তিনি বলেন, ‘আমি এ ব্যাপারে দেশবাসীকে বলব ধৈর্য ধরতে। আর যারা এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাদের খুঁজে বের করা এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।’
রবিবার প্রধানমন্ত্রী নিজের সরকারি বাসভবন গণভবনে যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে এক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতকারী ‘ফেসবুক পোস্ট’ দেয়া এক ব্যক্তির শাস্তির দাবিতে রবিবার ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় বিক্ষোভ করা জনতার সাথে পুলিশের সংঘর্ষে চারজন নিহত ও শতাধিক মানুষ আহত হন।
শেখ হাসিনা বলেন, অস্থিতিশীলতা তৈরির জন্য একদল মানুষ ইচ্ছাকৃতভাবে এমন জঘন্য কাজ করছে।
তিনি জানান, চর বোরহানউদ্দিনে এক হিন্দু ছেলের ফেসবুক আইডি হ্যাক করে সেখানে কতগুলো মিথ্যাচার করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছেলেটি থানায় জিডি করে এবং পুলিশ আইডি হ্যাককারীকে গ্রেপ্তারও করে।
‘এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেখানে কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে গেছে। হিন্দু ছেলেটির নাম করে যে কথাগুলো লিখেছে সে তো মুসলমান ছেলে। তো একজন মুসলমান হয়ে সে কীভাবে নবী করিম (স.) এর প্রতি বাজে কথা লিখে আরেকজনকে জড়ানোর চেষ্টা করতে পারে,’ যোগ করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বিক্ষোভকারীদের যারা বুঝাতে গিয়েছিলেন তাদের রক্ষার জন্য পুলিশ গুলি ছুড়েছিল।
আইডি হ্যাক, তাতে বাজে কথা লেখা ও সেটাকে কেন্দ্র করে যারা সমাবেত হয়ে পুলিশের ওপর আক্রমণ করল তাদের উদ্দেশ্য কী ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে সব জায়গায় ফেসবুকে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করার জন্য। এটা কারা? এদের উদ্দেশ্য কী?’