রিট
ডাকসু নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত
ডাকসু নির্বাচন ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) এক রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি শেখ তাহসিন আলীর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
সম্প্রতি ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদপ্রার্থী এস এম ফরহাদের প্রার্থিতা চ্যালেঞ্জ করে তিন বাম সংগঠন সমর্থিত ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেলের মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন বিষয়ক সম্পাদক প্রার্থী বিএম ফাহমিদা আলম রিট মামলাটি করেন।
রিটকারীর পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। আর এস এম ফরহাদের পক্ষে শুনানি করেছেন অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির।
আদেশের বিষয়ে আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, এসএম ফরহাদের প্রার্থিতার বৈধতা নিয়ে রিটের শুনানি শেষে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা এই আদেশের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো। দুএক দিনের মধ্যে এই পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) কেন্দ্রীয় কমিটি ও হল সংসদগুলোর নির্বাচন আগমী ৯ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল।
চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা আনুযায়ী, কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
পড়ুন: ডাকসু নির্বাচনে প্রার্থী ৪৭১
চূড়ান্ত তালিকা অনুযায়ী, সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।
এছাড়া মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে রয়েছেন ১২ জন।
এছাড়া গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন বিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৫ জন প্রার্থী এবং ১৩টি সদস্য পদে মোট ২১৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।
৯৪ দিন আগে
নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনায় কমিটি চেয়ে রিট
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ছয়টি সুপারিশ নিয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন এক আইনজীবী। রবিবার (৪ এপ্রিল) এ তথ্য জানিয়েছেন রিটকারী রওশন আলী।
নারী সংস্কার কমিশনের বিতর্কিত ও সাংঘর্ষিক বিষয় পর্যালোচনার জন্য বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে এই রিটে। বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটটির ওপর শুনানি হতে পারে। রিটে নারী ও শিশু, আইন ও ধর্ম মন্ত্রণালয় ও নারী সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনটি সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। প্রতিবেদনের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামী শরিয়তের বিধানের পরিপন্থী। দেশের জনগণের ধর্মীয় অনুভূতির পরিপন্থী ও সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।
তাই এই বিষয়ে রিট দায়ের করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও জাতীয়ভাবে স্পর্শকাতর।
রিটে সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনের ৩, ৪, ৬, ১০, ১১ ও ১২ অধ্যায়ে অন্তর্ভুক্ত সুপারিশগুলো কেন বেআইনিভাবে প্রণীত ও আইনগত কার্যকারিতা–বহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না—এই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যকারিতা স্থগিত, আফতাবনগরে পশুর হাট নয়: হাইকোর্ট
রিটকারী আইনজীবী বলেন, ‘উইমেন রিফর্ম কমিশন রিপোর্ট— ২০২৫’ এই রিপোর্টটি ৩১৮ পৃষ্ঠাব্যাপী এবং সম্প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে প্রকাশিত ও আলোচিত হয়েছে। রিপোর্টের বিভিন্ন সুপারিশ ইসলামী শরীয়ত, আমাদের সংবিধান এবং দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষের মূল্যবোধের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। প্রথমত, রিপোর্টের অধ্যায় ১১-তে পুরুষ ও নারীর জন্য সমান উত্তরাধিকার দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা সরাসরি কোরআনের সুরা নিসা (৪:১১)-এর পরিপন্থী। দ্বিতীয়ত, রিপোর্টে বহুবিবাহ নিষিদ্ধ করার প্রস্তাব এসেছে, যা ইসলামী শরীয়তে অনুমোদিত একটি বিধান এবং সংবিধানের ৪১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ধর্মচর্চার অধিকার ক্ষুণ্ণ করে। তৃতীয়ত, ‘মাই বডি, মাই চয়েজ’ স্লোগানকে অন্ধভাবে সমর্থন দিয়ে শরীয়তের ওপর ভিত্তি না রেখে নৈতিকতার সীমা অতিক্রম করার চেষ্টা করা হয়েছে।
চতুর্থত, যৌনকর্মকে বৈধ পেশা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যা ইসলামী মূল্যবোধ এবং সংবিধানের ২(ক) ও ২৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী। পঞ্চমত, রিপোর্টে লিঙ্গ পরিচয় এবং ট্রান্সজেন্ডার বিষয়ে যে ভাষা ব্যবহার করা হয়েছে, তা শরীয়তবিরোধী এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। রিটে নারী কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নের ওপর স্থগিতাদেশ চাওয়া হয়েছে।’
