উন্নয়ন
উন্নয়ন ব্যয়-বিনিয়োগ স্থবিরতায় অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা পরিকল্পনা উপদেষ্টার
পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে নতুন কোনো বেসরকারি বিনিয়োগ না থাকা এবং প্রায় স্থবির সরকারি উন্নয়ন ব্যয়ের কারণে দেশ অর্থনৈতিক মন্দার মধ্যে পড়তে পারে।
তিনি বলেন, ‘একদিকে বেসরকারি বিনিয়োগকারীরা নতুন বিনিয়োগ করছেন না, অন্যদিকে সরকারি উন্নয়ন ব্যয় বাড়ানো যাচ্ছে না। এর ফলে অর্থনৈতিক মন্দা তৈরি করবে।’
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের এনইসি মিলনায়তনে একনেক সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: প্রকল্পের দুর্নীতি-অনিয়ম রোধে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
উপদেষ্টা বলেন, বেসরকারি খাতে বিনিয়োগে কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না এবং সুদের হার অনেক বাড়ানো হয়েছে। ‘ফলে উদ্যোক্তারা নতুন বিনিয়োগের ব্যাপারে কোনো আগ্রহী হচ্ছেন না।’
উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নীতিগতভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, সরকারের কাছ থেকে ছাড়পত্র পাওয়া প্রকল্পগুলো যত দ্রুত সম্ভব বাস্তবায়নের চেষ্টা করবে এই অর্থবছর শেষ পর্যন্ত। তিনি বলেন, ‘প্রকল্পগুলো ভালো হলে এবং নতুন প্রকল্প পরিচালক নিয়োগ করা হলেও আমরা নীতিগত সমন্বয়ের পর্যায়ে আছি।’
তিনি বলেন, ‘এর মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রকল্প বাস্তবায়নের হার ত্বরান্বিত করতে পারব। এটি জরুরি, কারণ অস্থিতিশীলতা, নিরাপত্তাহীনতা এবং রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা ও শৃঙ্খলাহীনতার পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে দেশে বেসরকারি খাতে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে স্থবির পরিস্থিতি বিরাজ করছে।’
অপচয়, দুর্নীতি ও অপ্রয়োজনীয় প্রকল্প বন্ধ করতে চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার ৮ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি। উপদেষ্টা বলেন, 'এটা সত্য যে, উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন খুব ধীরগতিতে চলছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়ার আগে প্রকল্পগুলো যাচাই-বাছাই করবে।
আরও পড়ুন: উন্নয়ন ব্যয়ে পরিমাণের চেয়ে গুণগত মানকে প্রাধান্য দিচ্ছে সরকার: পরিকল্পনা উপদেষ্টা
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, যেকোনো নির্বাচনি এলাকার জন্য যেকোনো সময় নতুন প্রকল্প প্রণয়ন করা রাজনৈতিক সরকারের জন্য ভালো সুযোগ।
ড. ওয়াহিদউদ্দিন বলেন, 'তবে আমাদের কোনো নির্বাচনি এলাকা নেই, আমাদের সময় কম এবং অবশ্যই আমাদের সেরকম কোনো প্রবণতা নেই, এ নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই।’
তিনি উল্লেখ করেন, মানবসম্পদ উন্নয়ন ও শিক্ষা উন্নয়নে কিছু উদ্ভাবনী, নতুন মাত্রার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদনের বিষয়ে আলোচনার জন্য উপদেষ্টা পরিষদ আবার বসবে।
মূল্যস্ফীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে অর্থনীতিতে স্থবির পরিস্থিতি বিরাজ করছে বলেও উল্লেখ করেন ড. ওয়াহিদউদ্দিন। ‘এটা অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই,’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি কর্মসংস্থানের স্বার্থে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সম্প্রসারণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড যেমন গতিশীল হবে, তেমনি নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ায় অর্থনীতি সচল হবে।
আরও পড়ুন: পরিকল্পনা উপদেষ্টার সঙ্গে ইউনিসেফ, ইউনেস্কো ও ইউএনএফপিএ’র প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ
খুব শিগগিরই নির্বাচন সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হবে বলেও নিজেদের ভাবনার কথা জানান তিনি।
৩ সপ্তাহ আগে
পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে ডিএনসিসিকে কারিগরি সহায়তা দেবে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট, বাস অপারেশন এবং নিরাপত্তা এই ৩টি বিষয়ে ডিএনসিসিকে কারিগরি সহায়তা দেবে ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল)।
সোমবার (৪ নভেম্বর) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ ক্যাথরিন কুক।
বৈঠকে আরও ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আরিফুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খন্দকার মাহাবুব আলমসহ ডিএনসিসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম বন্দরে ফের ধর্মঘটে শ্রমিকরা, পণ্য পরিবহন বন্ধ
ডিএনসিসিতে পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে শুরুতে গুলশান-১ থেকে গুলশান-২ এ পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম শুরু করবে লন্ডন ভিত্তিকসংস্থা টিএফএল। এরইমধ্যে গত জুলাই মাসে সংস্থাটির একটি প্রতিনিধি দল গুলশান এলাকার বর্তমান পরিবহন ব্যবস্থা পরিদর্শন করেছে।
এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা, ট্রাফিক সিগন্যাল ও যানজট নিরসনে কাজ করার লক্ষ্যে ডিএনসিসি ও যুক্তরাজ্যের ফরেন, কমনওয়েলথ ও ডেভেলপমেন্ট অফিসের (এফসিডিও) মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই হয়। প্রথম ধাপে পরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়নে কাজ শুরু করেছে সংস্থা দুটি।
বৈঠকে ডিএনসিসির প্রশাসক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, 'ট্রান্সপোর্ট ফর লন্ডন (টিএফএল) তাদের শহরে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করেছে যেটি বিশ্বে অত্যন্ত বিখ্যাত। ডিএনসিসি লন্ডন শহরের পরিবহন ব্যবস্থার (টিএফএল) জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময় করে ঢাকা শহরে আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তোলা সম্ভব। লন্ডন শহরে বিদ্যমান বাস ফ্রাঞ্চাইজি মডেল ও ট্রাফিক সিগন্যাল সিস্টেমের অভিজ্ঞতা আমাদের জন্য অত্যন্ত সহায়ক হবে। প্রাথমিকভাবে গুলশানে পরীক্ষামূলক কার্যক্রম গ্রহণের ফলাফলের ভিত্তিতে পুরো ঢাকা শহরের পরিবহন ব্যবস্থার মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে।'
প্রশাসক আরও বলেন, 'পুরো ঢাকা শহরের পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ডিএনসিসি অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিভাগের সঙ্গেও সমন্বিতভাবে কার্যক্রম গ্রহণ করবে। লন্ডনের পরিবহন ব্যবস্থার অভিজ্ঞতা ও কারিগরি পরামর্শের ভিত্তিতে ঢাকা শহরের যানজট নিরসনসহ আধুনিক পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতে ভূমিকা রাখবে। বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে অত্যন্ত সুসম্পর্ক বিদ্যমান। আমি বিশ্বাস করি ডিএনসিসির সঙ্গে এই কার্যক্রমের ফলে দুই দেশের সম্পর্ক আরও জোরদার হবে।'
রাজধানীর গুলশানে নগর ভবনে ডিএনসিসির প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত এই বৈঠকে আরও ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মীর খায়রুল আলম।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্বার্থ রক্ষাই সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার: নৌপরিবহন উপদেষ্টা
১ মাস আগে
প্রয়োজনীয় সংস্কার এবং অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে
‘সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা বলেছেন, প্রয়োজনীয় সংস্কার ও অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। দুর্নীতি অনিয়ম দূর করে জনবান্ধব উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণের তাগিদ দেন তারা।
শনিবার (২ নভেম্বর) ‘সংস্কার ও টেকসই উন্নয়নের সমন্বয়ে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে অংশ নিয়ে আলোচকরা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম ও চাইনিজ এন্টারপ্রাইজেস অ্যাসোসিয়েশন ইন বাংলাদেশ যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে।
