ইউজিসি
ইউজিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুখ, সম্পাদক মহিব্বুল আহসান
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির দশম সাধারণ নির্বাচনে মো. ওমর ফারুখ সভাপতি এবং ড. মো. মহিব্বুল আহসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ওমর ফারুখ ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক এবং মহিব্বুল আহসান একই বিভাগের উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
১১ সদস্যবিশিষ্ট এ কার্যনির্বাহী কমিটি আগামী দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে। মঙ্গলবার ইউজিসি অডিটোরিয়ামে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহসভাপতি মো. মোস্তাফিজার রহমান ও মো. আ. মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক ও প্রচার সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোরশেদ আহম্মদ এবং সদস্য এম মারুফ আলম জেমস, মোহাম্মদ নুর ইসলাম চৌধুরী ও মো. আবদুল্লাহ আল মামুন।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আমিনুল ইসলাম।
নির্বাচন কমিশনার ছিলেন- পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপপরিচালক শিবানন্দ শীল এবং জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন ১০ গবেষক
জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করতে তিন সদস্যেরে একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ধর্ষণের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কেন এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কমিটি গঠনের কথা জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
অভিযোগের প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির আয়োজন করে ইউজিসি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন- কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানিসহ অনিয়মের অভিযোগসমূহের নিখুঁতভাবে পর্যালোচনা ও প্রতিকারে পদক্ষেপ গ্রহণে ইউজিসি শিগগিরই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সেল গঠন করবে। এখানে দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে এই সেল তদারকি করবে এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণকাণ্ড বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যৌন হয়রানিসহ নানা অপকর্মে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।
এছাড়া, এসব অপরাধের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও অপরাধীদের প্রশ্রয়ের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়নি।
ড. আলমগীর বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত না করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে এবং অছাত্ররা দিনের পর দিন কীভাবে হলে থাকছেন, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হলেই কেবল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি, শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়।
তিনি দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানিসহ যেকোন অপরাধের ঘটনা দ্রুত আমলে নেওয়া, এটিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখা, ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখা এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. ফেরদৌস জামান যৌন হয়রানি বন্ধে প্রতিরোধ কমিটি শক্তিশালীকরণ ও মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দেন। এছাড়া সকল ধরণের হয়রানি বন্ধে নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ইউজিসি’র উপপরিচালক ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ ঘোষণা
ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন ১০ গবেষক
ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপের জন্য দেশের ১০ জন গবেষককে নির্বাচিত করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ মনোনয়ন বিষয়ক কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, ইউজিসির গবেষণা সহযোগিতা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্নত সাংবাদিকতার লক্ষ্যে ইএমকে-বিজেএস ফেলোশিপ চালু
প্রফেসর আলমগীর বলেন, দেশে মানসম্মত গবেষণা পরিচালনার লক্ষ্যে ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রদান করছে।
পাশাপাশি, ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপপ্রাপ্তদের গবেষণার ফলাফল মূল্যায়ন করবে।
এছাড়া, গবেষণা ও গবেষণার কাজের ডেটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮২ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন জাতীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ফেলোশিপ
ফেলোশিপপ্রাপ্ত গবেষকরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল আমিন নূরী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শেখ মেহেদী হাসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফিরোজা আক্তার খানম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শরাবান তহুরা ও অধ্যাপক ড. গুলশান আরা, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মো. তরিকুল ইসলাম, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ফারহীন হাসান, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ড.শহীদ মো. আসিফ ইকবাল, বরেন্দ্র ইউনিভার্সিটির ড. সুলতানা রাজিয়া এবং বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ড. সুভাষ চন্দ্র দেব।
আরও পড়ুন: সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিজেএস-ইএমকে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম
ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ-২০২৩ -এর জন্য আবেদন করেছিলেন দেশের বিভিন্ন পাবলিক, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় (শুধু স্থায়ী ক্যাম্পাস) এবং সরকারি কলেজের ৩০ জন গবেষক।
নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, প্রকাশনা, গবেষণার শিরোনাম, সারসংক্ষেপ, সুপারভাইজারের সুপারিশের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১০ জন গবেষককে ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ-২০২৩ -এর জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ পেলেন ৪৮ স্কলার
টেকসই উন্নয়নে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
উচ্চতর গবেষণা ছাড়া কোনো দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে শিক্ষকদের বেশি মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রাজুয়েটের সংখ্যা না বাড়িয়ে গুণগত মানসম্পন্ন ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ষষ্ঠ ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (ইআইসিটি ২০২৩)’- শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন আয়োজন করে।
শুক্রবার রাতে কুয়েটের টিচার্স ক্লাবে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা সেবা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান ইউজিসি’র
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আলমগীর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে ফিজিক্যাল, বায়োলজিক্যাল ও সাইবার বিষয়গুলো একীভূত করে বর্তমান যুগের সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকদের যুগের চাহিদা অনুাযায়ী গ্রাজুয়েট ও পেশাজীবী তৈরি করতে হবে।
ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে শিক্ষকদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। গবেষণা পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতা নিতে পারেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সভাপতি ও ইইই অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুয়েটের ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মনির হোসেন বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে ৪৭২টি টেকনিক্যাল পেপার থেকে বাছাই করা ১৩৮টি টেকনিক্যাল পেপার ২৭টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়া কনফারেন্সে ৮টি কি-নোট সেশন ও একটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে আমেরিকা, বেলজিয়াম, ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৩০০ গবেষক, শিক্ষক, স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদসহ অন্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান এবং ইউজিসির পক্ষে কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান এ সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
সমঝোতা স্মারকের আওতায় ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নির্দিষ্ট ফি-র বিনিময়ে বিএসএমএমইউ থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত একটি হেলথ কার্ড বা চিকিৎসা সেবা বই পাবেন।
এই হেলথ কার্ডের মাধ্যমে ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও, হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে ইউজিসির কর্তৃপক্ষ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কেবিন বা বিছানার তালিকা নির্ধারিত করা হয় এই চুক্তির আওতায়।
আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম দস্তগীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর উচ্চশিক্ষা নিয়ন্ত্রকের মানের প্রতি দায়বদ্ধতার উপর জোর দিয়ে জানিয়েছেন, বেসরকারি বা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মের ক্ষেত্রে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না।
ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. আলমগীর কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ ছাড়াই মানসম্মত শিক্ষার উপর অবিচল দৃষ্টি নিবদ্ধ করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
আরও পড়ুন: প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত হলেন ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান
তিনি বলেন, ‘যারা শিক্ষাকে মূল্য দেয় না তারা বিকল্প পথ খুঁজতে পারে। যখন একটি বিশ্ববিদ্যালয় খুলবে, কেউ কেউ বুঝতে পারে না যে এটি অলাভজনক। তাদের বিভিন্ন উদ্দেশ্য থাকতে পারে, সম্ভবত ব্যবসা সম্পর্কিত। এ ধরনের ক্ষেত্রে আমরা কঠোরতা বজায় রাখি। ফলস্বরূপ, আমরা প্রায়ই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে সহযোগিতা করার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হই। তবে আগের তুলনায় পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে।’
তিনি উল্লেখ করেন, যে কোনো শিক্ষাগত অভিযোগ তাৎক্ষণিকভাবে সমাধানের জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে অবহিত করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষায় মানসম্পন্ন শিক্ষকের অভাবের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের দেশে শিক্ষক তৈরির কোনো গুণগত ব্যবস্থা নেই। অনেক নামকরা বিশ্ববিদ্যালয় ডক্টরেট ডিগ্রিও দেয় না।
ব্রেইন ড্রেন ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আলমগীর বলেন, ‘বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা আর ফিরে আসে না। এতে পাবলিক ও প্রাইভেট উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংকট দেখা দেয়।’
তিনি এই প্রবণতার জন্য বাংলাদেশের শিক্ষকদের অপর্যাপ্ত বেতন কাঠামোকে দায়ী করেছেন। যা প্রতিবেশী দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে কম।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে শিক্ষকদের বেতন কাঠামো অপ্রতুল। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী দেশগুলোর তুলনায় আমাদের দেশে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের পারিশ্রমিক খুবই কম। এসব বিষয় নিয়ে আমি উদ্বিগ্ন।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মানসম্মত শিক্ষা দিতে চাই, তাহলে আমাদের সম্পদের প্রয়োজন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাথমিক সম্পদ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী। মানসম্মত শিক্ষা পেতে হলে মানসম্পন্ন শিক্ষকের বিকল্প নেই।’
ব্রেইন ড্রেন ইস্যুতে উদ্বেগ প্রকাশ করে আলমগীর বলেন, বিদেশে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা দেশে ফিরছে না, যার ফলে সরকারি ও বেসরকারি উভয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সংকট দেখা দিয়েছে।
এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মানসম্মত শিক্ষা প্রদানের জন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রাথমিক সম্পদ হিসাবে চিহ্নিত করে সম্পদের প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘শিক্ষার উৎকর্ষ অর্জনের জন্য মানসম্পন্ন শিক্ষক অপরিহার্য।’
তিনি বলেন, ‘আমরা যদি মানসম্মত শিক্ষা দিতে চাই, তাহলে আমাদের সম্পদের প্রয়োজন। একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে, প্রাথমিক সম্পদ শিক্ষক এবং শিক্ষার্থী। মানসম্মত শিক্ষা পেতে হলে মানসম্পন্ন শিক্ষকের বিকল্প নেই।
মানসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগে ইউজিসির প্রচেষ্টা সম্পর্কে জানতে চাইলে অধ্যাপক আলমগীর মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করতে অসুবিধার কথা স্বীকার করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিত করা চ্যালেঞ্জিং। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো দাবি করতে পারে, অপর্যাপ্ত বিজ্ঞাপন বা বাজেটের সীমাবদ্ধতার কারণে তারা যোগ্য শিক্ষকদের আকৃষ্ট করছে না। তারা উচ্চতর বেতন দিতে তাদের অক্ষমতা প্রকাশ করতে পারে। এ ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের প্রোগ্রাম বন্ধের অনুরোধ করতে পারে।
ইউজিসি চেয়ারম্যান দেশে মানসম্মত শিক্ষার মানদণ্ডের অভাবের বিষয়েও আলোকপাত করে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পূরণের জন্য কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
তিনি বলেন, ‘আমাদের মানের মানদণ্ডের অভাব রয়েছে। এমন কোনও নির্দিষ্ট মানদণ্ড নেই যা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবশ্যই পূরণ করতে হবে। যদি একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভাল কাজ করে তবে ইতিবাচক ফলাফল আসবে; অন্যথায় যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দুর্ভাগ্যবশত, আমাদের দেশে এ ধরনের মানদণ্ড নেই।’
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে ২০২৪ সালের শুরুতে একটি প্রশিক্ষণ একাডেমি চালু করা হবে। প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে এই উদ্যোগের লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে প্রশিক্ষণ দেওয়া এবং নতুন শিক্ষাবিদদের জন্য চার মাসের প্রশিক্ষণ প্রোগ্রাম প্রদান করা।
