ভাবনী পদ্ধতি থেকে শিখতে পারে।’
তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে উদযাপনে বলেছিলেন, ‘আমরা আমাদের অংশীদারিত্বের জন্য গর্বিত এবং আপনার সঙ্গে একসঙ্গে পরবর্তী অধ্যায় খোলার জন্য উন্মুখ।’
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, বাংলাদেশের উন্নয়ন অভিজ্ঞতা থেকে তিনটি পাঠ আলাদা এবং অন্যান্য দেশকে অনুপ্রাণিত করতে পারে, নারী ও মেয়েদের ক্ষমতায়ন, মানুষ ও সংযোগে বিনিয়োগ এবং জলবায়ু অভিযোজন ও সহনশীলতার বিষয়ে সিদ্ধান্তমূলকভাবে এগিয়ে যাওয়া।
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং বিশ্বব্যাংক গ্রুপের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাস ওয়াশিংটন ডিসিতে প্রতিষ্ঠানটির সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও বিশ্বব্যাংকের মধ্যে অংশীদারিত্বের ৫০ বছর উদযাপন করেছেন।
আরও পড়ুন: বহিরাগত চাপে পদ্মা সেতু থেকে সরে গেছে বিশ্বব্যাংক: ভবিষ্যতের দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
এই অংশীদারিত্ব লক্ষ লক্ষ বাংলাদেশিকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনতে সাহায্য করেছে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে সহায়তা করেছে।
বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশকে আঞ্চলিক সংযোগ উন্নত করতে, অভ্যন্তরীণ বন্যা মোকাবিলায় দুর্যোগ প্রস্তুতি বাড়াতে, সবুজ ও জলবায়ু-সহনশীল উন্নয়নে রূপান্তর, পরিবেশ ব্যবস্থাপনা ও সবুজ বিনিয়োগ জোরদার করতে এবং আরো জলবায়ু সহনশীল এবং ক্ষুদ্র-উদ্যোগ খাতকে কম দূষণমুক্তকরণে সহায়তা করতে বাংলাদেশকে সোয়া দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়ন করছে।
১৯৭১ সালে স্বাধীনতার পর থেকে, বাংলাদেশ ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের মর্যাদা অর্জনে দরিদ্রতম দেশগুলোর একটি থেকে রূপান্তরিত হয়েছে৷ দেশটি এখন বিশ্বের দ্রুততম বর্ধনশীল অর্থনীতিগুলোর একটি৷
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘১৯৭১ সালে যখন বাংলাদেশের জন্ম হয়, তখন অনেক উন্নয়ন বিশেষজ্ঞই দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান ছিলেন। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অঙ্কুরিত আকাঙ্ক্ষা এবং আমাদের জনগণ বিশ্বকে দেখিয়েছে যে দৃঢ় সংকল্পের মাধ্যমে কঠিন চ্যালেঞ্জকেও অতিক্রম করা সম্ভব। বাংলাদেশ তার অর্থনীতিকে রূপান্তরিত করেছে এবং কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন এটিকে আরও সহনশীল করেছে।’
তিনি বলেন ‘যাত্রা সবসময় সহজ ছিল না, কিন্তু আমরা কখনো সাহস হারাইনি। বিগত ৫০ বছরে, বিশ্বব্যাংক একটি অবিচল উন্নয়ন অংশীদার থেকেছে এবং আমাদের আকাঙ্খাকে সমর্থন করেছে। ২০৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ উচ্চ আয়ের দেশের মর্যাদা অর্জনে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একত্রে কাজ করার আশা করছি।’
মালপাস বাংলাদেশ এবং এর জনগণের প্রতি বিশ্বব্যাংকের দৃঢ় সমর্থনের বিষয়টি পুনরায় নিশ্চিত করেছে কারণ দেশটি অভূতপূর্ব বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করছে।
ম্যালপাস বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী হিসাবে, আমরা আয় বৃদ্ধি এবং দারিদ্র্য হ্রাসে এর অগ্রগতিকে স্বাগত জানাই। আমরা বেসরকারি খাতকে সক্ষম করতে, নতুন কাজের সুযোগ তৈরি করতে, করের ভিত্তি প্রসারিত করতে, আর্থিক খাতকে শক্তিশালী করতে এবং দেশের অর্থনৈতিক ও জলবায়ু ধাক্কাগুলোর প্রতি সহনশীলতা তৈরি করতে আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংক ৫ প্রকল্পে সমন্বিত ২.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ চুক্তি সই