সেমিনারে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, রেলওয়ে মন্ত্রণালয় এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোহাম্মদ ফাওজুল কবির খান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল ঢাকা-ওয়াশিংটন সম্পর্কে প্রভাব ফেলবে না: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব
বিএসআরএসফ’র সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হকের সঞ্চালনায় সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন- বিএসআরএফ সভাপতি ফসিহ উদ্দীন মাহতাব।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এ. কে. এম. আতিকুর রহমান।
এসময় উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান বলেন, ভবিষ্যৎ এ প্রকল্প গ্রহণ করার আগে প্রকল্পের সম্ভাব্যতা সমীক্ষা প্রতিবেদন ভালোভাবে যাচাই বাছাই করা হবে। কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। জনবান্ধব প্রকল্প হাতে নেওয়া হবে। দুর্নীতি কমিয়ে উন্নয়নকে জনগণের প্রয়োজনের সঙ্গে সম্পৃক্ত করতে কাজ করে যাচ্ছি।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতেই এ সরকার কাজ করছে। বিশাল ঋণের বোঝা রেখে গেছে এ সরকারের ওপর। যা অন্তবর্তী সরকারের জন্য অনেক বড় চ্যালেঞ্জ। দুর্নীতির অবকাঠামো সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলেছি। আমরা দুর্নীতি যতটা সম্ভব কমিয়ে সংস্কার করব।
তিনি বলেন, হাজার কোটি টাকা খরচ করে একটি প্রকল্প সম্পন্ন হয়। এটা ব্যক্তিগত টাকা নয়, জনগণের টাকা। এটা মাথায় রাখা উচিত। এ সরকারের কাছে জনপ্রত্যাশা আকাশচুম্বী। সবাই ভাবেন আমাদের কাছে জাদুর কাঠি আছে। আসলে কিছু নেই আমাদের কাছে। ব্যাংকে টাকা নেই। রাজনীতিবিদরা উসখুস করছেন কবে ক্ষমতায় আসবেন। আমরাও চাই নিজেদের কাজে ফিরে যাই।
ফাওজুল কবির বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে দুর্নীতি, গ্যাস বিদ্যুতের দাম নিয়ে ক্ষুদ্ধ মানুষ। আমরা এখানে একটা কাজ করেছি, দুর্নীতির কাঠামো ভেঙে দিয়েছি। বিইআরসির আগের কাজ ফিরিয়ে দিয়েছি। ঢাকা মেট্রোতে সাবেক সচিব হতে হবে বলে যে বিধান ছিল, সে নিয়ম বাদ দিয়েছি। যার অভিজ্ঞতা আছে তিনিই এখানে কাজ করতে পারবেন। আবার পাওয়ার গ্রিডে বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এভাবে আমরা কাঠামোগত পরিবর্তন করতে শুরু করেছি।
আলোচনায় অংশ নেন মো. সারদার শাহদাত আলী, ড. মো. শামসুল হক, ড. শর্মিন্দ নীলর্মি, ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম, মেহেদী এইচ ইমন, উমামা ফাতেমা ও মো. মাহিন সরকার।
আরও পড়ুন: সাফজয়ী ফুটবলারদের দাবিগুলো লিখে জানাতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা
আগামী ২ বছরে সরকারি খাতে ৫ লাখ কর্মসংস্থান হবে: উপদেষ্টা আসিফ
১ মাস আগে
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুদহার বাড়ায় রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের ঋণ ব্যয়বহুল হচ্ছে
দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ থেকে অপ্রয়োজনীয় ঋণ দেওয়াকে নিরুৎসাহিত করতে রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে নেওয়া ঋণের সুদহার বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
ইডিএফ হলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তহবিল যা রপ্তানি খাতকে সময় অনুযায়ী বৈদেশিক মুদ্রার প্রয়োজনীয়তা মোকাবিলায় সহায়তা করে। এখন এ তহবিল থেকে ঋণ নিতে রপ্তানিকারকদের দিতে হবে প্রায় ৭ শতাংশ সুদ। আগে সুদের হার ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ অ্যান্ড পলিসি ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ১১.৭ শতাংশে পৌঁছেছে: বিবিএস
নতুন নির্দেশিকা অনুসারে, সিকিউরড ওভারনাইট ফিনান্সিং রেট (এসওএফআর) এর সঙ্গে মার্জিন হিসাবে দেড় শতাংশ যোগ করে ইডিএফ সুদ নির্ধারণ করা হবে।
বর্তমানে এসওএফআর পদ্ধতিতে সুদের হার ৫ দশমিক ৩৯ শতাংশ। এর সঙ্গে ১ দশমিক ৫ শতাংশ যোগ হলে সুদের হার দাঁড়ায় ৬ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আগের সুদের হার ছিল সাড়ে ৪ শতাংশ। সে অনুযায়ী সুদের হার বেড়েছে ২ দশমিক ৩৯ শতাংশ।
