বুধবার ঢাকার সন্ত্রাস দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, মো. আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, মো. আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়া, মো. শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ, সেনাবাহিনীর বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া (নিষিদ্ধ সংগঠনটিতে সাগর ওরফে ইশতিখাক ওরফে বড়ভাই হিসেবে পরিচিত) এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ।
আরও পড়ুন: দীপন হত্যা মামলায় আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ৮ জন অভিযুক্ত
জসিমউদ্দিনকে মুক্ত করতে কারাগারে হামলার পরিকল্পনা আনসারুল্লাহর: র্যাব
বরখাস্ত হওয়া মেজর জিয়াউল ও আকরাম পলাতক আছেন।
হত্যার মূল পরিকল্পনাকারী মেজর জিয়াউলকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের এ আট জঙ্গির বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর অভিযোগ গঠন করে আদালত।
২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া মামলার অভিযোগপত্র আদালতে জমা দেয়ার আগে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছিল।
এর আগে, ২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে নিজের প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান জাগৃতির কার্যালয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হকের ছেলে দীপনকে গলা কেটে হত্যা করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ জঙ্গি মুক্ত হয়েছে: নাসিম
সংস্কৃতিচর্চা নতুন প্রজন্মকে জঙ্গিবাদ-সন্ত্রাসবাদ থেকে দূরে রাখবে: তথ্যমন্ত্রী
কুমিল্লায় সেনা সদস্য হত্যা মামলায় ৪ জনের ফাঁসির আদেশ
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় মামলা দায়েরের পর পরবর্তীতে ডিবিতে স্থানান্তর করা হয়। পরে আদালতে উপস্থাপনের আগে সন্ত্রাস বিরোধী আইনে মামলা হওয়ায় তা অনুমোদনের জন্য ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়।
অনুমোদনের পর ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর এ মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্যদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ।