বিলাসবহুল পণ্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
তিনি বলেন, ‘সরকারি বা বেসরকারি খাতে অপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণ করা হবে।’
বুধবার অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি এবং সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির পরপর দুই বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন অর্থমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সব সময় কিছু অপ্রয়োজনীয় জিনিস আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে। তবে ভোগ্যপণ্য যেগুলো জনগণের জন্য প্রয়োজনীয় ও প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য অত্যাবশ্যক সেগুলোর ওপর কোনো বিধিনিষেধ থাকবে না।
আরও পড়ুন: বৈদেশিক ঋণ প্রাপ্তিতে নিরাপদ অবস্থানে বাংলাদেশ: অর্থমন্ত্রী
শ্রীলঙ্কা বা নেপালের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতে বাংলাদেশ ব্যাংক আমদানি নিয়ন্ত্রণে আরও ব্যবস্থা নেবে কি না এমন প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন।
অনেক অর্থনীতিবিদ বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান বৈদেশিক ঋণ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকও কয়েকটি পণ্য আমদানিতে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, আমদানি-রপ্তানি দুটোই বেড়েছে। তবে সব সময়ই রপ্তানির চেয়ে আমদানি বেশি হয়। আমাদের দেশে রপ্তানি আমদানিকে ছাড়িয়ে যেতে পারে না।
আরও পড়ুন: ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার আমদানিতে শুল্ক প্রত্যাহার: অর্থমন্ত্রী
তিনি বলেন, ‘কিছু আমদানি সরাসরি প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত যা আমাদের অনুমতি দিতে হবে। কিছু আমদানি নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কারণ সেগুলো সবসময় খোলা থাকে না।’
তিনি বলেন, অভ্যন্তরীণ দুর্বলতা বিদ্যমান থাকায় এসব বিলাসবহুল সামগ্রী নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে এসব পণ্য আমদানির অনুমতি দেয়া হবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।