তিনি বলেন, ‘যেখানেই অগ্নিকাণ্ড হোক না কেন তা নেভানো ফায়ার সার্ভিসের কর্তব্য। কিন্তু সেই সাথে যারা ভবন নির্মাণ, বসবাস ও ব্যবহার করছেন তাদেরও দায়িত্ব নিতে হবে, তাহলেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটবে না।’
শুক্রবার গণভবনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, অনুশোচনার বিষয় হলো ভবন নির্মাণকারী, ব্যবহারকারী ও বসবাসকারী কেউই তাদের দায়িত্ব পালন করেন না।
আর কোনো কিছু হলেই সব দোষ সরকারের। আমরা বার বার বলার পরও ভবন নির্মাণকারী, ব্যবহারকারী ও বসবাসকারী… তাদের সবার অবহেলা থাকছে, যোগ করেন তিনি।
বহুতল ভবনগুলোতে ভেতরের নকশার জন্য অথবা গুদাম বানানোর জন্য জরুরি নির্গমনপথ বন্ধের সমলোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী।
বনানীর এফআর টাওয়ারের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সেখানে ফায়ার সার্ভিস কর্মীদের ওপর জনগণের একটি অংশ হামলা চালিয়েছে। তারা যদি প্রত্যেকে আগুনে এক বালতি করে পানিও ঢালত, তাহলেও হয়তো উপকার হতো।
সেখানে জড়ো হয়ে যারা শুধু ঘটনা দেখছেন ও সেলফি তুলছেন তাদের সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি বুঝি না অগ্নিকাণ্ড এলাকায় সেলফি তোলার কী যুক্তি আছে। তারা সেলফি তোলার পরিবর্তে কিছু বালতি পানি ঢালতে অথবা উদ্ধার কাজে সহায়তা করতে পারত।
তিনি আরও বলেন, তারা কোনো কিছু না করে সেলফি তুলে উপভোগ করছে। সত্যি এটা আমাকে আশ্চার্যন্বিত করেছে। আমাদের মানসিকতার পরিবর্তন করতে হবে। এ ধরনের ঘটনায় কীভাবে মানুষকে সহায়তা করা যায় তার পথ খুঁজতে হবে।
তবে উদ্ধার কার্যক্রম দ্রুত শুরু এবং তাৎক্ষণিক কর্তব্যজ্ঞানের জন্য এফআর টাওয়ারের পাশে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, প্রশিক্ষিত স্বেচ্ছাসেবী এবং জনগণের একটি অংশকে ধন্যবাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, আমি দেখেছি তারা তাদের দায়িত্ব পালন করেছেন। আশা করব ভবিষ্যতে এভাবেই প্রত্যেক জনগণ তাদের দায়িত্ব পালন করবেন।
‘জনগণ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা রেখেছে’
সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হওয়া জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, দেশের জনগণ আওয়ামী লীগের ওপর আস্থা ও বিশ্বাস রেখেছে। কারণ তারা গত দেশ বছরে দেশে ব্যাপক উন্নয়ন দেখেছে এবং এখন তার ফল পাচ্ছে।
তিনি বলেন, তৃণমূল জনগণ সরকারে নানা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের ফল পেতে শুরু করেছে।
নির্বাচনে বিএনপির ভরাডুবি প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, অগ্নিসংযোগ, মানুষ হত্যা, সন্ত্রাসী কার্যক্রম, অর্থপাচার, এতিমদের টাকা মেরে খাওয়াসহ অতীতের নানারকম ধ্বংসাত্মক কার্যক্রমের কারণে ভোট পাবে না বলে তাদের দলের নির্বাচনে দাঁড়ানোর ইচ্ছাই ছিল না।
‘জনগণ তাদের প্রত্যাখ্যান করায় তারা বুঝতে পেরেছিল যে নির্বাচনে জয়লাভ করতে পারবে না। বিএনপির নেতারা নির্বাচনের নামে মনোনয়ন বাণিজ্যে জড়িত ছিল’, যোগ করেন তিনি।