তিনি বলেন, ‘প্রকল্পটি অনুমোদিত হয়েছে এবং কাজ শুরু করার জন্য শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি জিইও জারি করা হবে। আমরা আশা করছি আগামী সপ্তাহে জিও ইস্যু করা হবে।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে অধ্যাপক আলমগীর ইউজিসিকে একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় আনার প্রচেষ্টার বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ সংশোধনে সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরে প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরি বিধিমালার প্রয়োজনীয়তার উপর গুরুত্বারোপ করেন। যা অবশ্যই সার্বজনীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনিয়মের অভিযোগের বিষয়ে অধ্যাপক আলমগীর আইন মেনে চলা নিশ্চিত করতে গৃহীত ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে একটি নিয়ন্ত্রক কাঠামোর আওতায় আনতে কাজ করছে এবং সরকার বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ এর সংশোধনী শুরু করছে।
তিনি বলেন, ‘প্রতিটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্ভিস রুলস থাকতে হবে এবং এই নিয়মগুলো সার্বজনীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমানে, আমরা ক্ষমতার বাইরে নতুন বিভাগ অনুমোদন করছি না। নতুন বিভাগের অনুমোদন দেওয়ার আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে অবশ্যই সম্পদ, স্থান এবং পরীক্ষাগারের ক্ষেত্রে তাদের সক্ষমতা প্রদর্শন করতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীর সংখ্যার উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করি। বিজ্ঞান, প্রকৌশল এবং প্রযুক্তি প্রোগ্রামগুলির জন্য, সর্বাধিক ৪০ জন শিক্ষার্থী, এবং সামাজিক বিজ্ঞান প্রোগ্রামের জন্য, এটি ৫০ থেকে ৬০ শিক্ষার্থীর মধ্যে সীমাবদ্ধ। এটি সর্বাধিক; এটি কম হতে পারে তবে বেশি ও হতে পারে না।’
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তরে বিলম্বের কথা উল্লেখ করে আলমগীর ইউজিসির অনীহা প্রকাশ করেন।
তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে স্থায়ী ক্যাম্পাসে রূপান্তরের বিষয়ে আমরা কিছুটা দ্বিধায় রয়েছি, কারণ বর্তমান আইন অনুযায়ী ১২ বছরের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সরিয়ে নিতে হবে। যদি কোনো বিশ্ববিদ্যালয় তা মানতে ব্যর্থ হয়, তবে তাদের নতুন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে, আসন সংখ্যা বাড়াতে বা স্টার রেটিং পাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে না।’
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
মানসম্পন্ন উচ্চশিক্ষা এবং উচ্চশিক্ষার কৌশলগত পরিকল্পনা (২০১৮-২০৩০) বাস্তবায়ন করতে হলে জাতীয় বাজেটে উচ্চশিক্ষা খাতের বরাদ্দ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
দেশের উচ্চশিক্ষার সংকট সমাধানে ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চশিক্ষা খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ৬ শতাংশ বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান তিনি।
শনিবার (১৮ নভেম্বর) 'পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন'- শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগ শনিবার দিনব্যাপী এই কর্মশালা আয়োজন করে।
ইউজিসি’র অর্থ ও হিসাব বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্য অধ্যাপক ড. মো. আবু তাহেরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় কমিশনের অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রেজাউল করিম হাওলাদার স্বাগত বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়ছে। সে অনুপাতে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়নে বাজেট বরাদ্দ বৃদ্ধি করা হয়নি।
তিনি আরও বলেন, ইউজিসি প্রণীত ‘অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা’-সব বিশ্ববিদ্যালয়ে বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আর্থিকখাতে শৃঙ্ক্ষলা নিশ্চিত করতে ইউজিসি ইতোমধ্যে এ নীতিমলিা সংশোধনের উদ্যোগ নিয়েছে। এটি আর্থিক খাতে ‘আমব্রেলা নীতিমালা' হিসেবে কাজ করবে। এর মাধ্যমে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম বন্ধ হবে এবং অডিট আপত্তির খড়গ থেকে বেরিয়ে আসতে পারবে বলে তিনি মনে করেন।
সভাপতির বক্তব্যে প্রফেসর আবু তাহের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থ ব্যয়ে সরকারি বিধি-বিধান যথাযথভাবে অনুসরণ ও প্রতিপালনের জন্য হিসাব পরিচালকসহ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: গবেষণায় ভাইস চ্যান্সেলর অ্যাওয়ার্ড পেলেন শাবিপ্রবির ৪ গবেষক
তিনি বলেন, সরকারি বিধি-বিধান না মানলে অডিট আপত্তি বাড়তে থাকবে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ অনুসরণ এবং যথাযথ যোগ্যতা ব্যতিত নিয়োগ, পদোন্নতি ও পদোন্নয়ন না দেওয়ার পরামর্শ দেন।
এছাড়া, অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সুবিধা (অডিট আপত্তিযোগ্য) দেখিয়ে নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে এ ধরনের অবৈধ সুবিধা না দেওয়ার আহ্বান জানান। এই অতিরিক্ত সুবিধার অডিট আপত্তি হলে বিশ্ববিদ্যালয় এবং সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে এর দায়ভার বহন করতে হবে বলে তিনি জনান।
