মঙ্গলবার ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলামের আদালতে এ মামলার রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য ছিল।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মামলাটি ২২৭ ধারা মোতাবেক অভিযোগ সংশোধন করে দণ্ডবিধির ১২০(বি) ধারায় পুনঃঅভিযোগ গঠন করার আবেদন করেন।
ফৌজদারী কার্যবিধির ২২৭ ধারায় বলা হয়েছে, রায় প্রকাশ করার আগে যে কোনো পর্যায়ে আদালত অভিযোগ পরিবর্তন করতে পারে।
দণ্ড আইনের ১২০(বি) ধারায় বলা হয়েছে অপরাধজনক ষড়যন্ত্রের কথা।
পুনরায় অভিযোগ গঠনের আবেদনে বলা হয়েছে, মামলার আসামি সাইফুল ইসলাম ঘটনার সময় অন্য একটি নাশকতার মামলায় কারাগারে ছিলেন।
সুতরাং তিনি প্রত্যক্ষভাবে হত্যাকাণ্ডে যুক্ত ছিলেন না। তিনি কারাগারে থেকেই হত্যার একজন ষড়যন্ত্রকারী ও পরামর্শক হিসেবে কাজ করেছিলেন।
সাইফুলকে কারাগার থেকে এনে ১৬৪ ধারার জবানবন্দিও নেয়া হয়েছিল।
আদালত রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন মঞ্জুর করে পুনঃঅভিযোগ গঠন শুনানির জন্য ৪ নভেম্বর দিন ধার্য করে।
গত ৪ অক্টোবর ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রবিউল ইসলাম রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ২৭ অক্টোবর দিন ধার্য করেন। মামলার ৪০ সাক্ষীর মধ্যে ২৪ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ৩০ মার্চ সকালে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের বেগুনবাড়ীর দীপিকার ঢাল এলাকার বাসা থেকে বের হয়ে অফিসে যাওয়ার পথে খুন হন ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান বাবু। এর পরপরই জনতার সহায়তায় পুলিশ জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলাম নামে মাদরাসার দুই ছাত্রকে আটক করে।
বাবু হত্যার ঘটনায় আটক জিকরুল্লাহ ও আরিফুল ইসলামসহ চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে ওই রাতে তেজগাঁও থানায় হত্যা মামলা করেন তার ভগ্নিপতি মনির হোসেন। পরে আটক দুজনকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর ডিবি পুলিশ আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের পাঁচ সদস্য জিকরুল্লাহ, আরিফুল ইসলাম, সাইফুল ইসলাম, হাসিব আব্দুল্লাহ (পলাতক) ও আবু তাহের জুনায়েদের (পলাতক) বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে।
২০১৬ সালের ২০ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ এসএম জিয়াউর রহমান।