ইউজিসি
এডিবি-ইডিসিএফের অর্থায়নে একসঙ্গে কৃষি গবেষণা করবে ইউজিসি ও বাকৃবি
দেশের কৃষি ও খাদ্যপ্রযুক্তি খাতের গবেষণা ও মানোন্নয়ন, দক্ষ মানবসম্পদ তৈরি, জলবায়ু ব্যবস্থাপনাসহ কৃষি বিষয়ক উচ্চশিক্ষা শক্তিশালীকরণে গৃহীত স্ট্রেংথেনিং এগ্রিকালচারাল টারশিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্টে (এসএটিইপি) যৌথভাবে কাজ করবে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)।
প্রকল্পটিতে অর্থায়ন করবে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) এবং কোরিয়ার এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট ব্যাংকের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সহযোগিতা তহবিল (ইডিসিএফ)।
প্রকল্পটির আওতায় বাকৃবি ও কৃষি-শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) বাকৃবির জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক মোহাম্মদ তৌফিকুল ইসলাম ইউএনবিকে জানান, শনিবার ঢাকাস্থ বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল সম্মেলন কক্ষে প্রকল্পটির আওতায় অনুষ্ঠিত কৃষি-শিল্প পরামর্শ কর্মশালায় ওই সমঝোতা চুক্তি সই হয়।
আরও পড়ুন: বাকৃবিতে কৃষকদের বিনামূল্যে টমেটোর চারা ও গাজরের বীজ বিতরণ
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া।
এসময় বাকৃবির সঙ্গে আলাদা আলাদাভাবে বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশন এবং ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের সমঝোতা চুক্তি সই হয়েছে।
চুক্তি সই অনুষ্ঠানে বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.কে. ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, গত ৬৩ বছর ধরে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথিতযশা শিক্ষক ও গবেষকরা নিরলসভাবে শিক্ষার্থীদের মাঝে জ্ঞান বিতরণ করে চলেছেন। যার ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশের কৃষিতে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। প্রকল্পটি দেশের কৃষি খাতে মানবসম্পদ উন্নয়ন ও আধুনিক কৃষি গবেষণায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা এবং উচ্চতর কৃষি গবেষণা পরিচালনায় সহায়ক হবে।
উপাচার্য বলেন, এ প্রকল্পের মাধ্যমে আধুনিক ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হবে। এখানে কৃষি ও কৃষিপ্রধান ৯টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় এবং এতদসংশ্লিষ্ট প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো গবেষণার সুবিধা পাবে।
তিনি আরও বলেন, ‘বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়েই আমাদের চলতে হবে। আগামীর কৃষি যান্ত্রিক ও প্রযুক্তির কৃষি, সে কথা মাথায় রেখেই সরকার কাজ করছে। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কৃষির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের নিজস্ব অংশগ্রহণের প্রশ্নে প্রকল্পটি ভূমিকা রাখবে।’
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন এডিবির হিউম্যান অ্যান্ড সোশ্যাল ডেভেলপমেন্ট সেক্টরের সিনিয়র সোশ্যাল সেক্টর ইকোনোমিস্ট রিওতারো হায়াসি, বাকৃবির পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক গোলাম হাফিজ, বাংলাদেশ এগ্রো-প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো. আবুল হাসেম, বাংলাদেশ চিংড়ি ও মৎস্য ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন সৈয়দ মাহমুদুল হক, ইস্পাহানি এগ্রো লিমিটেডের পরিচালক মিসেস ফৌজিয়া ইয়াসমিন, প্রাণ আরএফএল গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক জনাব নাসের আহমেদ।
প্রকল্পটির অধীনে ‘বাংলাদেশ ইনস্ট্রুমেন্টেশন সেন্টার ফর ক্লাইমেট চেঞ্জ অ্যান্ড এগ্রিকালচারাল রিসার্চ’ নামে একটি উচ্চতর গবেষণা সেন্টার গড়ে তোলা হবে। এই প্রকল্পের আওতায় কৃষি শিক্ষার যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়নের পাশাপাশি পেশাগত দক্ষতা উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।
এছাড়া প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কৃষক ও কৃষি সম্পর্কিত শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করা হবে।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু বাকৃবি প্রশাসনের
২ সপ্তাহ আগে
ইউজিসির পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে যোগ দিলেন অধ্যাপক জাকির হোসেন
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনে (ইউজিসি) পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে দিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেন।