নির্দেশনায় বলা হয়, ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর অনুমোদিত ডিলারদের (এডি) কাছ থেকে ৩ শতাংশ সিকিউরড চার্জ এনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আর এডি ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ থেকে সাড়ে ৪ শতাংশ হারে সুদ আদায় করছিল।
আর এখন নতুন নিয়ম অনুযায়ী এডি গ্রাহকের কাছ থেকে এসওএফআর হারের সঙ্গে ১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং অতিরিক্ত ১ দশমিক ৫০ শতাংশ এসওএফআর হারে সুদ আদায় করবে। তবে এসওএফআর হার যেহেতু পরিবর্তনশীল, তাই ইডিএফ ঋণ নির্ভর করবে ব্যাংক-গ্রাহক সম্পর্কের ওপর।
আরও পড়ুন: ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জানুয়ারি-মার্চে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬.১২ শতাংশ: বিবিএস
৩ মাস আগে
দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া আমাদের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার। দীর্ঘদিনের উন্নয়নের সহযোগী হিসেবে বিভিন্ন খাতে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে কোরিয়া গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।’
রবিবার (৭ জুলাই) মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম ও দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎ শেষে রেলপথমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় রেলস্টেশন নির্মাণ করা হবে: রেলপথমন্ত্রী
রেলপথমন্ত্রী বলেন, ‘সৈয়দপুরে আমাদের একটি রেলওয়ে কারখানা রয়েছে এবং রাজবাড়ীতে আরেকটি আধুনিক রেলওয়ে কারখানা নির্মাণ করা হবে। রেলওয়েতে আমরা নতুন কোচ, ইঞ্জিন সংগ্রহ করছি। নতুন নতুন লাইন নির্মাণ করা হচ্ছে, ব্রিজ নির্মাণ ও সংস্কার করা হচ্ছে। সিগনালিং ব্যবস্থার আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথভাবে দক্ষিণ কোরিয়া এসব ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করতে পারে।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা পুরো বাংলাদেশকে রেল যোগাযোগের আওতায় আনার পরিকল্পনা করছি। রেলখাতের উন্নয়নে মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে আমরা বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি।’
দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং সিক বলেন, ‘কোরিয়া বাংলাদেশ রেলওয়ের উন্নয়নে কাজ করতে আগ্রহী। আশা করি, রেলখাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়বে।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবির, বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক সরদার সাহাদাত আলীসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: বিএনপির আমলে বন্ধ হওয়া রেললাইন আজ সচল হয়েছে: রেলপথমন্ত্রী
ট্রেন বন্ধ রেখে বাস মালিকদের সুবিধা দেওয়া বিকৃত মানসিকতার পরিচয়: রেলপথমন্ত্রী
৫ মাস আগে
২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার ১৭ শতাংশ অর্জন সম্ভব: জাতিসংঘ
বিশ্বের ৭০০ কোটির বেশি মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ১৬৯টি লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে ২০৩০ সালের মধ্যে মাত্র ১৭ শতাংশ অর্জন সম্ভব হবে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। শুক্রবার (২৮ জুন) সংস্থাটির বার্ষিক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস প্রতিবেদন প্রকাশ করে বলেন, 'এতে দেখা যাচ্ছে বিশ্ব জীবনমান উন্নয়নে ব্যর্থ হচ্ছে।
২০১৫ সালে বৈশ্বিক দারিদ্র্য বিমোচন থেকে শুরু করে লিঙ্গ সমতা অর্জন পর্যন্ত ১৭টি সুদূরপ্রসারী উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করেছিলেন বিশ্ব নেতারা। এই দশকের শেষ নাগাদ পৌঁছাতে ১৬৯টি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ব ‘পরমাণু বিপর্যয়ের’ থেকে এক ধাপ দূরে: জাতিসংঘ মহাসচিব
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, লক্ষ্যমাত্রার প্রায় অর্ধেক বিষয়ে ন্যূনতম ও মাঝারি অগ্রগতি দেখা গেছে। এছাড়া এক-তৃতীয়াংশের বেশি স্থবির বা পিছিয়ে গেছে এবং মাত্র ১৭ শতাংশ অর্জনের পথে রয়েছে।
