প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার সাপ্তাহিক নিয়মিত বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
বর্তমান সরকারের ১৯৭তম এই বৈঠক শেষে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম।
তিনি জানান, চুক্তিতে নেপাল ও ভুটান যদি যুক্ত হতে চায় সে জন্য সেখানে একটি বিধান রাখা হয়েছে।
চুক্তি অনুযায়ী, চারটি পথ ব্যবহার করে পণ্য পরিবহন করা হবে এবং বাংলাদেশের ভেতরে পরিবহনের জন্য বাংলাদেশি গাড়ি ও নৌযান ব্যবহার করতে হবে।
পথগুলো হলো- চট্টগ্রাম বন্দর-মোংলা বন্দর-আগরতলা ভায়া আখাউড়া, চট্টগ্রাম বন্দর-মোংলা বন্দর-ডাউকি ভায়া তামাবিল, চট্টগ্রাম বন্দর-মোংলা বন্দর-সুতারকান্দি ভায়া শেওলা ও চট্টগ্রাম বন্দর-মোংলা বন্দর-বিবিরবাজার ভায়া সীমান্তপুর এবং উল্টো একই পথ।
চুক্তি মতে শুল্ক ও বাণিজ্যবিষয়ক সাধারণ চুক্তি (গ্যাট) এবং বাংলাদেশের জাতীয় আইন ও বিধি অনুসরণ করা হবে। সেই সাথে চার্জ ফি ও স্থলবন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির ফিসহ বিভিন্ন ফি এবং পরিবহন খরচ আদায় করা হবে।
যেকোনো পক্ষ ছয় মাসের নোটিশ দিয়ে চুক্তি থেকে নিজেদের প্রত্যাহার এবং জরুরি প্রয়োজন বা জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে চুক্তির বাস্তবায়ন সাময়িকভাবে স্থগিত করতে পারবে বলে জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
এছাড়া মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) বিল ২০১৮-এর খসড়া অনুমোদন পেয়েছে, এতে বোর্ডের বর্তমান সদস্য পাঁচজন থেকে বাড়িয়ে নয়জন করা হয়েছে।
জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড অধ্যাদেশ ১৯৮৩ কিছুটা সংশোধন করে বাংলায় এই বিল তৈরি করা হয়েছে বলে জানান সচিব।
শফিউল আলম আরো বলেন, নতুন বিলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীগুলোর জন্য তাদের নিজ মাতৃভাষায় আলাদা পাঠ্যবই প্রণয়নের বিধান রাখা হয়েছে। বিষয়টি বর্তমান আইনে নেই। সেই সাথে ডিজিটাল ও মিথষ্ক্রিয়তামূলক পাঠ্যবই প্রণয়নের বিধান থাকছে।
প্রস্তাবিত আইন অনুযায়ী সংবিধিবদ্ধ প্রতিষ্ঠান জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) প্রতিবছরের ৩১ মার্চের মধ্যে সরকারের কাছে বার্ষিক প্রতিবেদন জমা দেবে।
এছাড়া বিদ্যমান আইন বাংলাদেশ জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র অধ্যাদেশ ১৯৮৪ কিছুটা পরিবর্তন করে বাংলাদেশ জনপ্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র বিল ২০১৮ খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
বৈঠকের ফাঁকে প্রধানমন্ত্রী জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের লোগো উন্মোচন করেন।