প্রচণ্ড গরমে উৎপাদন কমে যাওয়া এবং গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিস্থিতি আবারও খারাপ হচ্ছে।
রাষ্ট্রায়ত্ত বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে যে ১৩ হাজার ৩০০ মেগাওয়াটের চাহিদা মেটাতে সোমবার দুপুর ১২টায় দেশে ১ হাজার ৪৫১ মেগাওয়াটের লোডশেডিং হয়েছে।
তারা বলছে, বিপিডিবি এর উৎপাদন ইউনিটের মাধ্যমে সর্বোচ্চ ১১ হাজার ৮৪৯ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে সক্ষম। হয়েছে।
বিপিডিবি’র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলেন, প্রতিষ্ঠানটির পূর্বাভাসে বলা হয়েছে যে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় পিক আওয়ারে চাহিদা বেড়ে দাঁড়াবে ১৪ হাজার ৯০০ মেগাওয়াট (উৎপাদন পর্যায়ে) ও সর্বোচ্চ উৎপাদন হবে ১৪ হাজার ৯৩৭ মেগাওয়াট এবং উৎপাদনে উদ্বৃত্ত থাকবে ৩৭ মেগাওয়াট।
আরও পড়ুন: দেশে শনিবার ২ হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং হয়েছে
বিপিডিবি’র কর্মকর্তারা বলেন, তবে এই পূর্বাভাস কখনোই বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটায় না, কারণ দেশে সবসময় পূর্বাভাসের চেয়ে বেশি লোডশেডিং দেখা যায়।
বিপিডিবি’র ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই লোডশেডিং-এর প্রকৃত পরিমাণ সরকারি পরিসংখ্যানে উঠে আসে না।’
এদিকে, ঢাকা শহরসহ বিভিন্ন স্থানে দিনে ৬ ঘণ্টার বেশি বিদ্যুৎ বিভ্রাটের শিকার হচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তারা।
কিশোরগঞ্জের বাসিন্দা আব্দুল কুদ্দুস নামের এক ভোক্তা অভিযোগ করেন, তারা দিনে মাত্র কয়েক ঘণ্টা বিদ্যুৎ পান এবং বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎবিহীন থাকতে হয়।
রাজধানীর মগবাজার এলাকার এক বাসিন্দা অভিযোগ করেন,তাদের ঘণ্টায়-ঘণ্টায় বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সম্মুখীন হতে হয়।
বিপিডিবি’র পরিসংখ্যানে দেখা যায় যে সোমবার সন্ধ্যায় প্রতিষ্ঠানটিকে ৫৮৬ মেগাওয়াটের লোডশেডিংয়ে যেতে হয়, কারণ চাহিদা ছিল ১৪ হাজার ২০৩ মেগাওয়াট এবং সরবরাহ হয়েছে ১৩ হাজার ৬১৭ মেগাওয়াট।
তারা বলেন, কয়লা ও গ্যাস সরবরাহের ঘাটতির কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: শুধু ঢাকাতেই দিনের বেলায় ৬০০ মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং