মঙ্গলবার রাজধানীর বেইলি রোডের ওই স্কুলের প্রধান ফটকের সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, ‘আমি পরিষ্কার করে বলে দিতে চাই, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখছে। আমরা মনে করি এ ধরনের ঘটনা… শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার বিষয়টি আমাদের সবার কাছে খুবই হৃদয় বিদারক।’
তিনি আরও বলেন, ইতিমধ্যে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। ঘটনার (আত্মহত্যা) সাথে যারাই জড়িত থাকুক, যদি প্রমাণ পাওয়া যায়, তবে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এ ধরনের ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয় উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থী এমন সম্পর্কও কাম্য নয়।
মন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ঘটনা কেবল মানসিক সমস্যা নয়, ফৌজদারী অপরাধও। আমরা ইতিমধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথ বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি এবং সহায়তা করতে বলেছি।
এর আগে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রী অধিকারীর আত্মহত্যার এ ঘটনায় ঢাকা আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের পরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মাদ ইউসুফকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
তদন্ত কমিটির অন্য দুই সদস্যের মধ্যে রয়েছেন- ঢাকা আঞ্চলিক শিক্ষা অফিসের উপ-পরিচালক শাখাওয়াত হোসেন এবং জেলা শিক্ষা অফিসার বেনজীর আহমেদ। এই কমিটিকে আগামী তিন দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত রবিবার মোবাইল ফোনে নকল করার অভিযোগে স্কুলের ৯ম শ্রেণির শিক্ষার্থী অরিত্রীকে তিরস্কারের পাশাপাশি তার বাবা-মাকে ডেকেও অপমানের অভিযোগ ওঠে স্কুলের অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে।
অরিত্রীর বাবা দিলিপ অধিকারী বলেন, ‘আমার মেয়ে বারবার ক্ষমা চেয়ে আবেদন জানালেও শিক্ষকরা তার কথা না শুনে আমাদের উপস্থিতিতেই উল্টো তাকে কক্ষ থেকে বের করে দেন।’ পরবর্তীতে তাদের (বাবা-মা) বাসায় যাওয়ার পূর্বেই অরিত্রী দ্রুত বাসায় গিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলে আত্মহত্যা করে।
বাসায় মেয়েকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখে দ্রুত তাকে নামিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক অরিত্রীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।