সৌদি ভিশন ২০৩০-এর অন্যতম কর্মসূচি ‘পিলগ্রিম এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রাম’র অংশ হিসেবে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভ বাস্তবায়ন করছে সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই উদ্যোগে বাংলাদেশ, মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, তুরস্ক ও আইভরি কোস্ট- এই ৭টি দেশের ১১টি বিমানবন্দরে ডেডিকেটেড লাউঞ্জ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
সৌদি প্রেস এজেন্সি জানিয়েছে, মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের লক্ষ্য সুবিধাভোগী দেশগুলো থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের জন্য উচ্চমানের পরিবহন পরিষেবা দেওয়া।
৯ মে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে উপকৃত বাংলাদেশি হজযাত্রীদের প্রথম দলটি জেদ্দার বাদশাহ আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারীসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা হজযাত্রীদের স্বাগত জানান।
হজযাত্রীদের হজযাত্রা বাড়ানোর লক্ষ্যে মক্কা রুট ইনিশিয়েটিভটি সৌদি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সৌদি ভিশন ২০৩০-এর ‘পিলগ্রিম এক্সপেরিয়েন্স প্রোগ্রাম’-এর একটি অংশ।
নিজ দেশ থেকে হজের প্রক্রিয়াগুলো সম্পন্ন করার অনুমতি দিয়ে সহযোগী দেশগুলোর হজযাত্রীদের জন্য হজের প্রক্রিয়া সহজ করে তুলেছে এই উদ্যোগটি।
এর মধ্যে রয়েছে ইলেকট্রনিক ভিসা ইস্যু, বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ এবং স্বাস্থ্যের প্রয়োজনীয়তা যাচাইয়ের পর বিমানবন্দরের প্রস্থানের সুযোগ দেওয়া।
সৌদি আরবে পূর্ব-পরিকল্পিত পরিবহন ব্যবস্থা ও বাসস্থানের ওপর ভিত্তি করে লাগেজে কোড বসিয়ে আলাদা করা হয়।
দেশটিতে পৌঁছানোর পরে, হজযাত্রীদের নির্ধারিত বাসে করে মক্কা ও মদিনায় তাদের বাসস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। অন্যদিকে নির্ধারিত পরিষেবা সংস্থাগুলো তাদের লাগেজ পৌঁছে দেয়।