বাগেরহাটে সিডিসি প্রদানসহ ৩ দফা দাবিতে ইনিস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি কেন্দ্রে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি চলছে। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীর ক্লাশ বর্জন করে সোমবার সকাল ৯টার দিকে কেন্দ্রের প্রধান ফটকের গেটে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে অনির্দিষ্টকালের এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এসময় শিক্ষার্থীরা তাদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন শ্লোগান দিতে থাকে।
বাগেরহাটসহ দেশের নারায়ণগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, সিরাজগঞ্জ, চাঁদপুর এবং ফরিদুপুর ইনিস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে একই দাবিতে শাটডাউন কর্মসূচি চলছে বলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা ইউএনবিকে জানান।
শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে, মেরিন ও শিপবিল্ডিং ডিপ্লোমাদের সমুদ্রগামী জাহাজের যোগদানের জন্য অনুর্ধ্ব ৬ মাসের প্রি- সি ট্রেনিংয়ের মাধ্যমে অফিসার ক্যাডেড সিডিসি প্রধান, বিভিন্ন মন্ত্রাণালয় অধীনস্ত ইঞ্জিন ও মেশিন সংশ্লিষ্ট বিভাগে উপসহকারী প্রকৌশলী পদে মেরিন ও শিপবিল্ডিং ডিপ্লোমাদের নিয়োগ বিধান চালু করা ও প্রশিক্ষণের মান উন্নত করা।
মেরিন ও শিপবিল্ডিং ডিপ্লোমা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের ব্যানারে এই শাটডাউন কর্মসূচি শুরু হয়েছে। বাগেরহাটে ইনিস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজির শিক্ষার্থীদের এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: বিমানের চাকা খুলে পড়ার ঘটনায় দুটি তদন্ত কমিটি গঠন
শিক্ষার্থীরা জানান, এসএসসিতে ভালো ফলাফল করে তারা প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীনে ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজিতে ভর্তি হয়। ভর্তির পর থেকে তাদের উপর বৈষম্য শুরু হয়। চার বছরের ডিপ্লোমা শেষ করার পরে তাদের চাকরির তেমন কোনো ব্যবস্থা নেই। বেশিরভাগ শিক্ষার্থীদের বেকার থাকতে হয়।
শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, ডিপ্লোমা ইন মেরিন ও শিপবিল্ডিং শিক্ষার্থীদের ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিদেশি জাহাজে চাকরির জন্য সিডিসি-কন্টিনিউয়াস ডিসচার্জ সার্টিফিকেট দেওয়া হত। কিন্ত কোনো কারণ ছাড়াই শিপিং করপোরেশন মেরিন ও শিপবিল্ডিং ডিপ্লোমাধারীদের সিডিসি দেওয়া বন্ধ করে দেয়। যার কারণে শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার কয়েক গুন বৃদ্ধি পেয়েছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, চার বছরের ডিপ্লোমা শেষ করা বিভিন্ন পলিটেকনিকের শিক্ষার্থীদের জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টরসহ বিভিন্ন পদে সরকারি চাকরির সুযোগ থাকলেও মেরিন ও শিপবিল্ডিংয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের সেই সুযোগ নেই। এসব বিষয়ে তারা বারবার আবেদন করলেও সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। যার ফলে সকল মেরিনের শিক্ষার্থীরা এক সঙ্গে শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে।
তাদের দাবি মানা না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে বলে জানান আন্দোলনতর শিক্ষার্থীরা।
এসময় বক্তব্য দেন, শিক্ষার্থী শেখ আমানউল্লাহ রাকিব, মিরাজ আহম্মেদ সিহাব, ধীরব চন্দ্র বর্মন ও প্রিন্স হালদার প্রমুখ।