মঙ্গলবার দেশের ১৮টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ২০২০-২০২১ অর্থবছরের জন্য বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, ইউজিসি’র কাজই হচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন-কানুন যথাযথভাবে পালন হচ্ছে কি না তা খতিয়ে দেখা। আইনের বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। নিয়মের মধ্যে থেকেই সব কাজ করতে হবে। যেকোনো ধরনের অনিয়মে ইউজিসি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করবে।
সরকারি কর্মসম্পাদন ব্যবস্থাপনা পদ্ধতির আওতায় ইউজিসি ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে এপিএ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
সরকারি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা ও দায়বদ্ধতা আনায়ন, সম্পদের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিতকরণ এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নের লক্ষ্যে এপিএ প্রবর্তন করা হয়।
ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে দেওয়া বক্তব্যে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে নানা রকম চাপ থাকে। চাপে নত হয়ে যদি কেউ আইন অমান্য করেন বা অনিয়ম করেন তাহলে তিনি ছাড় পাবেন না। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারদের বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগ, পদোন্নতি, আর্থিকসহ বিভিন্ন বিষয়ে বিদ্যমান আইন ও নিয়ম মেনে কাজ সম্পাদন করার অনুরোধ জানান।
অধ্যাপক শহীদুল্লাহ বলেন, করোনা পরবর্তীতে প্রয়োজনে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অডিট পরিচালনা করা হবে। এতে কোনো ধরনের আর্থিক বিশৃঙ্খলা বা অনিয়ম ধরা পড়লে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উপাচার্যদের আইনসম্মতভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, মেয়াদের শেষ সময়ে আপনারা নিয়োগসহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতন থাকবেন। আপনাদের কাজের কারণে নতুন দায়িত্বপ্রাপ্ত উপাচার্যরা যেন কোনো ধরনের বিপদে না পড়েন সেদিকে খেয়াল রাখবেন। নিয়মের ভিত্তিতেই আপনারা প্রশাসনিক ও একাডেমিক পরিবেশ ভালো করার চেষ্টা করবেন।
অনুষ্ঠানে ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. দিল আফরোজা বেগম, অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর, অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ এবং অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহের বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের সচিব (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ড. ফেরদৌস জামান। ইউজিসি’র পক্ষে তিনি এবং বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর রেজিস্ট্রারবৃন্দ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন।