ফজরের নামাযের পর পাকিস্তানের মাওলানা ওবায়দুল খোরশেদের আম বয়ানের মধ্য দিয়ে ৫৫তম ইজতেমার আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু হয়।
বিদেশি মেহমান ছাড়াও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা কয়েক হাজার মুসল্লি এই পর্বে অংশ নিচ্ছেন।
দুপুরে অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তম জুমার নামাজ। নামাজে ইজেতমার আশেপাশের এলাকা থেকে মুসল্লিরা অংশ নেবেন। প্রথম পর্বে অংশ নিচ্ছেন মাওলানা জোবায়ের অনুসারীরা।
ইজতেমার মূল বয়ান মঞ্চ থেকে জ্যেষ্ঠ মুরুব্বিরা আগত মুসল্লিদের উদ্দেশে বিভিন্ন ভাষায় আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নির্দেশিত ইসলামী বিধানের ওপর দিক নির্দেশনামূলক গুরুত্বপূর্ণ বয়ান করছেন। আরবি, উর্দু ভাষার বয়ান সাথে সাথেই বাংলা ভাষায় তরজমা করে দেয়া হচ্ছে।
দুপুরে বৃহত্তম জুমার নামাজের জামাতে অধিক সংখ্যক মুসল্লিদের চাপ মাথায় রেখে ইজতেমার কড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। প্রতিবারের মতোই নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুল সংখ্যক পুলিশের পাশাপাশি র্যাবসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন ময়দান এলাকায়। এছাড়া বিপুল সংখ্যক গোয়েন্দা কর্মী সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন করছেন।
তিনদিনের প্রথম পর্বের ইজতেমা ১২ জানুয়ারি শেষ হবে। ইজতেমার দ্বিতীয় পর্বটি ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে।
১৯৬৭ সাল থেকে টঙ্গীর ইজতেমা মাঠে তাবলিগ জামাত বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করে আসছে। ইজতেমা মাঠের চাপ কমাতে এবং নিরাপত্তা ও উন্নত ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করতে ২০১১ সাল থেকে দুই ধাপে ইজতেমার আয়োজন হয়ে আসছে।