ব্রেস্ট ক্যান্সার যত দ্রুত সম্ভব শনাক্তকরণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন।
এ সময় তিনি আরও বলেন, দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে আরও উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে মা ও শিশু স্বাস্থ্যের উন্নতির কোনো বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, ‘আমার খুবই কষ্ট লাগে যখন গ্রাম থেকে মায়েরা আসেন ব্রেস্ট ক্যান্সার নিয়ে। তারা এত দেরিতে আসেন তখন তাদের অপেক্ষা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না। এজন্য যত দ্রুত সম্ভব ব্রেস্ট ক্যান্সার শনাক্তকরণ সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। শুরুর স্টেজে এটা শনাক্ত করা গেলে যথাযথ চিকিৎসা করা যায়।’
উপস্থিত নারী চিকিৎসকদের উদ্দেশে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের দেশে ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিষয়টি সাধারণ মায়েরা অবহেলা করে। আপনাদের কাছে যখন রোগী আসবে তখন খেয়াল করবেন ব্রেস্টে কোনো লাম্প আছে কি না। যদি সেরকম কোনো রোগী পান তাহলে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠাবেন। সেখানে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতিসহ ব্রেস্ট স্ক্রিনিংয়ের সেরা ফ্যাসিলিটি আছে। আপনারা যদি এইরকম ১০-১৫ জন করে রোগী পাঠান আমরা বিনামূল্যে সবরকমের টেস্ট করে তাদের চিকিৎসা করব।’
বুধবার (২৬ জুন) সকালে হাজারীবাগে শহীদ শামসুননেছা আরজু মনি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র ১০ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীতকরণ উপলক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় শহীদ শামসুননেছা আরজু মনি মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রকে আরও উন্নতমানের স্বাস্থ্য সেবা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, লেখক, সাংবাদিক ও যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান শহীদ শেখ ফজলুল হক মণির সহধর্মিণী শহীদ শামসুননেছা আরজু মনি। একজন মহীয়সী নারীর নামে প্রতিষ্ঠিত এই কল্যাণ কেন্দ্রের উন্নয়নে যা যা করা দরকার সবই আমি করব।’
স্বাস্থ্য শিক্ষা সচিব মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন- দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ডা. রোকেয়া সুলতানা এবং ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ফেরদৌস আহমেদ।