মঙ্গলবার রাজধানীর বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার সফটওয়্যার ও অ্যাপস উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘উনার (এসকে সিনহা) ইচ্ছাগুলো, উনার ব্রোকেন ড্রিমস উনি চরিতার্থ করতে পারেননি বলেই আহাজারি করছেন। সেসব বিষয়ে আমার কিছু বলার নেই। উনার যে এই দেশের প্রতি কোনো আনুগত্যবোধ নেই, সেটাই বুঝা যাচ্ছে। তার কারণ হচ্ছে, যেসব কথা উনি বলছেন সেসব কথা উনি দেশে থাকাকালীন সময়েও বলতে পারতেন। কিন্তু সেগুলো যেহেতু সর্ববই মিথ্যা সে জন্য তিনি সেসব কথা দেশের বাইরে গিয়ে বলছেন। এতে এটা পরিষ্কার হলো তিনি এসব কথা বলছেন বিদেশে রাজনৈতিক আশ্রয় পাওয়ার জন্য।’
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, হয়ত তার মাঝে এই ভয় আছে যে, দেশে ফিরলে মামলাগুলোর সম্মুখীন হতে হবে।
আরেক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তাকে ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া আদালতের মাধ্যমে হবে।’
আরপিও সংশোধনীর বিষয়ে আনিসুল হক বলেন, ‘আরপিও সংশোধনীর জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে যে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে তা আমরা পেয়েছি। এগুলো দেখা হচ্ছে।’
রাষ্ট্রপতি ১২টি বিলে স্বাক্ষর করেছেন কিন্তু সেখানে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট ছিল না। তাহলে আইনটি কি সংশোধনী করা হচ্ছে? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিমন্ত্রী এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টার উপস্থিতিতে আমরা যে বৈঠক করেছি সেখানে বলেছি এবং আজও বলছি, আগামী মন্ত্রী পরিষদ সভায় অ্যাডিটরস কাউন্সিল থেকে যে বক্তব্য দেয়া হয়েছে তা উপস্থাপন করা হবে।’
এর আগে দরিদ্র ও নির্যাতিত অসহায় মানুষদের বিনামূলে আইনি সহায়তা প্রদানে সফটওয়্যার ও অ্যাপসের উদ্বোধন করেন মন্ত্রী।
জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে আনিসুল হক বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ও টোল ফ্রি কলসেন্টার সার্ভিসের মাধ্যমে আইনি সহায়তা প্রদানের পরিসংখ্যান তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘ঘরে বসে আইনি সহায়তা পাওয়ার বিষয়টি এক সময় স্বপ্ন ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সে স্বপ্নের দ্বার উন্মুক্ত করেছেন। এর ফলে ঘরে বসেই মানুষ বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ লাভ করছেন।’
সংস্থার উপপরিচালক আবিদা সুলতানার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন সাবেক প্রধান বিচারপতি ও আইন কমিশনের চেয়ারম্যান এ বি এম খায়রুল হক, আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মো. জহিরুল হক, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক খোন্দকার মুসা খালেদ, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক মো. জাফরোল হাছান প্রমুখ।