তার পরিবারের সদস্যরা জানান, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন মৃণাল হক। শুক্রবার সুগার লেভেল ও অক্সিজেনের মাত্রা কমে গিয়ে গুলশানের বাসভবনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার আসরের নামাজের পর গুলশান আজাদ মসজিদে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হবে এবং তাকে মিরপুরের শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
১৯৫৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাজশাহীতে জন্মগ্রহণ করেন মৃণাল হক। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউট থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
মৃণাল হক ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে গিয়ে ভাস্কর্যের কাজ শুরু করেন। তবে ২০০২ সালে তিনি স্থায়ীভাবে দেশে ফিরে আসেন।
দেশে ফিরে নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করেন মতিঝিলের ‘বলাকা’ ভাস্কর্যটি। ২০০৩ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নির্মিত গোল্ডেন জুবিলি টাওয়ার তারই শিল্পকর্ম।
রাজধানীতে মৃণাল হকের ‘রত্নদ্বীপ’, ‘রাজসিক’, ‘জননী ও গর্বিত বর্ণমালা’, ‘বর্ষারাণী’, ‘অতলান্তিকে বসতি’সহ বেশ কয়েকটি ভাস্কর্য রয়েছে।
এছাড়া বিখ্যাত সব ব্যক্তিদের ভাস্কর্য তৈরি করে গুলশানে ‘সেলিব্রেটি গ্যালারি’ করেছিলেন শিল্পী মৃণাল হক।