শনিবার পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ সময়মতো শেষ করা নিয়ে এক ওয়েবিনারে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, জামালগঞ্জ এবং অন্যান্য স্থান থেকে কয়লা উত্তোলনের বিষয়ে সরকার বেশ কয়েকটি সম্ভাব্যতা সমীক্ষা চালিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত চালানো এসব গবেষণায় দেখা গেছে যে স্থানীয় খনি থেকে কয়লা উত্তোলন করে বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলোর জন্য ব্যবহার করা টেকসই সাশ্রয়ী হবে না।
পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র সময়মতো বাস্তবায়নের জন্য দুই দেশের মধ্যে যৌথ উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ-চীন পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিপিসিএল) প্রশংসা করে নসরুল হামিদ বলেন, বিভিন্ন মহলের বিরোধীতা সত্ত্বেও এ এক ‘বিরাট সাফল্য’।
দেশ-বিদেশের বেশ কয়েকটি পরিবেশবাদী সংগঠন ও বাম ধারার রাজনৈতিক মহল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে সরকারের পদক্ষেপের বিরোধিতা করে আসছে।
তিনি বলেন, ‘এখন, পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপনায় জড়িতদের উচিত হবে ওই বিরোধীদের কেন্দ্রের পরিবেশগত এবং অন্যান্য দিকগুলো দেখানোর জন্য তাদের পরিদর্শনের ব্যবস্থা করা।’
নসরুল হামিদ বলেন, মাতারবাড়ী বন্দর নির্মাণের ফলে কয়লা আমদানি ও পরিবহন আরও সহজ হবে এবং জ্বালানি ব্যয় আরও কমবে।
অনলাইনে এ সেমিনারে বিশিষ্ট জ্বালানি বিশেষজ্ঞ ড. এম তামিম, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (বিপিডিবি) চেয়ারম্যান বেলায়েত হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন এবং নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানির (এনডব্লিউপিজিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এএম খোরশেদুল আলম বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিসিপিসিএলের প্রধান প্রকৌশলী ও প্রকল্প পরিচালক শাহ আব্দুল মওলা হেলাল এবং এটি সঞ্চালনা করেন এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ারের এডিটর মোল্লাহ আমজাদ হোসেন।
পটুয়াখালীর পায়রায় ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এনডব্লিউপিজিসিএল এবং চায়না মেশিনারি ইমপোর্ট অ্যান্ড এক্সপোর্ট কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে বিসিপিসিএল গঠন করা হয়েছিল।
এম তামিম বলেন, যথাযথভাবে সমন্বয়ের কারণেই পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের কাজ সময়মতো শেষ করা সম্ভব হয়েছে। প্রকল্পের কারণে ক্ষতিগ্রস্থ স্থানীয় জনগণের পুনর্বাসন ব্যবস্থারও প্রশংসা করেন তিনি।
এনডব্লিউপিজিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী এএম খোরশেদুল আলম বলেন, তারা ৩৬০০ মেগাওয়াটের এলএনজি ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র, ১৩২০ মেগাওয়াটের দ্বিতীয় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং ৫০ মেগাওয়াটের বায়ু বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বেশ কয়েকটি প্রকল্প হাতে নিয়েছেন।