গুতেরেস বলেন, 'বিষয়টি সহজ। শান্তি নিশ্চিত, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় এবং আন্তর্জাতিক অর্থায়ন জোরদারে আমাদের ব্যর্থতা উন্নয়নকে ব্যাহত করছে।’ প্রতিবেদনে কোভিড-১৯ মহামারির দীর্ঘস্থায়ী প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালের তুলনায় ২০২২ সালে অতিরিক্ত ২ কোটি ৩ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মধ্যে পড়েছে এবং ১০ কোটির বেশি মানুষ অনাহারে ভুগছে।
গুতেরেস বলেন, ‘অপ্রত্যাশিত সম্পদ, জ্ঞান ও প্রযুক্তির এই বিশ্বে বহু মানুষকে মৌলিক চাহিদা থেকে বঞ্চিত করা নিন্দনীয় ও অগ্রহণযোগ্য।’
জাতিসংঘের এই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, এই শতাব্দীতে প্রথমবারের মতো, বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ অর্ধেক দেশে মাথাপিছু জিডিপি প্রবৃদ্ধি উন্নত অর্থনীতির তুলনায় ধীর, যা সমতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। সংস্থাটি বলছে, ২০২২ সালে প্রায় ৬০ শতাংশ দেশ মাঝারি থেকে অস্বাভাবিক উচ্চ মূল্যের মুখোমুখি হয়েছে।
মানসম্মত শিক্ষার লক্ষ্য অর্জন অনেক দূরে রয়ে গেছে। বিশ্বব্যাপী মাত্র ৫৮ শতাংশ শিক্ষার্থী প্রাথমিক বিদ্যালয় শেষে পড়ার ক্ষেত্রে ন্যূনতম দক্ষতা অর্জন করেছে।
রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, ‘সাম্প্রতিক মূল্যায়নে অনেক দেশে গণিত এবং পড়ার স্কোর উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পেয়েছে।’
লিঙ্গ সমতা সম্পর্কে এতে হলা হয়েছে, বিশ্ব এখনও পিছিয়ে রয়েছে। প্রতি পাঁচজন মেয়ের মধ্যে একজন এখনও ১৮ বছর বয়সের আগে বিয়ে করে, নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা অব্যাহত রয়েছে, অনেক নারীর তাদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নেই এবং বর্তমান হারে ব্যবস্থাপনা পদে পুরুষদের সঙ্গে সমতায় পৌঁছাতে নারীদের ১৭৬ বছর সময় লাগবে।
গুতেরেস বলেন, এই প্রতিবেদনে 'কিছু আশার আলো' রয়েছে।
মোবাইল ব্রডব্যান্ডের ক্ষেত্রে বিশ্বের জনসংখ্যার ৯৫ শতাংশের প্রবেশডেগ্যতা রয়েছে। ২০১৫ সালে এটি ছিল ৭৮ শতাংশ।
প্রতিবেদনে বলা হয়, নবায়নযোগ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বৈশ্বিক সক্ষমতা গত পাঁচ বছর ধরে নজিরবিহীনভাবে বার্ষিক ৮.১ শতাংশ হারে বাড়ছে।
আরও পড়ুন: কানেকটিভিটি উচ্চতর পর্যায়ে নিতে একসঙ্গে কাজ করছে ঢাকা-দিল্লি: কর্মকর্তা
চিকিৎসার সুযোগ বৃদ্ধির ফলে গত তিন দশকে এইডস-সম্পর্কিত ২ কোটি ৮ লাখ মৃত্যু এড়ানো গেছে। ম্যালেরিয়ার নতুন টিকা লাখ লাখ মানুষের জীবন বাঁচাতে সক্ষম। বেশিরভাগ অঞ্চলে মেয়েরা এখন শিক্ষায় ছেলেদের সঙ্গে সমতা অর্জন করছে। আর অনেক নারী এখন প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করছেন।
তবে টেকসই উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের গতি ও মাত্রা এখনও অনেক ধীর।
গাজা থেকে ইউক্রেন, সুদান ও এর বাইরেও যুদ্ধের অবসান ঘটাতে এবং ধ্বংস ও যুদ্ধের ব্যয় থেকে জনগণকে রেহাই দিতে এবং শান্তিতে বিনিয়োগের দিকে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মহাসচিব জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা এবং 'সবুজ ও ডিজিটাল রূপান্তর' বিষয়ে বৃহত্তর পদক্ষেপ নেওয়ারও আহ্বান জানান।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উন্নয়নশীল দেশগুলোকে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সহায়তা করার জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগে বার্ষিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলারের ব্যবধান রয়েছে।
গুতেরেস সম্পদ সরবরাহের জন্য প্রচেষ্টা জোরদার করার এবং ঋণের চাপ ও ঋণ পরিশোধের ব্যয় হ্রাস, নগদ প্রবাহ সংকটের ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর জন্য আপদকালীন অর্থায়নের প্রবেশযোগ্যতা প্রসারিত করা এবং বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন ব্যাংকের ঋণ দেওয়ার ক্ষমতা বহুগুণ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘দারিদ্র্যের অবসান, পৃথিবীকে রক্ষা এবং কাউকে পেছনে ফেলে না রাখার বিষয়ে আমাদের অঙ্গীকার থেকে সরে আসা উচিত হবে না।’
