তিতাস গ্যাসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আলী মোহাম্মদ আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তারা হলেন- ফতুল্লা জোনের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, উপব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদুর রহমান রাব্বী, সহকারী প্রকৌশলী এস. এম. হাসান শাহরিয়ার, সহকারী প্রকৌশলী মানিক মিয়া, সিনিয়র সুপারভাইজার মো. মনিবুর রহমান চৌধুরী, সিনিয়র উন্নয়নকারী মো. আইউব আলী, সাহায্যকারী মো. হানিফ মিয়া ও মো. ইসমাইল প্রধান।
এর আগে নারায়ণগঞ্জে মসজিদে এসি বিস্ফোরণের পরে পাইপলাইন থেকে কোনো গ্যাস লিকেজ হয়েছিল কিনা তা তদন্তের জন্য একটি পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করে তিতাস কর্তৃপক্ষ।
তিতাস গ্যাসের মহাব্যবস্থাপক আবদুল ওয়াহাবের নেতৃত্বে কমিটিকে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
এ ঘটনার পরে বিদ্যুৎ বিভাগ সংশ্লিষ্ট সব বিদ্যুৎ বিতরণ সংস্থাগুলোকেও নিজ নিজ এলাকায় অবস্থিত মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের অবস্থা যাচাই করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
এদিকে, ‘আগামী দুই মাসের মধ্যে সব অবৈধ গ্যাস লাইন অপসারণ করতে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
তিনি বলেন, পরিকল্পিত এলাকার বাইরে বিদ্যুৎ-জ্বালানি সংযোগ দেয়া যাবে না।
সোমবার গ্যাস বিতরণ সংস্থাগুলোর কার্যক্রম নিয়ে আলোচনাকালে এ নির্দেশ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘অকোপ্যান্সি সার্টিফিকেট অনুসারে সংযোগ না নিলে দ্রুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করুন।’
নসরুল বলেন, ‘কর্মকর্তাদের দুর্নীতি ও অসদাচরণের জন্যই রাজনীতিবিদদের বা সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
অবৈধ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের তালিকা করা হচ্ছে। কোনও কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে প্রথমে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে পরে অভিযোগ তদন্তের ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ট্রান্সমিশন লাইনের ওপর বিল্ডিং বা স্থাপনা থাকলে অপসারণের নির্দেশ দেন।’
জ্বালানি বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. আনিছুর রহমান, বিভিন্ন বিতরণ সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ভার্চুয়াল এ আলোচনা সভায় অংশ নেন।