বুধবার (১৯ জুন) ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আলমগীরের কাছে তিনি যোগদানপত্র পেশ করেন।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে চায় ইউজিসি
এরপর তিনি ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন ও এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।
গত ১৩ জুন এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অধ্যাপক ড. মো. জাকির হোসেনকে কমিশনের পূর্ণকালীন সদস্য হিসেবে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেন। কমিশনের সদস্য হিসেবে অধ্যাপক জাকির হোসেন প্রচলিত বিধি অনুযায়ী বেতন ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা পাবেন।
অধ্যাপক জাকির হোসেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মার্কেটিং বিভাগ থেকে বিকম (অনার্স) ও এমকম ডিগ্রি সম্পন্ন করে সুইডেনের বিটিএইচ থেকে বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি।
তার ২০টি গবেষণা প্রবন্ধ দেশ-বিদেশের খ্যাতনামা জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তার প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা চারটি ও সম্পাদিত গ্রন্থের সংখ্যা আটটি। তিনি জবির জার্নাল অব বিজনেস স্টাডিজের প্রধান সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
৫ মাস আগে
দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য সংরক্ষণের আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
নির্দিষ্ট সময়ে নির্বিঘ্ন তথ্য সেবা নিশ্চিত করতে দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল তথ্য যথাযথভাবে সংরক্ষণের আহ্বান জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
সোমবার (২৭ মে) ইউজিসিতে তথ্য অধিকার আইন বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য অধিকার কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নে দিনব্যাপী কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এই আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে চায় ইউজিসি
তিনি নেতিবাচক মনোভাব পরিহার করে তথ্য প্রদানের ক্ষেত্রে পেশাদারিত্ব বজায় রাখার নির্দেশনাও দিয়েছেন।
অধ্যাপক আলমগীর বলেন, তথ্য অধিকার আইন প্রণয়নের মাধ্যমে সরকার কতিপয় ক্ষেত্র ছাড়া প্রাতিষ্ঠানিক সব তথ্য জনগণের পাওয়ার অধিকার নিশ্চিত করেছে। কিন্তু, অনেক সময় সদিচ্ছা ও আন্তরিকতা থাকার পরও তথ্য সংরক্ষণ এবং পেশাদারিত্বের অভাবে যথাসময়ে তথ্য প্রদান ব্যাহত হয়। এ সময় তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য সংরক্ষণে সংশ্লিষ্টদের আধুনিক প্রযুক্তির সহায়তা গ্রহণের পরামর্শ দেন।
তিনি সকলকে সততা, নিষ্ঠা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। নাগরিকদের চাওয়া তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে কোন রকম লুকোচুরি করা যাবে না বলেও সতর্ক করেন।
ইউজিসি চেয়ারম্যান বলেন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য অভিন্ন আর্থিক নীতিমালা এবং কর্মচারীদের নিয়োগ ও পদোন্নতিসংক্রান্ত যুগোপযোগী নীতিমালা প্রণয়নের ক্ষেত্রে ন্যূনতম যোগ্যতা নির্ধারণ নির্দেশিকা বাস্তবায়ন করা গেলে অভিযোগ কমে আসবে। এছাড়া, সব বিশ্ববিদ্যালয়কে আর্থিক শৃঙ্ক্ষলা অনুসরণ করার পরামর্শ দেন তিনি।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান বলেন, কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় তথ্য প্রাপ্তির অধিকার আইন বাস্তবায়ন জরুরি। তিনি উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ ও ইউজিসিতে কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন বলেন, প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করার জন্য তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। তিনি তথ্য অধিকার আইন বাস্তবায়নে জনসচেতনতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ইউজিসি’র জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপরিচালক ও তথ্য অধিকার আইনের ফোকাল মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে রিসোর্স পার্সন হিসেবে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সদস্য অধ্যাপক ড. প্রদীপ কুমার পান্ডে।
কর্মশালায় ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের পরিচালক সুলতান মাহমুদ ভুইয়া, গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. ফখরুল ইসলাম, জেনারেল সার্ভিসেস, এস্টেট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পরিচালক জাফর আহম্মদ জাহাঙ্গীরসহ কমিশনের ২৭ জন কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: শিক্ষকরা দক্ষ না হলে উচ্চশিক্ষার মানোন্নয়ন সম্ভব নয়: ইউজিসি চেয়ারম্যান
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখতে ইউজিসির আহ্বান
