সেই সাথে তিনি গুজব ছড়ানো থেকে সবাইকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘সাধারণ মানুষকে সতর্ক হতে দিন, তবে আতঙ্ক সৃষ্টি করবেন না।’
দূতাবাসে কয়েকজন সাংবাদিকের সাথে আলাপকালে রাষ্ট্রদূত এ কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মাঝে মিশনের উপপ্রধান হৌলং ইয়ান উপস্থিত ছিলেন।
লি জিমিং বলেন, চীনা দূতাবাসের কেউ এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পগুলোতে কাজ করা কোনো চীনা নাগরিক করোনাভাইরাসের শিকার হননি। একই সময়ে পুরো চীনে থাকা কোনো বাংলাদেশি নাগরিক আক্রান্ত হননি।
এ পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশগুলো ‘বেশি প্রতিক্রিয়া’ দেখাচ্ছে উল্লেখ করে এতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন রাষ্ট্রদূত।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেব অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত চীনসহ ২৫ দেশে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী পাওয়া গেছে। মোট রোগীর ৯৯ শতাংশের বেশি চীনে ভাইরাসটির শিকার হয়েছেন।
এদিকে, করোনাভাইরাসে এক দিনের ব্যবধানে মৃতের সংখ্যা ৭৩ জন বেড়েছে। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত এ ভাইরাসে অন্তত ৫৬৩ জন মারা গেছেন।
সর্বশেষ তথ্যানুসারে, নতুন ৩ হাজার ৬৯৪ জনসহ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ২৮ হাজার ১৮ জন। চীনের বাইরে কমপক্ষে ২৪০ জন আক্রান্ত হওয়ার খবর নিশ্চিত করা হয়েছে, যার মধ্যে দুজনের প্রাণহানির ঘটনা রয়েছে।
মঙ্গলবার হংকংয়ে ৩৯ বছর বয়সী এক ব্যক্তি প্রাণ হারান। তিনি কিছুদিন আগেই করোনাভাইরাসের উৎসস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থেকে ফিরেছেন। এর আগে, গত সপ্তাহে ফিলিপাইনে মারা যান উহানফেরত আরও একজন।
বার্তা সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের (এপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ডিসেম্বরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে ভাইরাসটির উৎপত্তিস্থল চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহর থাকা বিভিন্ন দেশের লোকজনকে তারা সরিয়ে নিচ্ছে।