বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি যশোর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার পুষ্পল কুমার চক্রবর্তীর কাছে পাঠানো হয়েছে।
আন্তর্জাতিক রুটের ট্রেন বন্ধন এক্সপ্রেস ট্রেনটি সপ্তাহের প্রতি বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় কলকাতা থেকে খুলনা এসে পৌঁছায়। পরে এক ঘণ্টা বিরতি শেষে বেলা ১টা ৩০ মিনিটে আবার কলকাতার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
জানা যায়, খুলনার ভাড়া দিয়েই যাত্রীরা এখন থেকে যশোর থেকে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। তবে টিকিটের দাম কমানো হবে কিনা, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
জানতে চাইলে যশোর রেলওয়ে জংশনের স্টেশন মাস্টার পুষ্পল কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের বলেন, আন্তর্জাতিক এ ট্রেনে যশোর স্টেশন থেকে৭৫টি আসন বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
পাসপোর্ট, ভিসা ও টিকিট দেখে যাত্রীদের ট্রেনে ওঠানো হবে জানিয়ে তিনি বলেন, বেনাপোল স্টেশনে নিয়ে ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
বেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ১৬ নভেম্বর কলকাতা-খুলনার মধ্যে ৪৫৬ আসনের ‘বন্ধন এক্সপ্রেস’ নামের আন্তর্জাতিক ট্রেন চালু হয়। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ ট্রেনে কেবিনে সিট ভাড়া দেড় হাজার ও চেয়ার কোচ ভাড়া এক হাজার টাকা। সঙ্গে ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর।
বেনাপোলে যাত্রীর পাসপোর্ট, ভিসাসহ ইমিগ্রেশনের যাবতীয় কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। এরপর যাত্রীরা সরাসরি খুলনা ও কলকাতার মধ্যে যাতায়াত করতে পারে।
বেনাপোল স্টেশন মাস্টার সাইদুজ্জামান বলেন, শুরু থেকে গত জানুয়ারি মাস পর্যন্ত এক বছর দুই মাসে এ ট্রেনে করে দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করেছেন ১৫ হাজার ৫৭৯ জন যাত্রী।
এর মধ্যে কলকাতা থেকে এসেছেন ৬ হাজার ৭৪৫ এবং খুলনা থেকে কলকাতায় গেছেন ৮ হাজার ৮৩৪ জন, যোগ করেন তিনি।
স্টেশনের কর্মকর্তারা জানান, এ ট্রেনে গড়ে ১০০ জনের বেশি যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করে না। প্রতিবারই ট্রেনের আসন ফাঁকা পড়ে থাকে।
অথচ গত এক বছরে বেনাপোল চেকপোস্ট (তল্লাশিচৌকি) দিয়ে ১০ লাখেরও বেশি যাত্রী দুই দেশের মধ্যে বাসযোগে যাতায়াত করেছেন বলেও জানান তারা।