২১৪ দিন আগে
বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ নিয়ে রিট শুনতে বিব্রত বিচারপতি
সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫ এর চারটি ধারার বৈধতা নিয়ে রিট শুনতে বিব্রতবোধ করেছেন হাইকোর্টের একজন বিচারপতি। আদালত রিটের নথিটি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। সোমবার (১৭ মার্চ) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি বলেন, ‘আমি এখানে পক্ষ। কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে সভায় ছিলাম। তাই আবেদনটি শুনতে পারছি না।’
এরপর রিটটি কার্যতালিকা থেকে বাদ দেওয়ার কথা বলেন আদালত। এ সময় জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিম বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আরজি জানান।
পরে আদালত বিব্রতবোধের কথা উল্লেখ করে বিষয়টি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠানোর আদেশ দেন। নিয়ম অনুযায়ী, বিষয়টি এখন প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে। তিনি শুনানির জন্য যে বেঞ্চ নির্ধারণ করে দেবেন, সেই বেঞ্চে রিটের শুনানি হবে।
আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, আহসানুল করিম ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল নূর মুহাম্মদ আজমী।
আরও পড়ুন: সাবেক বিচারপতি মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগে বিচারক নিয়োগের লক্ষ্যে উপযুক্ত ব্যক্তি বাছাই করে প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে পরামর্শ দিতে ‘সুপ্রিম কোর্টের বিচারক নিয়োগ অধ্যাদেশ-২০২৫’ শিরোনামে অধ্যাদেশ গত ২১ জানুয়ারি গেজেট আকারে জারি করে আইন মন্ত্রণালয়।
অধ্যাদেশের কয়েকটি ধারা সংশোধনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানিয়ে গত ২৩ জানুয়ারি আইনি নোটিশ পাঠান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আজমল হোসেন।
এ বিষয়ে তিন দিনের মধ্যে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ জানানো হয়। আইনি নোটিশের জবাব না পেয়ে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন তিনি। অধ্যাদেশের ৩, ৪, ৬ ও ৯ ধারার বৈধতা নিয়ে রিটটি করা হয়।
২৬২ দিন আগে
আদানির কাছ থেকে বিদ্যুৎ ক্রয়ের সব চুক্তি বাতিল চেয়ে রিট
বিদ্যুৎ ক্রয় নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে করা চুক্তির শর্ত সংশোধন করে ন্যায্যতার ভিত্তিতে নতুন চুক্তি করার প্রস্তাবে রাজি না হলে তা বাতিলের নির্দেশনা চেয়ে রিট করা হয়েছে।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ব্যারিস্টার এম এ কাইয়ুম জনস্বার্থে এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট আবেদনটির ওপর আগামী রবিবার শুনানি হতে পারে বলে জানিয়েছেন রিট আবেদনকারী আইনজীবী।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর বিদ্যুৎ নিয়ে ভারতের আদানি গ্রুপের সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল চেয়ে সরকারকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান তিনি।
নোটিশে অবিলম্বে অন্যায্য একতরফা চুক্তি পুনর্বিবেচনা অথবা পুরোটাই বাতিল চাওয়া হয়েছে। তিনদিনের মধ্যে আদানিকে এই ঘটনায় চুক্তি পুনর্বিবেচনার কার্যক্রম শুরু না করলে হাইকোর্টে রিট করবেন বলেও জানান সংশ্লিষ্ট আইনজীবী।
জ্বালানি ও আইন বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে পর্যালোচনা কমিটি গঠন করে বিস্তারিত প্রতিবেদন দেওয়ারও আহ্বান জানানো হয়েছে। লিগ্যাল নোটিশের জবাব দিতে পিডিবির চেয়ারম্যান ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ৩ তিন সময় বেঁধে দেওয়া হয়। নোটিশের সময় পেরিয়ে যাওয়ায় এ রিট আবেদনটি করা হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনায় আদানির সঙ্গে তাড়াহুড়ো করে ২০১৭ সালে বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি হয়। ওই সময় দেশে আমদানি করা কয়লানির্ভর কোনো বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হয়নি। এসব চুক্তির একটি ২০১৭ সালে আদানির সঙ্গে করা ২৫ বছর মেয়াদি বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি। ভারতের পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য ঝাড়খণ্ডে আদানির ১ হাজার ৬০০ মেগাওয়াটের বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে মূলত বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর জাতীয় পর্যালোচনা কমিটির সভায় ১১টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের সিদ্ধান্ত হয়েছে। এসব তথ্য-উপাত্ত ও নথি কমিটিকে সরবরাহের জন্য বিদ্যুৎ বিভাগ থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে আছে ভারতের আদানির বিদ্যুৎকেন্দ্র।
৩৮৬ দিন আগে
