এ বিষয়ে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে বৃহস্পতিবার বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মহি উদ্দিন শামীমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেয়।
আরও পড়ুন: নির্দোষ জাহালমের কারাভোগের জন্য কে দায়ী জানতে চায় হাইকোর্ট
একইসঙ্গে ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ২০ লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে পুলিশ মহাপরিদর্শক ও ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি এ ঘটনা পিবিআইকে দিয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে তিন মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
এছাড়া, এ ঘটনার সাথে সংশ্লিষ্ট পল্লবী থানার সাবেক ওসি দাদন ফকির, তদন্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম খান, এসআই রাসেল ও নজরুল ইসলামকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত এবং তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কম গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিরীহ জাহালমকে মুক্তি দিতে কারা কর্তৃপক্ষকে হাইকোর্টের নির্দেশ
বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করায় হাইকোর্ট আমাদের সময়ের প্রতিবেদক ইউসুফ সোহেলের ভূয়াসী প্রশংসা করেছে। হাইকোর্ট বলেছে, সাংবাদিকতা হলো রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ এবং সমাজের দর্পন। তারা এভাবে সঠিকভাবে কাজ করলে সমাজে দুর্নীতিবাজ ও অন্যায়কারীদের প্রতিরোধ করা সম্ভব। আদালত ইউসুফ সোহেলকে অভিনন্দন জানিয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ুন কবির পল্লব। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নওরোজ এম রাসেল চৌধুরী।
আরও পড়ুন: ইত্তেহাদ এয়ারলাইনসে হয়রানি: দুই বাংলাদেশিকে ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ
সোনালী ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতির ঘটনায় ২৬ মামলার ভুল আসামি পাটকল শ্রমিক জাহালম প্রায় তিন বছর কারাভোগের পর উচ্চ আদালতের হস্তক্ষেপে মুক্তি পান। ওই বিষয়টি আলোচনায় থাকাকালে গত বছরের ১৮ এপ্রিল আরমানের বিনা দোষে কারাভোগ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। এটি যুক্ত করে একটি মানবাধিকার সংগঠনের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করে ‘ল অ্যান্ড লাইফ ফাউন্ডেশন’।
আরও পড়ুন: যশোরের সেই ৩ কিশোরের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে নোটিশ
হাইকোর্ট পরে একই বছরের ২৩ এপ্রিল মামলার নথি তলব করে রুল জারি করে। রুলে আরমানকে আটক রাখা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তাকে কেন মুক্তি দেয়া হবে না, তাকে হাইকোর্টে হাজির করার কেন নির্দেশ দেয়া হবে না এবং তাকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না তা জানতে চায় হাইকোর্ট। সেই রুলের চূড়ান্ত শুনানির পর বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করা হয়।
আরও পড়ুন: আবরারের পরিবারকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে রিট
রাজধানীর পল্লবীর বেনারসি কারিগর মো. আরমান নির্দোষ হয়েও মাদক মামলায় ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে ২০১৬ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে কারাভোগ করছেন। পল্লবী থানার এ মামলার প্রকৃত আসামি মাদক কারবারি শাহাবুদ্দিন বিহারি। কিন্তু ওই পরিচয়ে তার পরিবর্তে সাজাভোগ করছেন আরমান। শুধু বাবার নামে মিল থাকায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে শাহাবুদ্দিন নামে আদালতে সোপর্দ করে বলে অভিযোগ পরিবারের।