আরও পড়ুন: ব্রিটনির থেকে ১০০ গজ দূরে থাকতে হবে আলেকজান্ডারকে
৫ মাস আগে
কোরিয়া বাংলাদেশের চমৎকার উন্নয়ন অংশীদার : প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়াকে বাংলাদেশের অসাধারণ উন্নয়ন ও বিনিয়োগ অংশীদার হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
কোরিয়া এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংক ইয়ুন-এর চেয়ারম্যান ও সিইও হি সাং বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংসদ ভবনে তার কার্যালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এবিএম সরওয়ার-ই-আলম সরকার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
শেখ হাসিনা কোরিয়া সরকারের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। কোরিয়া সরকারের সহযোগিতার পরিমাণ বিগত পাঁচ বছরে প্রায় ৩০০ থেকে ৪০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার থেকে ৬ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের কালুরঘাট পয়েন্টে কর্ণফুলী নদীর ওপর যৌথ রেল ও সড়ক সেতু নির্মাণে অর্থায়নের চুক্তি সইয়ের জন্য ইউনকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, 'এই সেতু নিশ্চয়ই চট্টগ্রাম শহরের যানজট কমাবে এবং দক্ষিণ এশিয়া, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া এবং বিশেষ করে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জন্য মাতারবাড়ি (সোনাদিয়া) গভীর সমুদ্রবন্দরের জন্য একটি প্রশস্ত করিডোর তৈরি করবে।’
তিনি বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য প্রকল্পে সহজ শর্তে অর্থায়নের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানান।
প্রধানমন্ত্রী তার দু'বার কোরিয়া সফরের কথাও স্মরণ করেন।
২০১০ সালের সফরটি তিনি আন্তরিকভাবে স্মরণ করেন। তিনি সেসময় কোরিযা প্রজাতন্ত্রকে বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত একটি 'বিশেষ বন্ধু' বলে অভিহিত করেছিলেন।
আরও পড়ুন: পরিবেশের স্বার্থে রাসেলস ভাইপার সাপ না মারার আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর
কোরিয়া এক্সিম ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সিইও হি সাং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাৎ করতে পেরে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং ঢাকায় তার সফল সফরে সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি তার এই সফরকে সবচেয়ে ফলপ্রসূ হিসেবে বিবেচনা করেন কারণ তিনি বাংলাদেশের চলমান প্রধান উন্নয়ন যাত্রা প্রত্যক্ষ করেন।
কোরিয়ান এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের চেয়ারম্যান ও সিইও বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জিডিপি, চলমান উন্নয়ন পরিক্রমা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরেন। কোভিড-১৯ করোনাভাইরাস মহামারিসহ চলমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা হয়েছে।
তিনি দারিদ্র্য বিমোচন এবং ২০২৬ সালের মধ্যে এলডিসি থেকে সম্পূর্ণরূপে উত্তরণে শেখ হাসিনার প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
ইয়ুন বাংলাদেশে কোরিয়ার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণে তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন এবং উভয় দেশের ভবিষ্যৎ অর্থনৈতিক সম্ভাবনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের মেধা বিকাশে কারিকুলামে আধুনিক প্রযুক্তির জ্ঞান আনা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রতিনিধিদল ইডিসিএফ (ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট কো-অপারেশন ফান্ড) এবং ইডিপিএফ (ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট প্রমোশন ফান্ড)’র আওতায় ২০২৩ থেকে ২০২৭ সালের মধ্যে উন্নয়ন প্রকল্প ও কর্মসূচিতে বাংলাদেশকে ৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অর্থায়নে সন্তোষ প্রকাশ করেছে।
