সভায় আইজিপি বলেন, বুদ্ধ পূর্ণিমার নিরাপত্তা নিয়ে সুনির্দিষ্ট কোনো শঙ্কা নেই। ‘নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারাদেশের বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে,’ বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘীরে কোনো গোষ্ঠী বা মহল যাতে কোনো ধরনের গুজব বা বিভ্রান্তি ছড়াতে না পারে সেজন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসমূহ সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আইজিপি বলেন, ‘পোশাকধারী পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে দায়িত্ব পালন এবং গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানোর জন্য সকল পুলিশ ইউনিটকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
প্রতিটি বৌদ্ধ মন্দির পরিদর্শনের জন্য পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে তারা নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান জাবেদ পাটোয়ারী।
বৌদ্ধ পূর্ণিমাকে সামনে রেখে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন এবং ব্লক রেইডের ব্যবস্থা করতে পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন তিনি।
কমিউনিটি পুলিশ সদস্য, স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের সহায়তা নিয়ে বৌদ্ধ মন্দিরগুলোতে নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশের সকল ইউনিটকে আহ্বান জানান পুলিশ প্রধান।
বৈঠকে নিরাপত্তার স্বার্থে ব্যাগ, পার্স, ভ্যানিটি ব্যাগ ইত্যাদি সাথে না আনার জন্য পূণ্যার্থীদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।
সভায় উপস্থিত বৌদ্ধ ধর্মীয় নেতারা বুদ্ধ পূর্ণিমাকে ঘীরে নেয়া সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং পুলিশ প্রধানকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।