আ. লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বিধিনিষেধ চেয়ে রিট
আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ওপর বিধিনিষেধ চেয়ে সোমবার হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। তবে পুরোপুরি দলটি নিষিদ্ধের দাবি করা হয়নি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট দায়ের করেন।
বিচারপতি ফাতেমা নাজিব ও বিচারপতি সিকদার মাহমুদুর রাজীবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে এ আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
রিটকারীদের পক্ষের আইনজীবী আহসানুল করিম বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত হওয়া থেকে বিরত রাখতেই এই রিট দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করল সরকার
তিনি বলেন, চলমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে জনস্বার্থ সমুন্নত রাখতেই এই পদক্ষেপ।
এর আগে আওয়ামী লীগের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞার দাবি করে আগস্টে একটি রিট দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু সেটি ১ সেপ্টেম্বর বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামানের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ তা খারিজ করে দেন।
গত ২৩ অক্টোবর সন্ত্রাসবিরোধী আইনের বিধান দেখিয়ে আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
১৯৪৯ সালের ২৩ জুন প্রতিষ্ঠিত হয় আওয়ামী লীগ। দলের সভাপতি ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ত্যাগ করার পর থেকে ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হচ্ছে এই রাজনৈতিক দল।
আরও পড়ুন: ৮ দিবস বাতিলের সিদ্ধান্তের নিন্দা সর্ব ইউরোপিয়ান আওয়ামী লীগের
৪০২ দিন আগে
ইলিশ রপ্তানি বন্ধে হাইকোর্টে রিট
দেশ থেকে স্থায়ীভাবে জাতীয় মাছ ইলিশ রপ্তানি বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে এবার হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদনটি করেন আইনজীবী মো. মাহমুদুল হাসান।
রিটে বাণিজ্য সচিব, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বেসামরিক বিমান ও পর্যটন সচিব, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান, আমদানি ও রপ্তানি প্রধান নিয়ন্ত্রকের দপ্তর ও বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যানকে বিবাদী করা হয়েছে।
এছাড়া ইলিশ রপ্তানি থেকে বিরত থাকতে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন অবৈধ হবে না, সে প্রশ্ন তুলে রুল জারির আরজি জানানো হয়েছে রিটে।
সেইসঙ্গে উপযুক্ত বা সাশ্রয়ী দামে দেশে ইলিশ মাছ বিক্রির ব্যবস্থা করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিবের প্রতি নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
ইলিশ রপ্তানি বন্ধে এর আগে ১১ সেপ্টেম্বর বিবাদীদের আইনি নোটিশ পাঠান আইনজীবী মাহমুদুল হাসান। নোটিশ পাওয়ার ৭ দিনের মধ্যে ইলিশ রপ্তানি স্থায়ীভাবে বন্ধে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছিলেন। নইলে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদন করার কথা বলা হয়েছিল সে নোটিশে।
কিন্তু এ নোটিশ দেওয়ার ৩ দিনের মাথায় গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারতে দ্বিতীয় দফায় আরও ৫০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ভারতে রপ্তানির খবরে বেড়েছে ইলিশের দাম
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ৪ সেপ্টেম্বর প্রথম দফায় দুই হাজার ৪৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দেয়। ভারতে রপ্তানির জন্য দুই দফায় মোট দুই হাজার ৯৫০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমোদন দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
রিটকারী আইনজীবী মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘বিবাদীদের কাছ থেকে নোটিশের জবাব না পেয়ে ও ইলিশ রপ্তানি বন্ধে দৃশ্যমান কোনো উদ্যোগ চোখে না পড়ায় রিট আবেদনটি করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে এখতিয়ার সম্পন্ন বেঞ্চে রিটটি শুনানির জন্য উপস্থাপন করা হবে।’
রিট আবেদনে বলা হয়েছে, ইলিশ বাংলাদেশের জাতীয় মাছ। কিন্তু বর্তমানে ইলিশ মাছের অত্যাধিক দামের কারণে বাংলাদেশের দরিদ্র জনগোষ্ঠী এই মাছ কেনার কথা চিন্তাও করতে পারে না। মধ্যবিত্তরাও এই ইলিশ মাছ কিনতে হিমশিম খাচ্ছে। বাজারে ইলিশ মাছের গড় দাম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি। পদ্মার ইলিশের দাম গড়ে ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা কেজি। কিন্তু বাজারে পদ্মার ইলিশ পাওয়া যায় না বললেই চলে। কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের চাহিদার কথা চিন্তা না করে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে দেশের বাজারে ইলিশের দাম আরও বেড়েছে। আরও দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে দেশের বাজারের চেয়ে কম দামে ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে। তাছাড়া বাংলাদেশের রপ্তানি নীতি ২০২১-২৪ অনুযায়ী ইলিশ মুক্তভাবে রপ্তানিযোগ্য পণ্য নয়। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পূর্ণ অনায্যভাবে, জণগণের স্বার্থ উপেক্ষা করে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ ধরা ও বিক্রি বন্ধ