তারা বাংলাদেশে দক্ষ মানবসম্পদ উন্নয়নে সহযোগিতা ও অর্থায়নের বিষয়েও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ইয়ুন এই সহযোগিতার পারস্পরিক সুবিধার কথা তুলে ধরে বলেন, মানব মূলধন হিসেবে বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যুবক রয়েছে। অন্যদিকে কোরিয়ান প্রজাতন্ত্র তার ক্রমবর্ধমান বয়স্ক জনসংখ্যার কারণে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে।
তিনি আশা প্রকাশ করেন, উভয় দেশ এই চ্যালেঞ্জটি কাটিয়ে উঠতে একে অপরের পরিপূরক হতে পারে। যেটি সর্বোপরি উভয় দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সহায়তা করে। এই সহযোগিতার সম্ভাব্য ফলাফল সম্পর্কে শ্রোতাদের মধ্যে ইতিবাচকতার অনুভূতি সৃষ্টি করে।
ইয়ুন বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন ও জোরদারে তার গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। যে প্রস্তাবটি শেখ হাসিনা উষ্ণভাবে গ্রহণ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে ভারতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের সাইড লাইনে তার সঙ্গে তার বৈঠকের কথা স্মরণ করেন।
তিনি দু'দেশের জনগণের জন্য একটি প্রতিশ্রুতিশীল ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বিদ্যমান সম্পর্ক সম্প্রসারণ ও গভীর করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব বলেন, উভয় পক্ষ পারস্পরিক সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের প্রত্যাশায় ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে বৈঠক শেষ করেন।
অ্যাম্বাসেডর-অ্যাট-লার্জ মোহাম্মদ জিয়াউদ্দিন, অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, মুখ্য সচিব মোহাম্মদ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ইআরডি সচিব মো.শাহরিয়ার কাদের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: পদ্মা সেতুর ঋণ পরিশোধ বাবদ ৩১৫ কোটি টাকার চেক গ্রহণ করলেন প্রধানমন্ত্রী
৫ মাস আগে
নারীর জীবনমানের উন্নয়নে সরকার প্রতিশ্রুতিবদ্ধ: প্রতিমন্ত্রী
নারীর জীবনমান উন্নয়নে সরকারের সহযোগিতা চালু থাকবে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বাংলাদেশ শিশু একাডেমী মিলনায়তনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির যৌথ উদ্যোগে (আইসিভিজিডি) প্রকল্পের অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জিসিএ লোকাল অ্যাডাপটেশন চ্যাম্পিয়ন্স অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করেছেন শেখ হাসিনা
অনুষ্ঠানে আইসিভিজিডি প্রকল্পের অধীনে ৯৬ হাজার ৯২৮ জন নারীকে জিটুপি (গভর্নমেন্ট টু পার্সন) পদ্ধতিতে আয় বর্ধক কার্যক্রম বা ব্যবসা পরিচালনার জন্য জনপ্রতি এককালীন ২০ হাজার টাকা করে মোট ১৯৩ কোটি ৮৫ লাখ টাকার অনুদান দেওয়া হয়।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই অনুদানের মাধ্যমে নারীদের স্বতন্ত্রভাবে সমর্থনের পাশাপাশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করা হচ্ছে।
সিমিন হোসেন বলেন, নারীদের উন্নয়নে এবং দেশের অগ্রগতিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখার ক্ষেত্রে বর্তমান সরকার এমন সুযোগ তৈরিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কালপেল্লি, মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারক, মহিলা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খানসহ মন্ত্রণালয়ের অনেক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
উল্লেখ্য, চলমান আইসিভিজিডি প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে দেশজুড়ে এক লাখ নারীকে উপকারভোগী হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। তাদের অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করতে নগদ অর্থ অনুদান, প্রতি মাসে ৩০ কেজি চাল, পাঁচটি নির্ধারিত বিষয়ে প্রশিক্ষণ এবং একটি বিশেষ মডিউলের অধীনে উপকারভোগীর নিজের পছন্দ ও সুবিধাজনক একটি বিষয়ে উন্নত মানের প্রশিক্ষণ ও ব্যবসা পরিকল্পনা তৈরিতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বাল্যবিবাহ হলো আমাদের সম্পদের অপচয়: সিমিন হোসেন