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন সাফল্য থেকে অনেক দেশ শিক্ষা নিতে পারে। রেকর্ড সময়ের মধ্যে দারিদ্র্য হ্রাস, নারীর ক্ষমতায়ন, বিস্তৃত বিদ্যুৎ অ্যাক্সেস অর্জন এবং জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাপ খাইয়ে নেওয়ার জন্য দেশটি তার উদ্ভাবনী পদ্ধতির জন্য দাঁড়িয়ে আছে।’
প্রধানমন্ত্রী ও বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশের উন্নয়নের গল্প তুলে ধরা একটি মাল্টিমিডিয়া ফটো প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন এবং ৫০ বছরের অংশীদারিত্বের প্রতিফলন ঘটাতে একটি সেমিনারে যোগ দেন।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশের জনগণকে ধন্যবাদ জানান।
২০১৭ সাল থেকে মিয়ানমারে সহিংসতা থেকে পালিয়ে আসা এক দশমিক এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের আশ্রয়ের ব্যবস্থা হাজার হাজার জীবন বাঁচিয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা রোহিঙ্গাদের সহায়তা প্রদানে আপনার সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাব।’ বিশ্বব্যাংক কানাডার সহায়তায় এবং জাতিসংঘ পরিবার এবং অন্যান্যদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতায় সহায়তার জন্য ৫৯০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদানের অর্থ সংগ্রহ করেছে। কক্সবাজারের স্থানীয় জনগোষ্ঠী এবং বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, মৌলিক সেবা এবং অবকাঠামো প্রদান করে।
বিশ্বব্যাংক প্রেসিডেন্ট বলেন, বেশ কিছু পদক্ষেপ কর্মসূচির স্থায়িত্ব এবং প্রভাবকে উন্নত করতে পারে। উন্নত জীবিকা ও শিক্ষার সুযোগ, সহনশীল আশ্রয়, সেবা প্রদানের জন্য জাতীয় ব্যবস্থায় রোহিঙ্গাদের শক্তিশালী অন্তর্ভুক্তি এবং ভাসানচর দ্বীপে সরকারি বিনিয়োগের।
আরও পড়ুন: বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্টকে পদ্মা সেতুর চিত্রকর্ম উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী
১ বছর আগে
এই নারী মানেই শক্তি
যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক ওয়াশিংটন পোস্ট নারীর ক্ষমতায়নে বাংলাদেশের অভাবনীয় অগ্রগতির পাশাপাশি বৈশ্বিক মঞ্চে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব এবং শিক্ষা ও দারিদ্র্য নিরসনে অর্জনের প্রশংসা করেছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের আর্টিকেলটি সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। যা সংবাদপত্রটির একজন কলামিস্ট পেটুলা ডিভোরাক লিখেছেন।
আর্টিকেলটিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ওয়াশিংটন ডিসির ঠিক বাইরে এক শহরতলিতে প্রধানমন্ত্রী তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও ১৬ বছর বয়সী নাতনির সাথে ৭৬তম জন্মদিন উদযাপন করেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি তাদের জন্য রান্না করেছি। চিকেন বিরিয়ানি… আমার ছেলের বাড়িতে আমার নিজের রান্নাঘর আছে, যেটা শুধু আমার জন্য।’
ডিভোরাক উত্তর ভার্জিনিয়ার রিটজ-কার্লটনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাক্ষাৎকার নেন, যেখানে তিনি নিউইয়র্কে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দেয়ার পর ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের গণমাধ্যম স্বাধীনভাবে সরকারের সমালোচনা করতে পারে: ওয়াশিংটনে প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সাফল্যের গল্প তুলে ধরে ডিভোরাক লিখেছেন- শেখ হাসিনা বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ মেয়াদী নারী সরকারপ্রধান।
আর্টিকেলটিতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ার চেয়েও বেশি মানুষের একটি দেশের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এবং ২০০৪ সালে বিশেষ করে রক্তাক্ত গ্রেনেড হামলাসহ অন্তত ২০টি হত্যাচেষ্টা থেকে বেঁচে গেছেন।