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে এবার প্রায় ৫ হাজার টন ইলিশ মাছ রপ্তানির পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত এ সংক্রান্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এবার ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেতে এরই মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছে। তা থেকে পর্যায়ক্রমে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানকে ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১ অক্টোবর থেকে দুর্গাপূজা শুরু। সাধারণত দুর্গাপূজা উপলক্ষেই ভারতে ইলিশ রপ্তানি করা হয়।
২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত রপ্তানি বন্ধ থাকলেও ২০১৯ থেকে দেশটিতে আবার ইলিশ রপ্তানি চালু করা হয়।
গত বছর ভারতে ১ হাজার ৪০০ টন ইলিশ রপ্তানি করা হয়েছিল।
আরও পড়ুন: ভারতে ইলিশ রপ্তানির অনুমতির প্রতিবাদে অন্তর্বর্তী সরকারকে আইনি নোটিশ
৪৩৫ দিন আগে
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি পেছাল
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা এবং ডিবি হেফাজত থেকে ছয় সমন্বয়কের মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে করা রিটের শুনানি বুধবার হয়নি।
এদিন বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিটের শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
শুনানিকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে হাইকোর্টের এই বেঞ্চে আইনজীবী ও সাংবাদিকরা ভিড় জমান। পরে জানানো হয় বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি ছুটিতে আছেন। এ কারণে ডিভিশন বেঞ্চ বসছেন না। তবে কবে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি হবে তাও নিশ্চিত করতে পারেননি আদালত সংশ্লিষ্টরা।
আরও পড়ুন: স্থায়ী নিয়োগ পেয়েছেন হাইকোর্টের ৯ বিচারপতি
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না করার নির্দেশনা চেয়ে গত সোমবার (২৯ জুলাই) হাইকোর্টে রিট করা হয়। একইসঙ্গে রিট আবেদনে কোটা আন্দোলনের ছয় সমন্বয়ককে ডিবি হেফাজত থেকে মুক্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি এ রিট করেন। রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার রিটটির শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন, আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার অনীক আর হক, আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম প্রমুখ।
অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মো. মোরসেদ ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার মেহেদী হাছান চৌধুরী।
গতকাল শুনানিতে আদালত বলেন, সব মৃত্যুই দুঃখজনক। কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় আমরা লজ্জিত।
আদালত বলেন, ‘সংবিধান ও আইনে সব বিষয় লেখা আছে। কিন্তু আমরা কেউ সংবিধান, আইন মেনে চলছি না ‘
আজ বুধবার এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানি ও আদেশের দিন ধার্য ছিল।
আরও পড়ুন: ঘরের মধ্যে ৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে নির্দেশনা চেয়ে রিট
সহিংসতা ও মৃত্যুতে আমরা লজ্জিত: হাইকোর্ট
৪৯১ দিন আগে
ঘরের মধ্যে ৪ শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ীদের চিহ্নিত করতে নির্দেশনা চেয়ে রিট
কোটা সংস্কার আন্দোলনে সহিংসতায় ঘরের মধ্যে চার শিশুর মৃত্যুর জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করতে নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
একই সঙ্গে এ ঘটনার কারণ উদঘাটনে তিন সদস্যের একটি বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) তৃণমূল বিএনপির মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী তৈমূর আলম খন্দকার বাদী হয়ে এই রিট দায়ের করেন।
রিটে নিহতদের প্রত্যেক পরিবারের জন্য এক কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশনাও চাওয়া হয়েছে। রিটে যে চার শিশুর কথা উল্লেখ করা হয়েছে তারা হলো- নারায়ণগঞ্জের রিয়া গোপ, রায়েরবাগের আবুল আহাদ, মিরপুরের সাফফাত ও উত্তরার নাঈমা সুলতানা।
পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে আসা মৃত শিশুদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে বলে জানান রিটের পক্ষের আইনজীবী।
বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) রিট আবেদনটির ওপর শুনানি হতে পারে। রিট আবেদনে স্বরাষ্ট্র সচিব, আইন সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শকসহ দুটি জাতীয় দৈনিককেও বিবাদী করা হয়েছে।