আত্মহত্যা নিরসনে সরকারি-বেসরকারি সবার প্রচেষ্টা প্রয়োজন: সিমিন হোসেন
৬ মাস আগে
যুব ও ক্রীড়া উন্নয়নে ২০ প্রকল্পের প্রস্তাব অর্থমন্ত্রীর
সরকার খেলাধুলার মানোন্নয়ন ও প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য স্টেডিয়াম, জিমনেসিয়াম, সুইমিংপুল ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন স্পোর্টস ক্লাবকে ক্রীড়া সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী মাহমুদ আলী।
তিনি প্রস্তাবিত বাজেটে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের জন্য ২ হাজার ২১২ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছেন, যা ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ছিল ১ হাজার ৩০৩ কোটি টাকা।
আরও পড়ুন: ব্যাগেজ নিয়মে ২৪ ক্যারেটের স্বর্ণ আর অনুমোদিত নয়
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদ ভবনে বাজেট উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী বলেন, 'যুব ও ক্রীড়ার উন্নয়নে আগামী বাজেটে ২০টি প্রকল্প প্রস্তাব করছি।’
২০২৩-২৪ অর্থবছরে ক্রীড়া সুবিধা নির্মাণ ও উন্নয়নের জন্য মোট ১৩টি প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য প্রকল্প হলো 'উপজেলা শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ'।
এছাড়া খেলোয়াড়দের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য প্রতিটি বিভাগে অভিজ্ঞ প্রশিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে ট্যালেন্ট হান্ট প্রকল্প চলমান রয়েছে।
এ লক্ষ্যে ওই প্রতিভাবান ক্রীড়াবিদদের দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সরকার ক্রীড়া সামগ্রী এবং দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ক্রীড়া ইভেন্ট আয়োজনের জন্য ক্রীড়া ফেডারেশন, অ্যাসোসিয়েশন ও সংস্থাগুলোকে নিয়মিত ক্রীড়া সামগ্রী এবং আর্থিক সহায়তা দিচ্ছে।
আরও পড়ুন: ব্যাংক ডিপোজিটের ওপর আবগারি শুল্কে পরিবর্তন ও অফশোর ডিপোজিট শুল্কমুক্ত করার প্রস্তাব
কর-জিডিপি অনুপাত বাড়াতে অভ্যন্তরীণ রাজস্ব বাড়ানোর বিকল্প নেই: অর্থমন্ত্রী
৬ মাস আগে
পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নে যুব সমাজের অংশগ্রহণ অপরিহার্য: পরিবেশমন্ত্রী
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে সক্রিয় নাগরিক অংশগ্রহণ, বিশেষত যুবকদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
রবিবার (২ জুন) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে ‘সাসটেইনেবল বিয়ন্ড কনফ্লিক্ট: ফর্জিং ইকুইট্যাবল পিস থ্রু ইউনিফাইড অ্যাকশন’ প্রতিপাদ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ন্যাশনাল মডেল ইউনাইটেড নেশন্স ২০২৪ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় নিরলসভাবে কাজ করতে আহ্বান পরিবেশমন্ত্রীর
তিনি বলেন, জাতিসংঘের তিনটি গুরুতর সমস্যা হলো- জলবায়ু পরিবর্তন, জীববৈচিত্র্যের ক্ষতি ও দূষণ সমাধান। এই সমস্যা সমাধানে যুবকদের নিজেদের নিয়োজিত করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী আরও বলেন, যুব সম্প্রদায়কে যোগাযোগের দক্ষতা অর্জন করতে হবে এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা শিখতে হবে।
তিনি বলেন, প্রকৃতিকে সুরক্ষা করে তার সঙ্গে সহাবস্থান করতে হবে। পরিবেশ সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়ন বাস্তবায়নে সরকারের প্রচেষ্টায় অংশীদার হতে হবে।
তিনি বলেন, সবাই মিলে একসঙ্গে কাজ করতে পারলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত সোনার বাংলা গড়া সম্ভব হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ফিলিস্তিন রাষ্ট্রদূত ইউসেফ এস.ওয়াই. রমাদান, সংসদ সদস্য জারা জাবিন মাহবুব ও বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র অর্থনীতিবিদ সৈয়দ রাশেদ আল-জায়েদ।
আরও পড়ুন: সেচ পাম্পের জ্বালানি নবায়নযোগ্য করলে সাশ্রয় হতে পারে ৫০০০ মেগাওয়াট: পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বিশ্বকে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে: পরিবেশমন্ত্রী
৬ মাস আগে