ওয়াশিংটন পোস্টের আর্টিকেলটিতে ডিভোরাক প্রধানমন্ত্রীকে 'এই নারী মানেই শক্তি' হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
আবদুল্লাহ নিয়ামি নামে একজন ব্যক্তির কথা উল্লেখ করে লেখক বলেন, শেখ হাসিনাকে দেখতে চাওয়ায় তিনি তার ছয় বছর বয়সী মেয়ে জোয়াকে উঁচুতে ধরেন। এ প্রসঙ্গে লেখক উল্লেখ করেন, একজন নারী সরকারপ্রধান (শেখ হাসিনা) যার মতো ‘আমেরিকা শিগগিরই দেখতে পাবে না’।
আর্টিকেলটিতে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনা এখন পর্যন্ত মোট ১৮ বছরে চার মেয়াদে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারকে সমুন্নত রেখেছেন।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের সহিংসতা থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের শিবিরে বসতি স্থাপনকারী ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আশ্রয় দিতে সাহায্য চেয়েছেন।
ডিভোরাক শেখ হাসিনাকে উদ্ধৃত করে বলেন, শিবিরের জীবন ভালো নয় এবং রোহিঙ্গারা তাদের দেশে ফিরতে চায়।
আরও পড়ুন: আর সম্ভব নয়, রোহিঙ্গাদের ফিরে যেতে হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, তার দেশের অভিবাসী পরিস্থিতি আমেরিকার সাথে তুলনা করা যায় না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র একটি বিশাল দেশ যেখানে প্রচুর জায়গা ও কাজের সুযোগ রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনসংখ্যার দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে অষ্টম, যেখানে ১৭ কোটি ১০ লাখেরও বেশি মানুষ রয়েছে। তবে এর আয়তন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উইসকনসিন রাজ্যের কাছাকাছি।
আর্টিকেলটিতে দেশীয় সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে শেখ হাসিনা সরকারের জিরো-টলারেন্স নীতির প্রশংসা করেছে।
লেখক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ডেস্পাইট বিইং অ্যাঁ ওমেন’ মিমের দিকে ইঙ্গিত করেন।
জবাবে প্রধানমন্ত্রী হাসতে হাসতে বলেন, কখনও কখনও ‘নারীরা পুরুষদের চেয়ে ভাল’।
শেখ হাসিনা বলেন, একজন নারী হিসেবে তিনি বাংলাদেশের দারিদ্র্যের সাথে সম্পর্কিত সংগ্রামগুলো, বেশিরভাগ নারী যেসব বাধার মুখোমুখি হন এবং কীভাবে তাদের অন্তর্ভুক্ত করা হয় না তা একটি জাতির অগ্রগতিকে আটকে দেয় তা বোঝেন।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রবিরোধী অপপ্রচারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, গত এক দশকে তার সরকার উল্লেখযোগ্যভাবে দেশে দারিদ্র্য হ্রাস করেছে, শিক্ষার সুযোগ বাড়িয়েছে এবং উন্নত আবাসনের ব্যবস্থা করেছে।
আর্টিকেলটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধির জন্য বেশি নম্বর প্রদানকারী বিশ্বব্যাংককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, এটি ১৯৭১ সালে স্বাধীন হওয়ার সময়ে সবচেয়ে দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে একটি থেকে ২০১৫ সালে নিম্ন-মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছায়।
আরও পড়ুন: ঢাকার উদ্দেশে ওয়াশিংটন ত্যাগ প্রধানমন্ত্রীর
২ বছর আগে
তরুণদের শক্তি ও সম্ভাবনা বৃদ্ধিতে প্রধানমন্ত্রীর জোর
তরুণদের শক্তি ও সম্ভাবনা কাজে লাগাতে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোকে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দক্ষতা বিকাশের মাধ্যমে আমাদের তরুণদের শক্তি বাড়ানো, আইসিটির সম্পূর্ণ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানো, প্রয়োজনীয় আইনি, প্রাতিষ্ঠানিক এবং অবকাঠামোগত কাঠামো তৈরি করা এবং বাণিজ্য ও বিনিয়োগের সুবিধার্থে সংযোগ স্থাপনের উন্নতি।'
বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টায় মিশর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, মালয়েশিয়া, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান ও তুরস্কের নেতাদের অংশগ্রহণে ভার্চুয়ালি ১০ম ডি-৮ শীর্ষ সম্মেলনের সভাপতিত্ব করার সময় প্রধানমন্ত্রী তার স্বাগত বক্তব্যে সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো তুলে ধরেন।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯: জীবিকা ও জনস্বাস্থ্যের ভারসাম্য রক্ষার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
ডি-৮ এ সহযোগিতার অগ্রাধিকার ক্ষেত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাণিজ্য, শিল্প, কৃষি ও খাদ্য সুরক্ষা, জ্বালানি, পরিবহন এবং পর্যটন।
বাংলাদেশ আয়োজিত শীর্ষ সম্মেলনের শুরুতে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোগান ডি-৮ এর বর্তমান সভাপতি হিসেবে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন এবং ডি-৮ এর সভাপতিত্ব বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে হস্তান্তর করেন।
‘একটি রূপান্তরকামী বিশ্বের অংশীদারি: যুব ও প্রযুক্তির ক্ষমতার শক্তি’ মূল প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বক্তব্য দেন।
তিনি বলেন, 'আমাদের দেশের তরুণদের বেসরকারি এমনকি সরকারি পর্যায়ে ব্যবসায়িক উদ্যোগের মাধ্যমে একত্র হওয়ার জন্য উত্সাহ দেয়া যায়। ডি-৮ বিজনেস ফোরামের সাথে প্রথম ডি-৮ যুব সম্মেলন এই বিরল সুযোগ তৈরি করেছে।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, তরুণরা ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে দক্ষভাবে যোগাযোগ করছে এবং কোভিড-১৯ মহামারি চলাকালীন বাংলাদেশের অর্থনীতিকে সচল রেখেছে।
আরও পড়ুন: করোনা ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু: প্রধানমন্ত্রী
তিনি জানান, মহামারিজনিত কারণে আগামী দুই বছরে বিশ্বব্যাপী অর্থনীতিতে প্রায় ৮.৫ ট্রিলিয়ন ডলার ক্ষতি হবে বলে জাতিসংঘের অনুমান। 'এই চ্যালেঞ্জগুলো কাটিয়ে উঠতে আমাদের প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কার্যকর অংশীদারিত্ব এবং বৃহত্তর সহযোগিতা প্রয়োজন।'
তিনি বলেন, তরুণদের শক্তি এবং প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশ লক্ষাধিক আইটি পেশাদার, ২৮টি হাই-টেক পার্ক এবং প্রযুক্তি বান্ধব উদ্যোগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সহযোগিতার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র হলো বাণিজ্য যেখানে ডি-৮ সদস্য দেশগুলির দৃষ্টি দেয়া দরকার।
তিনি বলেন, ডি-৮ সচিবালয় দলের মধ্যে সম্ভাবনাময় তথ্য সরবরাহ করতে পারে এবং 'বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা চুক্তি'-র সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে।
'এই জাতীয় তথ্য বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক সংলাপ এবং সদস্য দেশগুলোর মধ্যে আরও বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে সহায়তা করতে পারে এবং বাণিজ্য শেষ পর্যন্ত বেসরকারি খাত দ্বারাই পরিচালিত হয়,' তিনি বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ব্যবসায়ীদের জন্য ভ্রমণ সহজতর করা জরুরি। সেজন্য বাংলাদেশ 'ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর ব্যবসায়ীদের জন্য ভিসা পদ্ধতির সরলীকরণ' অনুমোদনের জন্য ছয়টি ডি-৮ সদস্য-এ যোগদান করেছে।
আরও পড়ুন: ভাঙচুরের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে: প্রধানমন্ত্রী
তিনি বলেন, কার্যকর ও স্থায়ী উন্নয়নের জন্য এখন ডি-৮-এর সদস্য দেশগুলোর জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ে একে অপরের সহযোগিতা করা জরুরি।
'জলবায়ু ক্ষতিগ্রস্ত ফোরাম-সিভিএফের সভাপতি হিসেবে আমরা প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর সাথে কাজ করে আনন্দিত হব।'
রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে কথা বলতে গিয়ে হাসিনা বলেন, এই সমস্যাটি দেশের পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মিয়ানমারের ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে আশ্রয় দিয়েছে।
'আমরা শুরু থেকেই নিরাপদে, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই পদ্ধতিতে রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ফিরিয়ে নিতে জোর দিয়ে এসেছি।'
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্ভাগ্যক্রমে, তাদের বাংলাদেশে প্রবেশের তিন বছরেরও বেশি সময় হয়ে গেছে, এবং প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘আমরা আরও উদ্বিগ্ন যে সঙ্কট সমাধান না হলে এটি সে অঞ্চল এবং এর বাইরেও নিরাপত্তায় বিঘ্ন ঘটাতে পারে।’
এই বিষয়ে সমর্থনের জন্য ডি-৮ সদস্য দেশগুলোর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি রোহিঙ্গাদের ফিরিয়ে নেয়ার জন্য মিয়ানমারের উপর চাপ দেয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: জনসমাগম এড়িয়ে চলা ও মাস্ক পরিধানের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
অন্যদিকে, প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্রমবর্ধমান আগমনেও বাংলাদেশ অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, গত বছর মহামারি ছাড়াও ঘূর্ণিঝড় আম্ফান এবং দেশের বেশিরভাগ অঞ্চলের দীর্ঘস্থায়ী বন্যার কবলে পড়তে হয়েছিল বাংলাদেশকে।
'এটি অনুমান করা হয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আমাদের জিডিপির প্রায় এক শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যদি বর্তমান অবস্থা বজায় থাকে তবে আগামী দশকে এটি বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেজন্য আমাদের এ বিষয়ে একত্র হয়ে কাজ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।'
কোভিড-১৯ মহামারি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, মহামারি শুরু হওয়ার ঠিক আগে বাংলাদেশ জিডিপিতে অভাবনীয় প্রবৃদ্ধি ৮.১৫ শতাংশ অর্জন করেছিল। এমনকি মহামারি চলাকালীন দেশ জিডিপিতে বিশ্বের অন্যতম সর্বোচ্চ প্রবৃদ্ধি ৫.৪ অর্জন করেছে।
তিনি বলেন, '১.২৪ ট্রিলিয়ন টাকা মূল্যের একটি স্টিমুলাস প্যাকেজ চালু করা ছাড়াও খাদ্য নিরাপত্তা, কৃষিক্ষেত্রে এবং পর্যাপ্ত সামাজিক নিরাপত্তায় আমাদের বিনিয়োগ কোভিড-১৯ এর বিরূপ অবস্থা কাটাতে ভূমিকা রেখেছে।'
এছাড়া, তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়ন এবং সর্বস্তরে তাদের সমান সম্পৃক্ততাও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বের শীর্ষ তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক দেশ। এই খাতে কর্মরত ৮৫ শতাংশেরও বেশি নারী যারা সমাজ ও অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
নারীরা রাজনীতির পাশাপাশি সকল পেশায় সক্রিয়। তারা বিদেশে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনেও দায়িত্ব পালন করছেন, তিনি যোগ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সকল স্তরে শিক্ষাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেয়।
‘আমরা মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত বিনামূল্যে শিক্ষা প্রদান করছি। উচ্চতর শিক্ষায় বিদেশী শিক্ষার্থীদের জন্য বাংলাদেশ একটি জনপ্রিয় গন্তব্য হয়ে দাঁড়িয়েছে,’ বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসইএসিও বিশ্ববিদ্যালয় নেটওয়ার্ক নতুন এবং প্রচলিত বিষয়গুলির জন্য ৪টি আইআর এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি স্থিতিশীল অনলাইন শিক্ষার প্ল্যাটফর্মসহ একটি উন্নত ব্যবস্থা সরবরাহ করবে।
৩ বছর আগে
বাংলাদেশকে ‘শান্তির জনপদ’ হিসেবে গড়ে তুলতে চাই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশকে সরকার ‘শান্তির জনপদ’ হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।
৩ বছর আগে