এ জন্য তার নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার দায়িত্বশীল প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে একটি শক্তিশালী জাতীয় বা স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করা হবে। সেই সাথে তিনি ডেঙ্গু মোকাবিলায় প্রতিটি মন্ত্রণালয় ও বিভাগের করণীয় নির্ধারণ করে একটি আধা সরকারি পত্র পাঠাবেন।
সম্মিলিত উদ্যোগের অংশ হিসেবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন, ক্যান্টনমেন্ট এলাকা ও বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ একযোগে মশা নিধন অভিযান শুরু করবে। এ জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগ সংশ্লিষ্ট সব কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সময়সীমা নির্ধারণ করে দেবে।
আজ মন্ত্রী তাজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে মশা নিধন ও ডেঙ্গু প্রতিরোধ সংক্রান্ত এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী জানান যে সরকারি ভবন, লেক, পার্ক ও খাল রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব পালন করবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, অধিদপ্তর বা কর্তৃপক্ষ কিন্তু মশা মারার কাজ করবে সিটি করপোরেশন।
দীর্ঘ ছুটির সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিসগুলো থেকে যেন এডিস মশার উৎপত্তি না হয় তা নিশ্চিত করারও নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনাভাইরাস সংক্রমণ বিষয়ে ৩০ মার্চ দেশের ৬৪ জেলায় ভিডিও কনফারেন্স করেন। এ সময় তিনি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি মশা নিধন এবং ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম নেয়ার জন্য মন্ত্রী তাজুল ইসলাম এবং সিটি করপোরেশনের মেয়রদের নির্দেশনা দেন।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ হতে ভিডিও কনফারেন্সে সংযুক্ত হয়ে স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মশা নিধনে সর্বাত্মক উদ্যোগ নেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। এ প্রেক্ষিতে আজ তার সভাপতিত্বে সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদুল্লাহ খন্দকার, কৃষি সচিব মো. নাসিরুজ্জামানসহ সিটি করপোরেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা উপস্থিতি ছিলেন।
সভায় মেয়র আতিকুল বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ লেকগুলো পরিষ্কার করে দিলে আমরা ওষুধ ছিটাব, তাহলে মশা মরবে। এটাই সময় একসাথে কাজ করার। আমি ১৫ মে দায়িত্ব পাব, কিন্তু এখন থেকেই কাজ করে যাচ্ছি।’
এ সময় কৃষি সচিব জানান, তিনটি প্রতিষ্ঠান কীটনাশক আমদানি করে। তাদের কাছ থেকে যে কেউ কীটনাশক কিনতে পারে। তাছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকেও সরাসরি কীটনাশক আমদানির অনুমতি দেয়া হয়েছে।