প্রফেসর আবু তাহের তার বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সরকারি অর্থের সদ্ব্যব্যবহার এবং আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সকল লেনদেন ইএফটির মাধ্যমে করার পরামর্শ দেন।
এছাড়া, ইউজিসি প্রতিবছর আর্থিক বিষয়ে যে সব পরিপত্র জারি করে সেগুলো যথাযথ বাস্ববায়নে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।
এছাড়া, সরকারি রাজস্ব বাজেটের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে এনডাউমেন্ট ফান্ড গঠনের পরামর্শ দেন।
ইউজিসির অর্থ ও হিসাব বিভাগের উপপরিচালক মো. হাফিজুর রহামান- এর উপস্থাপনায় কর্মশালায় দেশের ৫৪টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব বিভাগের প্রধান এবং বাজেট শাখার দায়িত্বপ্রাপ্ত মোট ১০৫ জন কর্মকর্তার অংশ নেন।
দিনব্যাপী এ কর্মশালায় নতুন ফরম্যাট অনুযায়ী পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের বাজেট প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সেশন পরিচালনা করেন অর্থ ও হিসাব বিভাগের পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. রেজাউল করিম হাওলাদার, উপপরিচালক (বাজেট) মো. এমদাদুল হক ও মো. হাফিজুর রহমান।
আরও পড়ুন: জবির ৩ শিক্ষার্থী পেলেন বঙ্গবন্ধু ক্রীড়া শিক্ষা বৃত্তি
ইএমকে সেন্টারে শিক্ষা মেলার আয়োজন করেছে এডুকেশন ইউএসএ বাংলাদেশ
বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
শিক্ষা ও গবেষণায় কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে বাংলাদেশ রিসার্চ অ্যান্ড এডুকেশন নেটওয়ার্কের (বিডিরেন) সেবা গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ চন্দ।
বৃহস্পতিবার (১৬ নভেম্বর) ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ইউজিসি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত ‘বিডিরেনের সেবা গ্রহণের মাধ্যমে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন’- শীর্ষক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বিডিরেনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ তৌরিতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক বিশ্বজিৎ চন্দ বলেন, বিডিরেন বিশ্বমানের নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সেবা দিচ্ছে। এসব সেবাদানে বিডিরেন পেশাদারিত্ব বজায় রাখছে এবং ইউজিসির কার্যক্রম আরও গতিশীল করার জন্য সফটওয়্যার অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে।
শিক্ষা ও গবেষণা এগিয়ে নিতে দেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ বিডিরেনের সেবা গ্রহণের বিষয়টি বিবেচনা করতে পারে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: প্রেস কাউন্সিলের সদস্য মনোনীত হলেন ইউজিসি সচিব ফেরদৌস জামান
তিনি করোনাকালীন জুম প্লাটফর্মের মাধ্যমে অনলাইন ক্লাসের জন্য বিডিরেনের সেবার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ইউজিসি পরিচালক ওমর ফারুখ বিডিরেনের গুণগত সেবা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে সিইও বিডিরেনকে আহ্বান জানান।
এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও গবেষকরা উপকৃত হবেন বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিডিরেনের সেবা গ্রহণ করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে অনলাইনে পাঠদান করে শিক্ষা কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে পারেন বলে তিনি মনে করেন।
বিডিরেনের সিইও মোহাম্মদ তৌরিত বলেন, ‘রিসার্চ হ্যাভেন’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে বিডিরেন এগিয়ে চলছে। বর্তমানে ১৯৫টি প্রতিষ্ঠানকে তারা নেটওয়ার্ক, ডেটা, হোস্টিং আইডেনটিটিসহ বিভিন্ন ধরনের সেবা দিচ্ছে।
ইউজিসির সহযোগিতায় বিডিরেনের কার্যক্রম আরও গতিশীল করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে সেবা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, বিডিরেনের নেটওয়ার্কে নিজস্ব অর্থায়নে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সম্প্রসারণ করতে বিডিরেন কাজ করছে।
কর্মশালায় বিডিরেনের সিটিও এখলাস উদ্দিন আহমেদ বিডিরেন ট্রাস্টের কার্যক্রম নিয়ে একটি তথ্যচিত্র তুলে ধরেন।
ঢাকার ৩২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, কোষাধ্যক্ষ, আইটি পরিচালক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা কর্মশালায় অংশ নেন।
আরও পড়ুন: র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সৌর বিদ্যুৎ ব্যবহারের পরামর্শ ইউজিসির
র্যাংকিংয়ে স্থান পেতে গবেষণায় যথার্থ পরিকল্পনা প্রয়োজন: ইউজিসি