৫ মাস আগে
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষতা বাড়াতে চায় ইউজিসি
বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে ফ্রিল্যান্সিং অত্যন্ত সম্ভাবনাময় একটি খাত বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য প্রফেসর ড. বিশ্বিজিৎ চন্দ।
তিনি বলেন, এ খাতের সম্ভবনাকে কাজে লাগাতে দেশের পাবলিক ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিষয়ভিত্তিক শিক্ষার পাশাপাশি শিক্ষার্থী ও গ্রাজুয়েটদের ফ্রিল্যান্সিংয়ে দক্ষ করে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবে ইউজিসি।
ইউজিসি’র বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ ও বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির (বিএফডিসি) মধ্যকার এক মতবিনিময় সভায় ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. বিশ্বিজিৎ চন্দ এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে পবিপ্রবি ভিসি ও ইউজিসি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা
অধ্যাপক চন্দ বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ফ্রিল্যান্সিংয়ের ধারণাকে জনপ্রিয় করে তোলা এবং প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বাড়ানো গেলে ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা সম্ভব হবে।
এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের বিষয়টি সম্পর্কে জানাতে ওরিয়েন্টশন কর্মশালা আয়োজনসহ উপাচার্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সক্ষমতা বাড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষিত মায়েরাসহ দেশের বিশাল সংখ্যক কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয়। তাই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দিক থেকে দক্ষ করে গড়ে তোলা গেলে বিশ্ব শ্রমবাজারে নিজেরাই কাজ খুঁজে নিতে পারবে।
অন্যদিকে, উদ্যোক্তা হিসেবে অন্যের জন্য কর্মসংস্থানের সুযোগও তৈরি করতে পারবে বলে জানান তিনি।
বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন ডা. তানজিবা রহমান বলেন, দক্ষতাই একমাত্র টেকসই বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের নিশ্চয়তা দিতে পারে। আগামীতে বিশ্বের শ্রমবাজার বর্তমানের চেয়ে অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর হবে। তাই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শিক্ষার্থীদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা অর্জন করতে হবে।
তিনি ফ্রিল্যান্সিংয়ের ধারণাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলতে ইউজিসি ও বিশ্ববিদ্যালগুলোকে সার্বিক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন।
মত বিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন- বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, বাংলাদেশ ফ্রিল্যান্সিং ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির চেয়ারপারসন ডা. তানজিবা রহমানসহ ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগ এবং বিএফডিসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখতে ইউজিসির আহ্বান
২০ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে ইউজিসি
৬ মাস আগে
স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভূমিকা রাখতে ইউজিসির আহ্বান
২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্য বাস্তবায়নে দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ই-গভর্ন্যান্স ও উদ্ভাবন কর্ম-পরিকল্পনা ২০২৩-২৪ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য বাতায়ন হালনাগাদ নিশ্চিতকরণে এক কর্মশালায় এ আহ্বান জানান তিনি।
অধ্যাপক সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট নিয়মিত হালনাগাদ করা হয় না। এছাড়া, বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে স্থান পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্তের ঘাটতি রয়েছে ওয়েবসাইটগুলোতে।
তিনি দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গবেষণা, উদ্ভাবন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী অনুপাতসহ র্যাঙ্কিংয়ের যাবতীয় সূচকের তথ্য হালনাগাদ করার পরামর্শ দেন।
এ সময় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গবেষণার মাধ্যমে নতুন নতুন উদ্ভাবনে নেতৃত্ব দেওয়ারও পরামর্শ দেন ইউজিসির এই সদস্য।
ইউজিসির গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করে বক্তব্য দেন গবেষণা সহায়তা ও প্রকাশনা বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজ।