আইনজীবী তৈয়মুর আলম খন্দকার বলেন, কোটা আন্দোলনে অংশ না নিয়ে ঘরে থেকে কেন শিশুরা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেল? তাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই কেন। এসব ঘটনার জন্য কারা দায়ী এবং তাদের পরিবারকে ক্ষতিপূণর দেওয়ার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে রিটে। দুটি জাতীয় পত্রিকার রিপোর্টের ভিত্তিতে এই রিট আবেদনটি করা হয়েছে। এজন্য পত্রিকা দুটিকেও রিটে বিবাদী করা হয়েছে। বিচারপতি মোস্তাফা জামান ইসলামের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে এই রিটের শুনানি করা হবে।
৪৯১ দিন আগে
আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না করতে এবং ডিবি হেফাজত থেকে ৬ সমন্বয়কের মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে রিট
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি না করতে এবং গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজত থেকে ছয় কোটা সমন্বয়কারীকে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।
সোমবার (২৯ জুলাই) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মানজুর আল মতিন প্রীতম ও আইনুন্নাহার সিদ্দিকা লিপি জনস্বার্থে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসেন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চে এই রিট দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: নিরীহ শিক্ষার্থীদের হয়রানি না করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের প্রতি ঢাবির আহ্বান
এই বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইন কর্মকর্তা সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আনিচ উল মাওয়া এ তথ্য নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, রিটে মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক, সেনাবাহিনী প্রধানসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।
সোমবার ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে হাইকোর্ট পরবর্তী শুনানি ও পরে এ বিষয়ে আদেশ দেওয়ার জন্য মঙ্গলবার দিন ধার্য করেন।
শুনানিতে আবেদনকারীদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, ব্যারিস্টার সারা হোসেন, ব্যারিস্টার অনিক আর হক প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মেহেদী হাসান চৌধুরী ও শেখ মোহাম্মদ মোর্শেদ।
রবিবার রাতে ডিবি হেফাজতে থাকা অবস্থায় কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম এক ভিডিও বার্তায় তাদের আন্দোলন কর্মসূচি প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।
এই ঘোষণার পরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনের অন্যান্য সমন্বয়ক বিবৃতি দিয়ে তাদের নয় দফা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করেছে রাবি শিক্ষার্থীরা
মিরপুরে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করেছে পুলিশ
৪৯৩ দিন আগে
সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল চেয়ে রিট
আইন অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তাদের সম্পদের হিসাব দাখিল ও ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
রবিবার (৩০ জুন) হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস।
রিটে সংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের সচিব, আইন, বিচারক ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরসহ সংশ্লিষ্ট ১০ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: মন্ত্রিসভার সদস্যদের সম্পদের হিসাব দেয়ার পক্ষে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
এ বিষয়ে হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চে রিটটি শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। এই বেঞ্চের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সরকারি কর্মচারীদের সম্পত্তির বিবরণীর নিদের্শনা চেয়ে পিআইএল (পাবলিক ইন্টারেস্ট লিটিগেশন) করার এফিডেভিটের অনুমতির জন্যে রবিবার (৩০ জুন) আবেদন করেন আইনজীবী সুবীর নন্দী। পরে আদালত তাদের রিট করার অনুমোদন দেন।
রিটকারি আইনজীবী সুবীর নন্দী দাস বলেন, ‘সরকারি কর্মকর্তা কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব আইনে উল্লেখিত যথাযথ নিয়মে কর্তৃপক্ষের কাছে দাখিলের পাশাপাশি ওয়েবসাইটে প্রকাশের নির্দেশনা চেয়ে রিটটি করেছি। আগামীকাল এই রিটের শুনানি হবে।’
উল্লেখ্য, ‘সরকারি র্কমচারী (আচরণ) বধিমিালা, ১৯৭৯’-এর ১১, ১২ ও ১৩ বিধিতে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব বিরণী দাখিলের বাধ্যবাধকতার বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রাকৃতিক সম্পদের হিসাব প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার: পরিবেশমন্ত্রী
৫২১ দিন আগে