বৃহস্পতিবার রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটিতে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সপ্তাহ ২০১৮’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের আর্থ সামাজিক উন্নয়নের সাথে সাথে আমি মনে করি, বিদ্যুৎ উৎপাদনে যা ব্যয় হয় তা আরো বেশি দিতে হবে।
তিনি আরো বলেন, তাই, আমার অনুরোধ সবাইকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। আপনাদের অনুরোধ করবো, বিদ্যুতের যেনো অপচয় না হয়। আপনারা এ ব্যাপারে খেয়াল রাখবেন।
বিদ্যুতের ভুর্তুকি দেয়া হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন ৬ টাকা ২৫ পয়সা পার কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ হচ্ছে। কিন্তু আমরা বিদ্যুৎ বিক্রি করছি ৪ টাকা ৮২ পয়সায়।
বর্তমান সরকার গত ১০ বছরে প্রায় ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের করেছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০০৯ সালে এ উৎপাদন ছিল মাত্র তিন হাজার মেগাওয়াট।
বিগত সরকারের সাথে তুলনা করে প্রধানমন্ত্রী জানান, তার সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বর্তমানে দেশের ৯০ শতাংশ জনগণ বিদ্যুতের সুবিধা ভোগ করছে। অথচ ২০০৯ সালে এ হার ছিল মাত্র ৪৭ শতাংশ।
তিনি আরেো বলেন, ২০০৯ সালে বিদ্যুতের গ্রাহক ছিল মাত্র ১.০৮ কোটি, কিন্তু বর্তমানে বিদ্যুতের গ্রাহক সংখ্যা দাঁড়িয়েছে তিন কোটিরও বেশি।
গত সাড়ে নয় বছরে ১৩৫টি পাওয়া প্ল্যান্টের আওতায় ২৪ হাজার ৩৫১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিভিন্ন চুক্তিস্বাক্ষর হয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এর মধ্যে জাতীয় গ্রীডে ইতিমধ্যে ১২ হাজার ২৫০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যোগ হয়েছে।
বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সরকার মেগা পরিকল্পনা নিয়েছে জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে ২৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০৩০ সালের মধ্যে ৪০ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালের মধ্যে ৬০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নেপালের বিদ্যুৎ, পানি ও সেচ বিষয়ক মন্ত্রী বর্সামন পুন (অনন্ত)।
এছাড়াও অন্যান্যদের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, বিদ্যুৎ ও জ্বালানী বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব আবু হেনা মো. রহমাদতুলও মুনীম বক্তব্য রাখেন।