ইউজিসির আইএমসিটি বিভাগের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র দাসের উপস্থাপনায় কর্মশালায় অংশ নেন ৪৬টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনোভেশন কমিটির ফোকাল পয়েন্ট ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
৬ মাস আগে
ইউজিসি অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ওমর ফারুখ, সম্পাদক মহিব্বুল আহসান
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী কমিটির দশম সাধারণ নির্বাচনে মো. ওমর ফারুখ সভাপতি এবং ড. মো. মহিব্বুল আহসান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন।
ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামান প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন।
ওমর ফারুখ ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক এবং মহিব্বুল আহসান একই বিভাগের উপপরিচালক হিসেবে কর্মরত।
আরও পড়ুন: টেকসই উন্নয়নে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
১১ সদস্যবিশিষ্ট এ কার্যনির্বাহী কমিটি আগামী দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পালন করবে। মঙ্গলবার ইউজিসি অডিটোরিয়ামে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- সহসভাপতি মো. মোস্তাফিজার রহমান ও মো. আ. মান্নান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইউসুফ আলী খান, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোশারফ হোসেন, সাংগঠনিক ও প্রচার সম্পাদক রবিউল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ মোরশেদ আহম্মদ এবং সদস্য এম মারুফ আলম জেমস, মোহাম্মদ নুর ইসলাম চৌধুরী ও মো. আবদুল্লাহ আল মামুন।
নির্বাচনে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করেন পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের অতিরিক্ত পরিচালক শাহ আমিনুল ইসলাম।
নির্বাচন কমিশনার ছিলেন- পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের উপপরিচালক শিবানন্দ শীল এবং জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের উপপরিচালক মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন ১০ গবেষক
৮ মাস আগে
জাবিতে ধর্ষণকাণ্ডে কমিটি গঠন করেছে ইউজিসি
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গৃহীত পদক্ষেপ ও সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা করতে তিন সদস্যেরে একটি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ধর্ষণের ঘটনায় কি ব্যবস্থা নিয়েছে এবং কেন এমন ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটছে সেটি খতিয়ে দেখবে এই কমিটি। কমিটির সদস্যরা বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয় পরিদর্শন করবেন।
বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই কমিটি গঠনের কথা জানান ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর
আরও পড়ুন: জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন রিমান্ডে
অভিযোগের প্রতিকার ব্যবস্থা এবং জিআরএস সফটওয়্যার বিষয়ক দিনব্যাপী এই কর্মশালাটির আয়োজন করে ইউজিসি।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন- কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান।
প্রফেসর আলমগীর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানিসহ অনিয়মের অভিযোগসমূহের নিখুঁতভাবে পর্যালোচনা ও প্রতিকারে পদক্ষেপ গ্রহণে ইউজিসি শিগগিরই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি সেল গঠন করবে। এখানে দক্ষ কর্মকর্তাদের পদায়ন করা হবে। কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়ম-নিপীড়নের ঘটনা ঘটলে এই সেল তদারকি করবে এবং তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করবে।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণকাণ্ড বিষয়ে তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ যৌন হয়রানিসহ নানা অপকর্মে দৃশ্যমান ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে।
এছাড়া, এসব অপরাধের বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা ও অপরাধীদের প্রশ্রয়ের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানি ঘটনা রোধ করা সম্ভব হয়নি।
ড. আলমগীর বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণ ঘটনা আমাদের মর্মাহত করেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণের মতো জঘন্য ঘটনা কোন মতেই গ্রহণযোগ্য নয়। কেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা ঘটছে, তা খতিয়ে দেখে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।
আরও পড়ুন: জাবিতে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণ, অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন আটক
