ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত গত ৪ ফেব্রুয়ারি রায় ঘোষণার জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এর আগে, গত ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে রাষ্ট্রপক্ষ যুক্তি উপস্থাপন করে। যুক্তি উপস্থাপন শেষে মামলার ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড প্রত্যাশা করেন রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) গোলাম সারোয়ার খান জাকির। এরপর আসামিপক্ষের আইনজীবীরা যুক্তি উপস্থাপন শুরু করেন।
ওই দিন যুক্তি উপস্থাপন শেষ না হওয়ায় ৪ ফেব্রুয়ারি ফের যুক্তি উপস্থাপন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
আরও পড়ুন: দীপন হত্যা মামলায় ৮ জনের ফাঁসি
আরও পড়ুন: অভিযুক্ত জঙ্গির স্ত্রী প্রিয়তির জামিন আপিল বিভাগে বাতিল
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, অভিজিৎ রায়কে ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি রাত সোয়া ৯টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি এলাকায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের পাশে সন্ত্রাসীরা কুপিয়ে জখম করে। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেয়া হলে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় ২৭ ফেব্রুয়ারি অভিজিতের বাবা শিক্ষাবিদ অজয় রায় শাহবাগ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের পরিদর্শক মনিরুল ইসলাম ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ছয়জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলায় ৩৪ জনকে সাক্ষী করা হয়।
অভিযোগপত্র অনুযায়ী, লেখালেখি ও ভিন্নমতের জন্য অভিজিৎকে অনেক আগেই লক্ষ্যবস্তু করা হয়। ‘বিশ্বাসের ভাইরাস’ ও ‘অবিশ্বাসের দর্শন’ নামে দুটি বইকে কেন্দ্র করে তাকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেয় আনসার আল ইসলাম।
ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান ১১ এপ্রিল ছয় আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) গ্রহণ করেন। বিচারক ১ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: সংস্কৃতিচর্চা নতুন প্রজন্মকে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে রাখবে: তথ্যমন্ত্রী
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ জঙ্গিবাদকে কখনো আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয় না: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
আরও পড়ুন: নাইজেরিয়ায় ৪৩ কৃষককে গলা কেটে হত্যা করল জঙ্গিরা
আসামিরা হলেন আনসার আল ইসলামের (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) সামরিক শাখার প্রধান মেজর (চাকরিচ্যুত) সৈয়দ মোহাম্মদ জিয়াউল হক, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, আকরাম হোসেন ওরফে আবির, মো. মুকুল রানা ওরফে শরিফুল ইসলাম ওরফে হাদী, মো. আরাফাত রহমান ও শফিউর রহমান ফারাবি। তাদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।