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণা ও উদ্ভাবনে যথাযথ পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্ত গ্ৰহণের অভাবে এ বছর বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কাঙ্ক্ষিত স্থান অর্জন করতে পারেনি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সিটি ব্যাংকের আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালেয়র (বাকৃবি) ২২টি গবেষণা ও উদ্ভাবন উপ-প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
এদিন সকালে বাকৃবির সৈয়দ নজরুল ইসলাম কনফারেন্স হলে দিনব্যাপী এ কর্মশালাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেমের (বাউরেস) পরিচালক প্রফেসর ড. মাহফুজা বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর এ অবস্থা মূলত বিগত বছরগুলোতে তাদের গৃহীত পদক্ষেপের ধারাবাহিক ফল।র্যাংকিংয়ে সম্মানজনক স্থান পেতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে গবেষণা ও উদ্ভাবনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি, যোগ্য শিক্ষক নিয়োগ, পিএইচডি প্রোগামে নিয়মিত শিক্ষার্থীর সংখ্যা বৃদ্ধি, সম্মানজনক বৃত্তির ব্যবস্থা, ইন্ডাস্ট্রি-একাডেমি সহযোগিতা বৃদ্ধি, সাইটেশনের ওপর গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া এবং শিক্ষকদের জন্য স্বতন্ত্র পে-স্কেলে দেওয়ার দাবি জানান।আকর্ষণীয় বেতন কাঠামো ছাড়া পিএইচডি ডিগ্রিধারী মেধাবী ও তরুণ শিক্ষার্থীরা শিক্ষকতা পেশায় আগ্রহ পাচ্ছেন না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের জন্য আলাদা একটি পে-স্কেলে প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।
এছাড়া, বিদেশে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনে তিনি নবীন শিক্ষকদের নিরুৎসাহিত করেন।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা খাতে ১২ হাজার ২৬২ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন ইউজিসি’র
তিনি বলেন, দেশের আর্থ-সামাজিক সমস্যা নিয়ে গবেষণার বিশাল সুযোগ রয়েছে। এজন্য, গবেষণার জন্য বিদেশে যাওয়া এবং সেখানে ডিগ্রি শেষে থেকে যাওয়া কোনভাবেই কাম্য নয়।
উপাচার্য এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, বিশ্ব র্যাংকিংয়ে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় পিছিয়ে যাওয়ার কারণ প্রাসঙ্গিকতা বিবেচনায় নিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা পর্যাপ্ত সাইটেশন না করা। যথাযথ সাইটেশন করা হলে বাকৃবি বিশ্ব র্যাংকিংয়ে ৬০০ এর মধ্যে অবস্থান করতো বলে তিনি বিশ্বাস করেন।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়নে দেশীয় শিল্প-প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসা এবং স্নাতকদের বাজার উপযোগী করে গড়ে তুলতে তাদের ইন্টার্নশিপসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্ৰহণের আহ্বান জানান।
এছাড়া, সিটি ব্যাংকের সহায়তায় ২২টি গবেষণা প্রকল্পের মাধ্যমে হাওড় এলাকার মানুষের জীবনমানে ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাকৃবির ডিন কাউন্সিলের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. মো. আবুল মনসুর ও সিটি ব্যাংকের কমার্শিয়াল ব্যাংকিংয়ের প্রধান মোহাম্মদ মাহমুদ গণি।
এছাড়া, অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়টির চলমান বিভিন্ন গবেষণা প্রকল্পের বিস্তারিত দিক তুলে ধরেন বাউরেসের সহযোগী অধ্যাপক চয়ন গোস্বামী।
আরও পড়ুন: ১৮ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে ইউজিসি’র গণবিজ্ঞপ্তি জারি
মান বজায় রাখতে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ইউজিসি সতর্ক করেছে: বিশ্বজিৎ চন্দ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মূল ক্যাম্পাস অনার্স কোর্স স্থগিতের নির্দেশ ইউজিসির
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে ২০২২-২০২৩ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম স্থগিত রাখার নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ইউজিসির এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: হিট প্রকল্পের প্রথম মিশন সভা: উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ও রুপান্তরের আশাবাদ ইউজিসির
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অন ক্যাম্পাসে স্নাতক প্রোগামে শিক্ষার্থী ভর্তিসহ সকল কার্যক্রম স্থগিতকরণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে অন ক্যাম্পাস স্নাতক প্রোগামে শিক্ষার্থী ভর্তির উদ্যোগ কেন নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউজিসি জানায়, বিশ্ববিদ্যালয়টির মূল ক্যাম্পাসে (গাজীপুর) স্নাতক প্রোগ্রামে শিক্ষার্থী ভর্তির কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯২-এর সুস্পষ্ট লঙ্ঘন বিধায় ইউজিসি এ নির্দেশনা প্রদান করেছে। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) কমিশন কর্তৃপক্ষের এক সভায় সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত সিদ্ধান্তের প্রেক্ষিতে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: প্রফেসর সাজ্জাদ ও আলমগীরকে পুনরায় ইউজিসির সদস্য নিয়োগ