ভাস্কর
প্রখ্যাত ভাস্কর শামীম শিকদার মারা গেছেন
বাংলাদেশের কিংবদন্তি ভাস্কর শামীম শিকদার (৭০)মারা গেছেন। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৪টায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বিখ্যাত আর্ট কিউরেটর ও আর্টকন এর প্রতিষ্ঠাতা এআরকে রিপন ইউএনবিকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একুশে পদক বিজয়ী এই ভাস্কর দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছিলেন এবং চিকিৎসাধীন ছিলেন। ১৯ ফেব্রুয়ারি তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং ৯ মার্চ তাকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
এর আগে, যুক্তরাজ্য থেকে দেশে ফিরে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তির আগে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) এবং জাতীয় কার্ডিওভাসকুলার ডিজিজেসে ভর্তি করা হয়েছিল।
রিপন ইউএনবিকে জানান, বুধবার সকাল ১১টায় তার মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) চারুকলা অনুষদের প্রাঙ্গণে নিয়ে যাওয়া হবে।
১৯৫২ সালের ২২ অক্টোবর ফরিদপুরে জন্মগ্রহণকারী শিকদার ১৫ বছর বয়সে বুলবুল একাডেমি অব ফাইন আর্টসে (বাফা) ভর্তি হন। ২৩ বছর বয়সে তিনি যুক্তরাজ্যের লন্ডনের স্যার জন ক্যাস স্কুল অব আর্ট-এ চলে যান।
আরও পড়ুন: অভিনেতা খালেকুজ্জামান মারা গেছেন
দেশে ফিরে এসে তিনি ১৯৮০ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ঢাবির চারুকলা অনুষদে একজন অনুষদ সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। অবসর গ্রহণের পর তিনি লন্ডনে ফিরে যান।
তিনি তার শৈল্পিক উদ্যোগ সংরক্ষণের জন্য সাত মাস আগে যুক্তরাজ্য থেকে বাংলাদেশে ফিরে আসেন; তবে এরপরই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
১৯৭৪ সালে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মরণে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে একটি ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।
তিনি ১৯৯০ সালে ঢাবির টিএসসিতে ‘স্বোপার্জিত স্বাধীনতা' এবং ১৯৯৯ সালে ফুলার রোড এলাকায় 'স্বাধীনতা সংগ্রাম' ভাস্কর্য নির্মাণ করেন।
শিকদার ১৯৭৪ সালে প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কার, ২০০০ সালে একুশে পদকে পান এবং আরও অনেক পুরস্কারে ভূষিত হন।
মৃত্যুকালে তিনি লন্ডনে বসবাসকারী দুই সন্তান রেখে গেছেন।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সহ-সভাপতি আবু আলম চৌধুরী আর নেই
ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা মারা গেছেন
১ বছর আগে
২০০ কেজি সোনায় কারুকার্যমণ্ডিত হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন
বিশ্বজুড়ে শ্রেষ্ঠ কাজগুলোর অঙ্কুরে সব সময় ছিল তার পেছনের মানুষগুলোর বিশ্বাস এবং জীবনবোধ। এর সাথে যুক্ত হয়েছিলো তাদের নিরন্তর প্রচেষ্টা যা মহাকাল জুড়ে চির অম্লান হয়ে আছে। ঠিক তেমনি এক ইতিহাসের জন্ম হতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় পবিত্র কোরআন শরীফ তৈরির মাধ্যমে। এটি পূর্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র কোরআন তৈরির সকল রেকর্ডকে ছাড়িয়ে যাবে। ইতোমধ্যে পাকিস্তানের করাচীতে বিশাল টিম নিয়ে শুভ মহরতে কাজটি শুরু হয়ে গেছে। চলুন, বিস্ময়কর এই নির্মাণ শৈলীর ব্যাপারে বিস্তারিত জেনে নেই।
স্বর্ণখচিত বিশ্বের বৃহত্তম পবিত্র কোরআন নির্মাণ প্রজেক্ট
বিশ্বের সবচেয়ে বড় এই পবিত্র কোরআন তৈরির কাজটি হাতে নিয়েছে স্বনামধন্য পাকিস্তানি ভাস্কর ও চিত্রশিল্পী শহীদ রাসাম। এ প্রজেক্টটির আরেকটি বিশেষত্ব হলো, এ্যালুমিনিয়ামের উচ্চ মানের ক্যানভাসের উপর এই পবিত্র কোরআনের অক্ষরগুলো সোনা দিয়ে বানিয়ে বসানো হবে। ৫৫০টি পৃষ্ঠার জন্য প্রায় ২০০০ কেজি এ্যালুমিনিয়াম এবং ৮০ হাজার অক্ষরের জন্য প্রায় ২০০ কেজি সোনা ব্যবহার করা হবে। ফ্রেম ছাড়া ৬.৫ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮.৫ ফুট প্রস্থের এই বিশাল পবিত্র কোরআনের প্রতিটি পৃষ্ঠায় ১৫০টি অক্ষর বসানো হবে।
আরও পড়ুন: এস এম সুলতানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নড়াইলে আর্ট ক্যাম
পাঁচ বছর পূর্বে শুরু করা দুর্দান্ত এই হস্তশিল্পের কাজটি ২০২৫ সাল নাগাদ সম্পন্ন করার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন শহীদ রাসামের টিম। পুরো প্রজেক্টের ব্যয়ভার শহীদ রাসাম নিজেই বহন করছেন। তবে এই মহৎ কাজটির সুষ্ঠুভাবে সমাধার জন্য তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী বন্ধুরাও তাকে সাহায্য করছেন।
১৪০০ বছরেরও অধিক সময়ের পুরোনো ইসলামী ইতিহাসে এত বিশাল আকারের স্বর্ণখচিত পবিত্র কোরআন শরীফ এই প্রথমবার নির্মিত হতে যাচ্ছে।
স্বর্ণশোভিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ পবিত্র কোরআন কারিগরেরা
চিত্রকর শহীদ রাসামের উপর চিত্রশিল্পের পৃষ্ঠপোষকদের আস্থা অপরিসীম। কেননা ভারত ও পাকিস্তানসহ যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাষ্ট্র ও ইতালিতে তাঁর কাজ বহুল প্রশংসিত হয়েছে। তাঁর সাথে এই প্রজেক্টে কাজ করছে ২০০ জনের একটি টিম এবং তারা সবাই এখন করাচীতে অবস্থান করছেন। এরা সবাই শহীদ রাসামের নিজ হাতে গড়ে তোলা দক্ষ কারিগর।
আরও পড়ুন: বুড়িগঙ্গায় ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইচ অনুষ্ঠিত
৩ বছর আগে
বিশিষ্ট ভাস্কর মৃণাল হক আর নেই
বিশিষ্ট ভাস্কর মৃণাল হক শনিবার ভোরে রাজধানীর এক হাসপাতালে মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬২ বছর।
৪ বছর আগে