আবাসিক সুবিধা নিশ্চিত না করে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কীভাবে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে এবং অছাত্ররা দিনের পর দিন কীভাবে হলে থাকছেন, সেটিও খতিয়ে দেখা দরকার বলেও জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাসে ধর্ষণ ও যৌন হয়রানির অভিযোগ নিয়ে তীব্র প্রতিবাদ হলেই কেবল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অরাজক পরিস্থিতি তৈরি, শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের কর্মঘণ্টা নষ্ট হয়।
তিনি দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যৌন হয়রানিসহ যেকোন অপরাধের ঘটনা দ্রুত আমলে নেওয়া, এটিকে গুরুতর অপরাধ হিসেবে দেখা, ক্যাম্পাস নিরাপদ রাখা এবং লৈঙ্গিক বৈষম্য রোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. ফেরদৌস জামান যৌন হয়রানি বন্ধে প্রতিরোধ কমিটি শক্তিশালীকরণ ও মনিটরিং জোরদার করার পরামর্শ দেন। এছাড়া সকল ধরণের হয়রানি বন্ধে নৈতিক শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
ইউজিসি’র উপপরিচালক ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদের সঞ্চালনায় কর্মশালায় কমিশনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: জাবিতে প্রথম বর্ষে ভর্তির আবেদনের তারিখ ঘোষণা
৯ মাস আগে
ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ পেলেন ১০ গবেষক
ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপের জন্য দেশের ১০ জন গবেষককে নির্বাচিত করেছে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ইউজিসি চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ মনোনয়ন বিষয়ক কমিটির এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় ইউজিসি সদস্য প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. বিশ্বজিৎ চন্দ, প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের, প্রফেসর ড. হাসিনা খান, ইউজিসির গবেষণা সহযোগিতা ও প্রকাশনা বিভাগের পরিচালক ড. মো. ফখরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পরিচালক মো. শাহীন সিরাজসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: উন্নত সাংবাদিকতার লক্ষ্যে ইএমকে-বিজেএস ফেলোশিপ চালু
প্রফেসর আলমগীর বলেন, দেশে মানসম্মত গবেষণা পরিচালনার লক্ষ্যে ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ প্রদান করছে।
পাশাপাশি, ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপপ্রাপ্তদের গবেষণার ফলাফল মূল্যায়ন করবে।
এছাড়া, গবেষণা ও গবেষণার কাজের ডেটাবেজ তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৮২ শিক্ষার্থী পাচ্ছেন জাতীয় বিজ্ঞান-প্রযুক্তি ফেলোশিপ
ফেলোশিপপ্রাপ্ত গবেষকরা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ নুরুল আমিন নূরী, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. শেখ মেহেদী হাসান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. ফিরোজা আক্তার খানম, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শরাবান তহুরা ও অধ্যাপক ড. গুলশান আরা, গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. মো. তরিকুল ইসলাম, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রফেসর ড. ফারহীন হাসান, প্রিমিয়ার ইউনিভার্সিটির ড.শহীদ মো. আসিফ ইকবাল, বরেন্দ্র ইউনিভার্সিটির ড. সুলতানা রাজিয়া এবং বৃন্দাবন সরকারি কলেজের ড. সুভাষ চন্দ্র দেব।
আরও পড়ুন: সনদ প্রদানের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বিজেএস-ইএমকে ফেলোশিপ প্রোগ্রাম
ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ-২০২৩ -এর জন্য আবেদন করেছিলেন দেশের বিভিন্ন পাবলিক, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় (শুধু স্থায়ী ক্যাম্পাস) এবং সরকারি কলেজের ৩০ জন গবেষক।
নীতিমালা অনুযায়ী আবেদনকারীদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, অভিজ্ঞতা, প্রকাশনা, গবেষণার শিরোনাম, সারসংক্ষেপ, সুপারভাইজারের সুপারিশের ভিত্তিতে আবেদনকারীদের মধ্য থেকে ১০ জন গবেষককে ইউজিসি পোস্ট-ডক্টরাল ফেলোশিপ-২০২৩ -এর জন্য চূড়ান্তভাবে নির্বাচন করা হয়।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী ফেলোশিপ ২০২৩-২৪ পেলেন ৪৮ স্কলার
১০ মাস আগে
টেকসই উন্নয়নে উচ্চতর গবেষণা পরিচালনার আহ্বান ইউজিসি চেয়ারম্যানের
উচ্চতর গবেষণা ছাড়া কোনো দেশের টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স ও পিএইচডি কোর্সে শিক্ষকদের বেশি মনোযোগ দেওয়ার পরামর্শ দেন। এছাড়া, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গ্রাজুয়েটের সংখ্যা না বাড়িয়ে গুণগত মানসম্পন্ন ও দক্ষ গ্র্যাজুয়েট তৈরির ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ষষ্ঠ ‘ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স অন ইলেকট্রিক্যাল ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (ইআইসিটি ২০২৩)’- শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) অনুষদ বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটরিয়ামে তিন দিনব্যাপী এই সম্মেলন আয়োজন করে।
শুক্রবার রাতে কুয়েটের টিচার্স ক্লাবে সমাপনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়।
আরও পড়ুন: উচ্চশিক্ষা সেবা নির্বিঘ্ন করার আহ্বান ইউজিসি’র
ইউজিসি চেয়ারম্যান প্রফেসর আলমগীর বলেন, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের এই যুগে ফিজিক্যাল, বায়োলজিক্যাল ও সাইবার বিষয়গুলো একীভূত করে বর্তমান যুগের সমস্যা সমাধানের উপায় বের করতে হবে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও গবেষকদের যুগের চাহিদা অনুাযায়ী গ্রাজুয়েট ও পেশাজীবী তৈরি করতে হবে।
ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সংযোগ স্থাপনে শিক্ষকদের সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে বলেও তিনি জানান।
তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা ও উদ্ভাবনী ধারণা বাস্তবায়নের সংস্কৃতি চালু করতে হবে। গবেষণা পরিচালনায় বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকেরা বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের আর্থিক সহযোগিতা নিতে পারেন বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
সম্মেলনের আয়োজক কমিটির সভাপতি ও ইইই অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কুয়েটের ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. রফিকুল ইসলাম ও প্রফেসর ড. মনির হোসেন বক্তব্য দেন।
সম্মেলনে বিশ্বের ১৩টি দেশ থেকে ৪৭২টি টেকনিক্যাল পেপার থেকে বাছাই করা ১৩৮টি টেকনিক্যাল পেপার ২৭টি টেকনিক্যাল সেশনে উপস্থাপন করা হয়।
এছাড়া কনফারেন্সে ৮টি কি-নোট সেশন ও একটি টেকনিক্যাল ওয়ার্কশপ অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনে আমেরিকা, বেলজিয়াম, ভারত ও বাংলাদেশের প্রায় সাড়ে ৩০০ গবেষক, শিক্ষক, স্বনামধন্য প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদসহ অন্যরা অংশ নেন।
আরও পড়ুন: বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
১১ মাস আগে
বিএসএমএমইউ ও ইউজিসির মধ্যে সমঝোতা স্মারক সই
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) মধ্যে স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
বুধবার (২৯ নভেম্বর) সকাল ১০টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সম্মেলনকক্ষে এ চুক্তি সই হয়।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদের উপস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হাফিজুর রহমান এবং ইউজিসির পক্ষে কমিশনের সচিব ড. ফেরদৌস জামান এ সমঝোতা স্মারক চুক্তিতে সই করেন।
আরও পড়ুন: বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়কে এগিয়ে নিতে বিডিরেনের সেবা গ্রহণের আহ্বান ইউজিসির
সমঝোতা স্মারকের আওতায় ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা নির্দিষ্ট ফি-র বিনিময়ে বিএসএমএমইউ থেকে রেজিস্ট্রেশন নম্বরযুক্ত একটি হেলথ কার্ড বা চিকিৎসা সেবা বই পাবেন।
এই হেলথ কার্ডের মাধ্যমে ইউজিসির কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা সেবা গ্রহণের ক্ষেত্রে বিশেষ সুবিধা পাবেন।
এছাড়াও, হাসপাতালে ভর্তির ক্ষেত্রে ইউজিসির কর্তৃপক্ষ, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের জন্য কেবিন বা বিছানার তালিকা নির্ধারিত করা হয় এই চুক্তির আওতায়।
আরও পড়ুন: সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে অনিয়মে ছাড় দেবে না ইউজিসি
সমঝোতা স্মারক সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক ডা. একেএম মোশাররফ হোসেন, উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, উপউপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মনিরুজ্জামান খান, ইউজিসির বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের পরিচালক মো. ওমর ফারুখ, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমান, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ মাকছুদুর রহমান ভূঁইয়া, অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম দস্তগীর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক দেবাশীষ বৈরাগীসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: আসন্ন শিক্ষাবর্ষেও গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে: ইউজিসি
১১ মাস আগে